1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজউত্তর অ্যামেরিকা

হলিউডের অভিনেতা ইউনিয়নের ধর্মঘট শুরু

১৪ জুলাই ২০২৩

চিত্রনাট্যকারদের সঙ্গে ধর্মঘটে বসল হলিউডের অভিনেতাদের ইউনিয়নও। কার্যত কাজ বন্ধ হলিউডে।

https://p.dw.com/p/4Ts7T
হলিউডে ধর্মঘট
ছবি: Robert Hanashiro/USA TODAY/picture alliance

আলোচনা ফলপ্রসূ হল না। হলিউডের অভিনেতা ইউনিয়ন জানিয়েছিল, মার্কিন সময় বুধবার রাতের মধ্যে স্টুডিও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ না হলে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের রাস্তায় যাবে। বৃহস্পতিবার থেকে সেই ধর্মঘটের রাস্তাতেই হাঁটলেন তারা। যার জেরে কার্যত কাজ বন্ধ হয়ে গেল হলিউড ইন্টাস্ট্রির। কয়েক লাখ মানুষ এই অভিনেতা ইউনিয়নের অংশ। আপাতত তারা কেউ কাজ করবেন না।

অন্যদিকে চিত্রনাট্যকারেরা কয়েক মাস আগেই ধর্মঘটে বসেছিলেন। এদিন ধর্মঘটী চিত্রনাট্যকারেরা নেটফ্লিক্সের হলিউডের অফিসের সামনে গিয়ে অভিনেতাদের সমর্থনে স্লোগান দেন।

বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত একাধিক স্টুডিও-র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে অভিনেতা ইউনিয়নের। কিন্তু ইউনিয়নের প্রতিটি দাবি মেনে নিতে পারেনি স্টুডিও কর্তৃপক্ষ। অভিনেতাদের দাবি, তাদের বেতন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে জনপ্রিয়তা অনুযায়ী ইনসেনটিভ দিতে হবে। আগে টেলিভিশনের জনপ্রিয় সিরিয়ালগুলি ভিউ অনুযায়ী অভিনেতাদের ইনসেনটিভ দিত। ইউনিয়নের অভিযোগ, নেটফ্লিক্স-সহ অন্যান্য অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলি ভিউয়ের হিসেব পর্যন্ত দেয় না। ফলে কোনটি জনপ্রিয় হচ্ছে, তা বোঝাও যায় না। ইনসেনটিভও দেওয়া হয় না।

৬৩ বছর পর এভাবে হলিউড ইন্ডাস্ট্রি কার্যত বন্ধ হয়ে গেল। ১৯৬০ সালে শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল। বস্তুত, স্ট্রাইক শুরু হওয়ার খবর পেয়ে লন্ডনে ওপেনহাইমারের প্রিমিয়ার শো ছেড়ে অভিনেতাদের বেরিয়ে যেতে দেখা হয়। হলিউডের সমস্ত স্তরের অভিনেতা এই ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছেন বলে ইউনিয়ন দাবি করেছে।

ইউনিয়ন জানিয়েছে, এর ফলে একদিকে যেমন শুটিং বন্ধ থাকবে, অন্যদিকে বড় বড় ছবির প্রিমিয়ারে অভিনেতারা উপস্থিত হবেন না। ছবির প্রোমোশনেও তাদের দেখা যাবে না। এর অর্থ, বেশ কয়েকটি ছবি মুক্তি পেয়েও প্রোমোশনে যেতে পারবে না।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)