1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিহাইতি

হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরি পদত্যাগ করবেন

১২ মার্চ ২০২৪

প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিল তৈরি ও অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম ঠিক হলেই প্রধানমন্ত্রী হেনরি ইস্তফা দেবেন।

https://p.dw.com/p/4dPai
হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরি।
হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরি পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন। ছবি: Andrew Kasuku/AP Photo/picture alliance

২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসের হত্যার পর থেকে এরিয়েল হেনরি নির্বাচিত না হয়েও প্রধানমন্ত্রীর পদে আছেন।

ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির চেয়ারম্যান ও গায়ানার প্রেসিডেন্ট ইরফান আলী জানিয়েছেন, হেনরির সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানাচ্ছেন। হেনরি যেভাবে হাইতির সেবা করেছেন, তার জন্য তাকে ধন্যবাদও দিয়েছেন ইরফান আলী।

কিছুদিন ধরে হাইতিতে গ্যাং-ওয়ার শুরু হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধী গোষ্ঠীগুলি রাস্তায় নেমে পড়েছে। তারা জেল ভেঙে অপরাধীদের নিয়ে পালিয়েছে। তাদের অন্যতম দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রী হেনরিকে পদত্যাগ করতে হবে। এই অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন।

আলী জানিয়েছেন, হাইতিকে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাত সদস্যের প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হবে। তারাই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ করবে।

হেনরি এখন পুয়ের্তো রিকোতে আটকা পড়ে আছেন। তিনি অপরাধী গ্যাংগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার উপায় খুঁজতে কেনিয়া গিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন, হাইতিতে জাতিসংঘের সমর্থিত আন্তর্জাতিক পুলিশ ও শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়োগ করতে।  কিন্তু অপরাধী গোষ্ঠীগুলিয় বাধায় আর দেশে ফিরতে পারেননি।

ক্যারিকমের বৈঠকে

ক্যারিকম হলো ক্যারিবিয়ান আঞ্চলিক ট্রেড ব্লক। সোমবার তারা হাইতি নিয়ে জামাইকাতে জরুরি বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকে ক্যানাডা, ফ্রান্স, জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব ব্লিংকেন উপস্থিত ছিলেন।

সেখানেই হাইতিতে প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিল গঠন ও অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পক্ষে মতপ্রকাশ করা হয়। ব্লিংকেন জানিয়েছেন, অ্যামেরিকা হাইতিতে বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েনের জন্য ১০ কোটি ডলার সাহায্য দেবে। এছাড়া হাইতির মানুষের জন্য তিন কোটি তিরিশ লাখ ডলারের মানবিক সাহায্য করা হবে।

হাইতির অবস্থা

হাইতিতে এখন অপরাধী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে পুলিশের লড়াই চলছে। অপরাধী গোষ্ঠীগুলি রাজধানীর এলাকা দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এর আগে হাইতিতে নির্বাচনের দাবি উঠেছিল। কিন্তু হেনরি তাতে রাজি হননি। তিনি যুক্তি দেন, পরিস্থিতি নির্বাচনের অনুকূল নয়।

গত সপ্তাহ থেকে হাইতিতে সহিংসতা চরমে ওঠে। হাইতিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। রাতে কারফিউও জারি করা হয়েছে।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)