1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজসুদান

সুদানে হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, জানালো জাতিসংঘ

১৬ আগস্ট ২০২৩

সুদানের লড়াই চারমাস ছাড়িয়েছে। নারী এবং শিশুদের অবস্থা ভয়াবহ, রিপোর্ট প্রকাশ করল ইউএন এবং একাধিক সংস্থা।

https://p.dw.com/p/4VDYE
সুদানে গৃহযুদ্ধ
সুদানের গৃহযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী সেনার দুই অংশছবি: AFP

বিশ্বের ২০টি গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার সংস্থা এবং জাতিসংঘ যৌথভাবে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে সুদানের বর্তমান পরিস্থিতির উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্ট বলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতি চলছে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই ভয়াবহ খাদ্যসংকট তৈরি হবে সুদানে। বস্তুত, তীব্র খাদ্যসংকটের পরিস্থিতি থেকে সুদান এক পা দূরে আছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

বলা হয়েছে, খাদ্যসংকট হলে দেশের ৬০ লাখ মানুষ তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। না খেতে পেয়ে মৃত্যু হবে তাদের। বস্তুত, ইতিমধ্যেই খাবার লুঠ শুরু হয়ে গেছে। যুযুধান দুইপক্ষের সেনাই বেসামরিক মানুষের জন্য আসা খাবার এবং মানবিক সাহায্য লুঠ করছে। মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীদের উপরেও আক্রমণ চালানো হচ্ছে।

গত ১৫ জুলাই থেকে সুদানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনীর প্রধানের লড়াই শুরু হয়েছে। ফলে সামরিক বাহিনী কার্যত দুইভাগে ভেঙে গেছে। মধ্যবর্তী সময়ে আটবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলেও লড়াই থামেনি। ফলে দেশের প্রশাসন কার্যত ভেঙে পড়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারী এবং শিশুরা। নারীদের উপর অত্যাচার ৯০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে এবং যৌন হেনস্থা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী যুদ্ধে এখনো পর্যন্ত অন্তত চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৮ জন মানবাধিকার কর্মী এবং স্বাস্থ্যকর্মী আছেন। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার সঙ্গে যারা কাজ করতেন। মৃত্যু হয়েছে ৪৩৫টি শিশুর।

যুদ্ধের ফলে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন অন্তত চল্লিশ লাখ মানুষ। তারা হয় নিজের দেশে অথবা পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সুদানে।

মানবাধিকার সংগঠন এবং জাতিসংঘের বক্তব্য, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলির এবার সুদানে হস্তক্ষেপ করা উচিত। আর অপেক্ষা করলে বড্ড বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে। লাখ লাখ মানুষের প্রাণ সংকটের মুখে পড়বে। ফলে দ্রুত হস্তক্ষেপ করে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

যুযুধান দুইপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকে বসার চেষ্টা করেছে জাতিসংঘ। কিন্তু তারা লড়াই থামাতে রাজি হয়নি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)