1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌরশক্তির উৎপাদন বাড়াতে চায় সুইজারল্যান্ড

১২ জানুয়ারি ২০২২

২০৫০ সালের মধ্যে কার্বনমুক্ত হতে চায় সুইজারল্যান্ড৷ তাই সেখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার বাড়ানোর চেষ্টা চলছে৷

https://p.dw.com/p/45RJs
ছবি: Keystone Pictures USA/ZUMA/picture alliance

গ্ল্যারাস আল্পসে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় আড়াই হাজার মিটার উঁচুতে অবস্থিত এক বাঁধে সোলার প্যানেল বসিয়েছে এনার্জি কোম্পানি আক্সপো৷

সুইজারল্যান্ডে জ্বালানির সবচেয়ে বড় উৎস পানিবিদ্যুৎ৷ মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ৬০ ভাগ আসে সেখান থেকে৷ তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে দেশটি ভালো অবস্থায় আছে৷

সুইজারল্যান্ড যেহেতু তাদের চারটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে চাইছে তাই জ্বালানির নতুন উৎসের প্রয়োজন হবে৷ সে কারণে বর্তমানে সৌরশক্তির উপর আরও জোর দেয়া হচ্ছে৷

এনার্জি সায়েন্স সেন্টারের ক্রিস্টিয়ান শাফনার জানান, ‘‘বায়ুশক্তি, বায়োমাস, সৌরশক্তির মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে আমাদের উন্নতির রেখাটা একেবারে খাড়া৷ কিন্তু তারপরও প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমরা পিছিয়ে আছি৷''

বর্তমানে মোট জ্বালানির মাত্র পাঁচ শতাংশ আসছে সৌরশক্তি থেকে৷ শাফনার বলেন, ‘‘আমরা যদি সত্যিই ২০৫০ সালের মধ্যে সুইজারল্যান্ডকে কার্বনমুক্ত করতে চাই তাহলে ঘর গরম রাখার জন্য তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা ভবনগুলো একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ অন্যদিকে আছে পেট্রোল, ডিজেল ব্যবহার করা পরিবহন খাত৷ আমাদের এসব জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, যা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷''

এক্ষেত্রে সৌরশক্তি একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে৷

তবে এর চেয়েও দারুন এক সম্ভাবনা আছে৷ যেমন সিন্থেটিক ফুয়েল, যেটা ভবিষ্যতে কেরোসিনের বিকল্প হতে পারে৷ শাফনার জানান, ‘‘এখন সীমিত আকারে সিন্থেটিক ফুয়েল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে৷ ভবিষ্যতে কি আরও বড় আকারে উৎপাদনে যাওয়া যাবে, প্রযুক্তি ও আর্থিক বিবেচনায় সেটা কি সম্ভব হবে, এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় এখনও আসেনি৷''

হেনিং ভিন্টার/জেডএইচ