1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্কুল বই থেকে বাদ মুঘল আমল

৫ এপ্রিল ২০২৩

কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় এবং উত্তরপ্রদেশের সমস্ত স্কুলপাঠ্য থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে মুঘল যুগ। এমনই নির্দেশ দিয়েছে পাঠ্যক্রম সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সংস্থা।

https://p.dw.com/p/4Pi90
লালকেল্লা
ছবি: Sajjad Hussain/AFP/Getty Images

সুলতানি আমল এবং মুঘল আমল পড়ার প্রয়োজন নেই ছাত্রছাত্রীদের। এমনই মনে করে এনসিইআরটি বা কেন্দ্রীয় পাঠ্যক্রম সংক্রান্ত সংস্থা। তারা নির্দেশ দিয়েছে, ওই বিষয়ক সমস্ত চ্যাপ্টার একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে। এখানেই শেষ নয়, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বই থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ভারতে সমাজতান্ত্রিক এবং বামপন্থি আন্দোলনের ইতিহাস। বাদ দেওয়া হচ্ছে স্বাধীনতা পরবর্তী কংগ্রেস আমলের একাধিক বিষয়। ভারতের গণতন্ত্র এবং নানা ভাষা নানা পরিধানের বৈচিত্র সংক্রান্ত চ্যাপ্টার বাদ দেওয়া হচ্ছে সিভিক সায়েন্সের বই থেকে।  বিজ্ঞানের বই থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে জননতন্ত্র সংক্রান্ত চ্যাপ্টার।

কেন এমন হচ্ছে? এনসিইআরটি-র দাবি, ওই বিষয়গুলি না পড়লে ছাত্রছাত্রীদের কোনো ক্ষতি হবে না। করোনার সময় স্কুল যেতে পারেনি ছাত্রছাত্রীরা। ফলে এমনিতেই তাদের উপর এখন অনেক চাপ। তাই চাপ কমাতে এই বিষয়গুলি বাদ দেওয়া হচ্ছে।

উত্তরপ্রদেশ জানিয়েছে, তাদের রাজ্যে সবসময়ই এনসিইআরটি-র বই পড়ানো হয়। ফলে তাদের পাঠ্যক্রম থেকেও এই সমস্ত বিষয় বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব দীপক কুমার জানিয়েছেন, ''২০২৩-২৪ সালের পাঠ্যক্রম থেকে এই বিষয়গুলি বাদ দিয়ে দেওয়া হবে।''

এনসিইআরটি জানিয়েছে, ২০২২ সালে সিবিএসই-র বই থেকে এই চ্যাপ্টারগুলি আগেই বাদ দেওয়া হয়েছিল। এবার বাকি বোর্ডের বই থেকেও বাদ দেওয়া হচ্ছে।

ইতিহাসের শিক্ষক সায়ন্তন দাস এবিষয়ে ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ''বিজেপির সরকার যে এ পথে হাঁটবে, তাতে আর আশ্চর্য কী! ধীরে ধীরে ভারতের ইতিহাসই বদলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে ইতিহাস স্তব্ধ করে দেওয়া যায় না।'' সায়ন্তনের বক্তব্য, এই সংকীর্ণ রাজনীতির জন্য একটা গোটা প্রজন্ম অর্ধ সত্য জেনে বড় হবে। এটাই সবচেয়ে দুঃখের।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)