1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হেরে গেল ইংল্যান্ডও

২০ জুন ২০১৪

শেষ বাঁশি যখন বাজল, উরুগুয়ের বিজয়ী ছেলেরা ম্যাচের নায়ক লুইস সুয়ারেসকে নিয়ে মেতে উঠল উদযাপনে৷ মাত্র কয়েক গজ দূরে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়ানো ইংলিশ অধিনায়ক স্টিভেন জেরার্ডের চোখে তখনো অবিশ্বাস – হেরেই গেলাম!

https://p.dw.com/p/1CMl2
Fifa WM 2014 Uruguay England
ছবি: Getty Images

সুয়ারেস আর জেরার্ড দু'জনেই ইংলিশ লিগে খেলেন লিভারপুলের হয়ে৷ বৃহস্পতিবার সাও পাওলোর করিন্থিয়ান্স অ্যারেনায় সেই সুয়ারেসের দুই গোলেই ঝুলে গেল ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্বপ্ন

হাঁটুর চোটের কারণে গত এক মাসেরও বেশি সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে উরুগুয়ের এই তারকা স্ট্রাইকারকে৷ কোচ ঝুঁকি নিতে চাননি বলে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বাইরে বসেই কোস্টা রিকার কাছে ৩-১ গোলে দলের হার দেখতে হয়েছে৷ তবে বৃহস্পতিবার মাঠে নামার সুযোগ পেয়ে কোনো সুযোগই তিনি হাতছাড়া করেননি৷

ম্যাচের ৩৯ আর ৮৫ মিনিটে ইংল্যান্ডের জালে বল জড়ানোর যে দুটো সুযোগ পেয়েছেন, তার সবগুলোই লক্ষ্যভেদ করেছে সুয়ারেস৷ আর এর মধ্যে দিয়েই ১৯৭০ সালের পর বিশ্বকাপে কোনো ইউরোপীয় দলের বিপক্ষে প্রথম জয় পেল উরুগুয়ে৷

৭৫ মিনিটে ওয়েন রুনি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোলটি করে ইংল্যান্ডকে সমতা এনে দিয়েছিলেন৷ কিন্তু তাতে দলের টানা দ্বিতীয় পরাজয় এড়ানো যায়নি৷ প্রথম ম্যাচেও ইটালির কাছে একই ব্যবধানে হারতে হয়েছিল রুনিদের৷

উরুগুয়ে-ইংল্যান্ড ম্যাচে প্রথম সুযোগটি অবশ্য রুনির পায়েই এসেছিল৷ ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় তাঁর সেই ফ্রি-কিক উরুগুয়ের বাঁ দিকের বার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়৷ ৩১তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ রুনির হাতছাড়া হয়৷ জেরার্ডের ফ্রি-কিক থেকে তাঁর হেড ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে৷

খেলার ৩৯ মিনিটে এডিনসন কাভানির দারুণ এক ক্রস ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে বল পৌঁছে দেয় সুয়ারেসের মাথায়৷ প্রথম সুযোগেই চমৎকার হেডে দলকে এগিয়ে নেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার৷

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে ইংল্যান্ড৷ ম্যাচের ৫৪ মিনিটে রুনির একটি জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক ফার্নান্দো মুসলেরা৷ তবে ৭৫তম মিনিটে সেই রুনিই লক্ষ্যভেদ করেন, সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড৷

Fifa WM 2014 Uruguay England
গোল করেও দলকে রক্ষা করতে পারেননি রুনিছবি: Reuters

অবশ্য ইংল্যান্ডকে দশ মিনিটের বেশি স্বস্তিতে থাকতে দেননি ম্যাচের নায়ক সুয়ারেস৷ ৮০তম মিনিটে জেরার্ডের ভুলে বল পেয়ে ডান দিক দিয়ে তিনি ঢুকে পড়েন ইংল্যান্ডের বক্সে৷ তাঁর ডান পায়ের কোনাকুনি শটে আবারো পরাভূত হন ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক জো হার্ট৷

এই জয়ের ফলে ‘ডি' গ্রুপে তিন পয়েন্ট নিয়ে কোস্টা রিকা ও ইটালির পাশে থাকল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে৷ অন্যদিকে ১৯৬৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ আশা টিকে থাকল কেবল অঙ্কের বিচারে৷

এই গ্রুপ থেকে পরের পর্বে যেতে হলে শেষ ম্যাচে কোস্টা রিকাকে কেবল হারালেই চলবে না, উরুগুয়ের বিপক্ষে ইটালির বড় ব্যবধানে জয়ের জন্য প্রার্থনা করে যেতে হবে ইংরেজদের৷ তবে ইতিহাস বলছে, বিশ্বকাপে এসে প্রথম দুই ম্যাচে পরাজিত কোনো দলেরই আর পরের পর্বে খেলা হয়নি৷

জেকে/ডিজি (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ফিফা)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য