1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাইড্রোজেন: উদীয়মান অর্থনীতির উপর জার্মানির নির্ভরতা

২৯ জুলাই ২০২৩

হাইড্রোজেনকে ভবিষ্যৎ জ্বালানির কেন্দ্রে রাখছে জার্মানির সরকার৷ শিল্প থেকে শুরু করে গৃহস্থালী সব ক্ষেত্রেই নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেনের ব্যবহার নিশ্চিত করার পরিকল্পনা তাদের৷

https://p.dw.com/p/4UV2u
২০৪০ সালের মধ্যে জীবাষ্ম জ্বালানির ব্যবহারের ইতি টানতে চায় জার্মানি৷
২০৪০ সালের মধ্যে জীবাষ্ম জ্বালানির ব্যবহারের ইতি টানতে চায় জার্মানি৷ ছবি: Joerg Boethling/imago images

হাইড্রোজেন ব্যবহারের জাতীয় কৌশলপত্র পরিবর্তন করেছে জার্মানির সরকার৷ ভবিষ্যতের জন্য যে বিপুল হাইড্রোজেনের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে তার দুই তৃতীয়াংশই পূরণ করা হবে বিদেশ থেকে আমদানি করে৷

কার্বন নিঃসরণ পুরোমাত্রায় কমিয়ে আনতে ২০৪০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের ইতি টানতে চায় জার্মানি৷ সেই জায়গাটি পূরণ করবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি৷ এক্ষেত্রে সরকারের পরিকল্পনায় সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে হাইড্রোজেন৷

কিন্তু পানি থেকে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন আলাদা করার প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন বিপুল শক্তি৷ তার যোগান নিশ্চিত করতেও চাই নবায়নযোগ্য জ্বালানি৷ তবেই হাইড্রোজেনকে পুরোপুরি সবুজ জ্বালানি হিসেবে বিবেচনা করা যাবে৷ কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাইড্রোজেনের উৎপাদন প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর নির্ভরশীল৷

২০২০ সালে আঙ্গেলা ম্যার্কেল সরকারের অধীনে হাইড্রোজেন ব্যবহারের জাতীয় কৌশলপত্রের খসড়া প্রণয়ন করে জার্মানি৷ বর্তমান জোট সরকার পরিবহণ ও গৃহ উষ্ণ রাখার ক্ষেত্রে হাইড্রোজেনের ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত করে পরিকল্পনা হালনাগাদ করেছে৷ এতে হাইড্রোজেনের চাহিদা আগের হিসাবের চেয়েও বেড়ে যাবে৷

জ্বালানি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এজিইবি বলছে, ২০৩০ সাল নাগাদ জার্মানিতে হাইড্রোজেনের চাহিদা ১৩০ টেরাওয়াট ঘণ্টায় পৌঁছাবে, যা ২০২১ সালের বিদ্যুৎ ব্যবহারের পাঁচ ভাগের এক ভাগ৷

অন্যদিকে জার্মান মেরিটাইম সেন্টার জানিয়েছে, শুধু জাহাজ শিল্পেই চাহিদা ১২০ টেরাওয়াট ঘণ্টা ছাড়াবে৷

জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ইয়োখেন ফ্লাসবার্থ জানিয়েছেন, যে পরিমাণ হাইড্রোজেনের চাহিদা দেশটিতে রয়েছে তার ৫০ থেকে ৭০ শতাংশই আমদানি করে মেটাতে হবে৷ আর এজন্য তাদেরকে নির্ভর করতে হবে উদীয়মান দেশগুলোর উপর৷

অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় (বিএমজেড) এরইমধ্যে মরক্কো, ব্রাজিল, টিউনিশিয়া, আলজেরিয়া, নামিবিয়া ও সাউথ আফ্রিকার সাথে প্রকল্প নিয়েছে৷ এসব দেশের স্থানীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কাজ করছে জার্মান ও ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো৷ সব মিলিয়ে বিএমজেড প্রায় ২৭ কোটি ইউরোর বিনিয়োগ করেছে এই দেশগুলোতে৷ বেসরকারি খাত জড়িত হলে তা ১৩০ কোটি ইউরোতে পৌঁছাবে৷

কিন্তু এর সঙ্গে মানবাধিকার ও পরিবেশ ইস্যুটিও সামনে আসছে৷ তবে ফ্লাসবার্থ জানিয়েছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীল ও জ্বালানি আহরণের ক্ষেত্রে মরিয়া দেশগুলোকে বিএমজেড তাদের প্রকল্পের বাইরে রাখার পরিকল্পনা তৈরি করছে৷ তারপরও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষরা পরিস্থিতির অবনতির কারণে হাইড্রোজেন নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে৷

সাবিনে কিনকার্তজ/এফএস