1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হংকংয়ে তিয়েনআনমেনের স্মৃতি মুছে দিল চীন

২৩ ডিসেম্বর ২০২১

হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ে তিয়েনআনমেনের স্মৃতিতে তৈরি স্থাপত্য ঢেকে দিয়েছে প্রশাসন। মূর্তিটি সরিয়েও দেয়া হতে পারে।

https://p.dw.com/p/44jeV
হংকং
ছবি: Isaac Wong/ZUMAPRESS/picture alliance

বুধবার এক অভূতপূর্ব ঘটনার সাক্ষী থাকল হংকং বিশ্ববিদ্যালয. ১৯৮৯ সালে তিয়েনআনমেন স্কোয়্যারে ছাত্রদের উপর আক্রমণ চালিয়েছিল চীনের প্রশাসন। বহু ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল। তারই স্মৃতিতে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিশাল স্তাপত্য তৈরি করেছিলেন ডেনমার্কের স্থপতি জেনস গালশিয়েট। বুধবার তা ঢেকে দেওয়া হয়।তিয়েনআনমেন স্কোয়্যারের স্মৃতি মুছতেই এ কাজ করা হয়েছে।
 

২৬ ফুট লম্বা দুই টনের মূর্তিটিতে ৫০ জন ছাত্রের মৃত্যুর সিম্বল ব্যবহার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল চাতালে মূর্তিটি ছিল। চীনে গণতন্ত্রপন্থিদের এক অন্যতম স্মারক ওই স্থাপত্য।

বুধবার আচমকাই ক্রেন নিয়ে সেই মূর্তির সামনে উপস্থিত হয় প্রশাসন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, মূর্তিটিকে হলুদ টেপ দিয়ে প্রথমে ঘিরে দেওয়া হয়। যাতে কেউ সামনে আসতে না পারে। এরপর সাদা কাপড় দিয়ে ক্রেনের সাহায্যে মূর্তিটি ঢেকে দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, ক্রেনের সাহায্যে মূর্তির উপরের অংশ ভেঙেও দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য,

প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। পরে তারা জানান, গত সপ্তাহে মূর্তিটি নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে মূর্তিটি সরিয়ে দেয়ার প্রস্তাবের পক্ষে অধিকাংশ মানুষ ভোট দেন। স্বাভাবিকভাবেই ছাত্ররা এতে খুশি নয়। খুশি নন স্থপতিও। টুইটে তিনি লিখেছেন, মূর্তিটি তার তৈরি। স্থাপত্যের যদি কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। শুধু তাই নয়, তিনি লিখেছেন, ঘটনায় তিনি হতবাক। মূর্তিটি ফেরতও চেয়েছেন তিনি।

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিদের সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে চীনের প্রশাসনের। একের পর এক আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করছে চীন। সংবাদপত্রের কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চীন এই নতুন পদক্ষেপ নিলো।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)