হরমুজে সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলো ইরান
২ জানুয়ারি ২০১২রবিবারের পর সোমবার
ইরান রবিবার একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল৷ এরপর সোমবার আবারও দুটি সফল পরীক্ষা চালালো৷ এর মধ্যে সবচেয়ে দূরে যেটি হামলা করতে সক্ষম হবে সেটার নাম ‘কাদের'৷ এটি প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত আনতে সক্ষম বলে জানা গেছে৷ ইরানের গণমাধ্যমে একে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বলা হচ্ছে৷ কিন্তু আসলে যে দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে তাকে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বলা যায়৷ অপর ক্ষেপণাস্ত্র ‘নাসের' এর রেঞ্জ সম্পর্কে অবশ্য কিছু জানা যায়নি৷ আজই আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর কথা ছিল, যার নাম নূর৷ এর ক্ষমতাও হওয়া কথা ২০০ কিলোমিটার৷ অবশ্য শেষ পর্যন্ত ‘নূর' উৎক্ষেপণের খবর পাওয়া যায়নি৷ এগুলোর মধ্যে ‘কাদের' ইরানি বিশেষজ্ঞদের হাতে তৈরি বলে জানিয়েছে সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা৷ এটা ইসরায়েল ও মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা করতে সক্ষম হবে বলে জানা গেছে৷
কেন এই পরীক্ষা
ইরানের ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলছে পশ্চিমা বিশ্ব৷ এর মধ্যে অ্যামেরিকা আরেক দফা অবরোধের পদক্ষেপ নিয়েছে৷ ফলে ইরানের তেল খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ অবরোধটা এরকম - যে সব বহুজাতিক কোম্পানি ইরান থেকে তেল আমদানি করবে তারা অ্যামেরিকার সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না বলে একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷ এদিকে অ্যামেরিকার এমন পদক্ষেপে উৎসাহিত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও৷ তারাও ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা বসাতে আগ্রহী৷ এ ব্যাপারে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে৷ পশ্চিমা বিশ্বের এসব সিদ্ধান্তে ইরানের আয়ের সবচেয়ে বড় যে খাত, সেই তেল খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইরান স্বভাবতই ক্ষুব্ধ৷ এবং তারা হরমুজ প্রণালি দিয়ে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে৷ এর মাধ্যমে আসলে দেশটি পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করে দিতে চাইছে৷ আর আজকের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে ইরান তার সামর্থ্যটাও দেখাতে চাইলো৷
পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিক্রিয়া
ফ্রান্স একে দু:খজনক ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, এবং মনে করছে এটা ‘খুব খারাপ একটা সংকেত'৷ আর যুক্তরাষ্ট্রও প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে৷ বাহরাইনে থাকা মার্কিন নৌ ঘাঁটির এক মুখপাত্র বলেছেন, হরমুজ প্রণালি দিয়ে নৌ চলাচলে বাধা দেয়ার চেষ্টা করা হলে সেটা প্রতিহত করা হবে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক