1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাড়াতাড়ি খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

২৭ এপ্রিল ২০২০

অর্থনীতি বাঁচাতে জীবন যাপনে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা বললেও এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

https://p.dw.com/p/3bSNy
বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/Photoshot

সোমবার সকালে গণভবন থেকে রাজশাহী বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন বলে জানায় বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিাফোর ডটকম৷

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘করোনা ভাইরাস মহামারীর বিস্তার কমার পরই কেবল সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা ভাববে৷ স্কুল এখন আমরা খুলবো না৷ স্কুল কেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটাও খুলবো না৷ 

‘‘সেটা আমরা কখন খুলবো? অন্তত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই স্কুল-কলেজ সবই বন্ধ থাকবে৷ যদি তখনও করোনা ভাইরাসের প্রকোপ না কমে তবে যখন এটা থামবে আমরা তখনই খুলবো৷ বেশি সমাগম যেন না হয়৷''

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের পর ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়৷ ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় রোগ নিয়ন্ত্রণে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার৷ বন্ধ হয়ে যায় সব অফিস আদালত৷ গণপরিবহন চলাচলও সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ তারপর একে একে পাঁচ দফায় ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়৷ সাধারণ ছুটির সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়ও বাড়তে থাকে৷

গত ১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়৷ আটকে আছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশও৷

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টানা বন্ধ থাকায় পাঠদানের ধারাবাহিকতা রাখতে ২৯ মার্চ থেকে সংসদ টিভিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ক্লাস দেখানো শুরু করে সরকার৷ আর প্রাথমিকের ক্লাস শুরু হয় গত ৭ এপ্রিল থেকে৷

এই ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ দেওয়া হচ্ছে৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে এসব বাড়ির কাজ দেখাতে হবে৷ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজের উপর প্রাপ্ত নম্বর তাদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে৷ এছাড়া, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম চালু করেছে৷ 

করোনায় এক মহৎ বাড়িওয়ালা

বেশি করে ফসল চাষের আহ্বান

করোনা ভাইরাসের কারণে থমকে গেছে পৃথিবী৷ একদিকে কলকারখানা বন্ধ৷ অন্যদিকে শ্রমিকের অভাবে ক্ষেতের ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে৷ পরিবহন না থাকায় শস্য বিপণনও দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত৷ এ অবস্থায় বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষ শুরু হওয়ার যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের বেশি করে ফসল উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন৷

তিনি বলেন, ‘‘এক টুকরো জমিও আপনারা ফেলে রাখবেন না৷ ফলমূল, শাকসবজি, শস্য যা পারেন উৎপাদন করবেন, যাতে করোনা মহামারির পর বিশ্বজুড়ে যে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে তা থেকে আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করতে পারি৷

‘‘কৃষিই একমাত্র মানুষকে বাঁচাতে সক্ষম৷''

এসএনএল/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)