1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
বিচার ব্যবস্থাভারত

'স্যাটানিক ভার্সেস' আমদানি-নিষেধাজ্ঞার বিজ্ঞপ্তি উধাও!

৮ নভেম্বর ২০২৪

সালমান রুশদির স্যাটানিক ভার্সেস কি ভারতে আমদানি করা যাবে? দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের পর উঠেছে এই প্রশ্ন।

https://p.dw.com/p/4mnci
সালমান রুশদি।
সালমান রুশদির 'স্যাটানিক ভার্সেস' বইটির আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞার বিজ্ঞপ্তি দেখাতে পারলো না কেন্দ্রীয় সরকার। ছবি: Penguin Random House

রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে কগ্রেস সরকার ১৯৮৮ সালে সালমান রুশদির স্যাটানিক ভার্সেস বইটি ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। বাইরে থেকে আমদানির উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।

এই নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে ২০১৯ সালে একটি মামলা হয়। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্তৃপক্ষ এই নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত মূল বিজ্ঞপ্তি আদালতকে দেখাতে পারেনি। তারপর বিচারপতি রেখা পাটিল ও বিচারপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার মূল বিবৃতি ছাড়া এই মামলায় এগোনোর কোনো অর্থ নেই।

কী নিয়ে মামলা?

২০১৯ সালে সন্দীপন খান আদালতে আবেদন জানিয়ে বলেন, তিনি রুশদির এই বইটি বিদেশ থেকে আনাতে পারছেন না। বলা হচ্ছে, ১৯৮৮ সালের ৫ অক্টোবর সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস(সিবিআইসি) বইয়ের আমদানি বন্ধ করে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু তিনি কোনো সরকারি জায়গায় এই বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে পাচ্ছেন না। তিনি এই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করতে চান। কারণ, তিনি মনে করেন, এই নির্দেশ তার বই পড়ার অধিকার ভঙ্গ করছে।

আদালতের পর্যবেক্ষণ

শুনানির সময় আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, কেউই এই বিজ্ঞপ্তি দেখাতে পারছেন না। এমনকী এই বিজ্ঞপ্তি যিনি তৈরি করেছিলেন বলা হচ্ছে, তিনিও সেটা দেখাতে পারেননি।

এরপর বিচারপতিরা জানান, ''যেখানে বিজ্ঞপ্তিই নেই, সেখানে তার বৈধতা যাচাই করার কোনো ভিত্তি নেই। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সামনে এই ধারণা করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই যে, এই ধরনের কোনো বিজ্ঞপ্তির অস্তিত্বই নেই। আমরা তার বৈধতার বিচার করতে পারছি না। তাই আমরা এই রিট আবেদনকে নিস্ফল বলে মনে করছি।''

এবার কী হবে?

কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত টাইমস নাও-কে বলেছেন, ''ভারতে মতপ্রকাশের অধিকার আছে। আবার কোনো সম্প্রদায়ের বিশ্বাসে আঘাত করলে সেই বই সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। রুশদির বইটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়ে মামলা হয়েছিল। এখন আদালত যা বলছে, সেটাই মানতে হবে।''

রুশদির বই দেশে আনা যাবে কি না, সে বিষয়ে সরকারিভাবে কিছুই বলা হয়নি।

সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নানা ধরনের মতামত প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা।

জিএইচ/এসিবি(ইকনমিক টাইমস, পিটিআই)