1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাইতিতে ভূমিকম্প, মৃত হাজারেরও বেশি

১৬ আগস্ট ২০২১

বিধ্বংসী ভূমিকম্প হাইতিতে। ভেঙে পড়েছে বাড়িঘর। বহু মানুষ আহত।

https://p.dw.com/p/3z1wr
হাইতি
ছবি: Delot Jean/AP Photo/picture alliance

রোববার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে হাইতি এবং পার্শ্বর্তী অঞ্চল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল সাত দশমিক দুই। ভূমিকম্পের তীব্রতায় দেশের একটি অংশের বাড়িঘর কার্যত ধুলোয় মিশে গেছে। প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি এক মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।

সকাল ৮টা ২৯ মিনিটে প্রথম কম্পন হয়। মার্কিন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হাইতির রাজধানী থেকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের এপিসেন্টার বা কেন্দ্র। কম্পন অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষ ভয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। তবে পরে প্রশাসন জানায়, রাজধানী শহরে তত বেশি ক্ষতি হয়নি। তবে দেশের পশ্চিম অংশের অবস্থা খারাপ। সেখানে ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ।

এখনো পর্যন্ত অন্তত এক হাজার ২৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। পাঁচ হাজার ৭০০ মানুষ আহত। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাসপাতালগুলিতে আর জায়গা নেই। সকলকে ভর্তি করা যাচ্ছে না। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে অনেককে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজার বাড়ি ভেঙে গেছে।

এখনো ধ্বংসস্তূপের নীচে বহু মানুষ আটকে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্ধারকারী দল দিন-রাত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে যে অবস্থা হয়েছে, তাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।

ভূমিকম্পের পর সুনামি অ্যালার্ট ঘোষণা করেছিল মার্কিন ভূতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্র। পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। মূল ভূমিকম্পের পরে ফের পাঁচ পয়েন্ট ক্ষমতাসম্পন্ন আরো একটি কম্পন হয় বলে জানিয়েছে একটি স্বাধীন গবেষণা কেন্দ্র। যাকে আফটার শক বলা হয়।

ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে হাইতির পার্শ্ববর্তী দেশ ডমিনিকান রিপাবলিকেও। প্রায় একশ কিলোমিটার দূরে কিউবা এবং জামাইকাতেও ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অন্য দেশগুলিতে ক্ষয়ক্ষতি বিশেষ হয়নি।

হাইতির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। বিশ্বের কাছে তিনি সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)