স্থাপত্যের শহর কলকাতা
সেই ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে আধুনিক সময় পর্যন্ত বহু বিষয় এবং আঙ্গিকের স্থাপত্য বসেছে কলকাতার পথঘাটে, বাগানে৷ এগুলোর শৈল্পিক গুরুত্ব তো আছেই, অধিকাংশই আবার ঐতিহাসিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ৷
স্বাধীনতার পরে...
একটা সময় কলকাতায় ছড়িয়ে ছিল ব্রিটিশ শাসকদের স্মারক স্থাপত্য৷ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই সব স্থাপত্য সরিয়ে দিয়ে বসানো হয়েছিল দেশনেতাদের মূর্তি৷
অন্তরালে নির্বাসন
ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড উট্রামের এই মর্মর স্থাপত্য যেমন একসময় থাকত রাজপথে৷ এখন তাকে নির্বাসন দেওয়া হয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের বাগানে৷
বহাল আছেন রানি
ভিক্টোরিয়ার বাগানের ভিতরে থাকা একাধিক স্থাপত্যও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে অন্যত্র৷ তবে নিজের সিংহাসনে বহাল আছেন রানি৷
দেশনেতাদের গুরুত্ব
নতুন স্থাপত্য বসানোর ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছেন দেশ নেতারা৷ এটি যেমন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তি৷
বিখ্যাত ভাস্কর্য
তবে সেই সুবাদে কয়েকজন বিখ্যাত ভাস্করের কাজ অলংকৃত করেছে শহর কলকাতাকে৷ মহাত্মা গান্ধীর এই ভাস্কর্য যেমন বিখ্যাত শিল্পী দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরির তৈরি৷
বামপন্থি পছন্দ
পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থি শাসনের সময় অবশ্য গুরুত্ব পেয়েছেন কমিউনিস্ট বিশ্ব নেতারা৷ এটি যেমন ভিয়েতনামের নেতা হো চি মিনের ভাস্কর্য৷
রাজনৈতিক ভাস্কর্য
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, বলাই বাহুল্য, গুরুত্ব পাচ্ছে অন্য ধারার রাজনীতির প্রসঙ্গও৷ একুশে জুলাইয়ের শহিদ স্মরণে এই ভাস্কর্যটি সম্প্রতি বসেছে৷
...এবং অরাজনৈতিক
সব ভাস্কর্য অবশ্যই রাজনৈতিক নয়৷ যেমন রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গনে রবীন্দ্রনাথের এই মূর্তিটি কলকাতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে আছে বহু বছর ধরে৷
সমাজজীবনের প্রসঙ্গ
বাংলার মন্বন্তর নিয়ে অসামান্য ভাস্কর্য সিরিজ করেছিলেন বিখ্যাত ভাস্কর সোমনাথ হোর৷ তারই কিছু স্থান পেয়েছে সংস্কৃতির অঙ্গনেও৷
বাংলার সংস্কৃতি
রামকিঙ্কর বেজের বিখ্যাত ভাস্কর্য কলের বাঁশি, যা আসলে বাংলার গ্রামজীবনের কথা বলেছে, হয়ে উঠেছে বাঙালির সাংস্কৃতিক পরিচয়৷ মূল ভাস্কর্যের প্রতিরূপ এটি৷