সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড
৬ জুলাই ২০১২সাগর সরওয়ার-মেহেরুন রুনি সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তদন্ত পর্যায়ে জড়িত ঢাকার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত মালয়েশিয়ায় যোগাযোগ করে মতামত নিয়েছেন অধ্যাপক ডা. নাসিমুল ইসলামের৷ তিনি এরমধ্যে ঢাকায় এসেও তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ তিনি প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ডয়চে ভেলেকে জানান, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর কোনো ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাগর-রুনির লাশ এবং আলমাত পরীক্ষা করেননি৷ পুলিশও তাদের কাউকে ডাকেনি৷ ফলে শুরুতেই মামলার তদন্তে ভুল করা হয়েছে৷ তিনি অভিযোগ করেন, সব পক্ষ মিলে ঘটনাটিকে ঠিকমত ম্যানেজ করতে পারেনি৷ যা এখন মামলাটিকেই অনিশ্চিত করে ফেলেছে৷
তিনি বলেন, দ্বিতীয় দফায় ভিসেরা রিপোর্টের জন্য সাগর-রুনির লাশ তোলাও ছিল একটি ভুল সিদ্ধান্ত৷ কারণ একটি নির্দষ্ট সময় পর মেটালিক ছাড়া আর কোনো বিষের আলামত ভিসেরা রিপোর্টে পাওয়া যায়না৷ যদি থাকতো, তা প্রথমবারে পাওয়া যেত৷
তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, রমনা বটমূলে বোমা হামলার সময় তিনি ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান৷ তিনি তখন নিজ উদ্যোগেই ঘটনা স্থলে গিয়ে আলামত এবং লাশ প্রাথমিক পরীক্ষা করেছেন৷ যার সুফল পাওয়া গেছে৷
অধ্যাপক ডা. নাসিমুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুরু থেকই তদন্ত টিমে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ থাকার বিধান করতে হবে৷ আর তিনিই ঘটনার পর প্রাথিমক তদন্তে নেতৃত্ব দেবেন৷ আর যে যার মতো আলামত সংগ্রহ করলে চলবেনা৷ অপরাধ তদন্তের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ