সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, মানবাধিকারকর্মীদের উদ্বেগ
১৩ অক্টোবর ২০১২বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠক আহ্বান করেছে৷ এদিকে সীমান্ত হত্যা নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার'-এর সেক্রেটারি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন সীমান্তে গড়ে প্রতি ৪ দিনে একজন বাংলাদেশি নিহত হচ্ছেন বিএসএফ-এর হাতে৷
শুক্রবার রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি মন্ডুমালা সীমান্তে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে বিএসএফ সদস্যরা৷ গুলিতে আব্দুল খালেক (৩০) নামে একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ঘটনাস্থলে নিহত হন৷ তিনি বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার রত্নাই মারাধার গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে৷
বিজিবি'র অধিনায়ক লে. কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিএসএফ-এর সোনামতি ক্যাম্পের সদস্যরা কাটাতারের বেড়া থেকে ১০০ গজের মধ্যে গুলি ছুঁড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়৷ এনিয়ে বিজিবি লিখিতভাবে বিএসএফ-এর কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে৷ আহ্বান করছে পতাকা বৈঠকের৷ মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার'-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ সালে সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে ৩৭ জন বাংলাদেশি নিহত হন৷ আর ২০১১ সালে ৩৯ জন৷ আর চলতি বছরে এপর্যন্ত নিহত হলেন ২৩ জন৷ অধিকার'-এর সেক্রেটারি ব্যারিস্টার আদিলুর রহমান খান ডয়চে ভেলকে জানান গড়ে প্রতি ৪ দিনে ১ জন বাংলাদেশি নিহত হন বিএসএফ-এর হাতে৷
গত ২৯শে সেপ্টেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বৈঠকে সীমান্ত হত্যা শূ্ন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন বিএসএফ-এর মহাপরিচাল ইউ কে বনশাল৷ এর দেড় বছর আগে ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও একই প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল৷ তারপরও সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না৷ আদিলুর রহমান খান বলেন, ভারতের প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রাখার কোন সুযোগ নেই৷ আর বাংলাদেশের দুর্বল পররাষ্ট্র নীতির সুযোগ নিচ্ছে তারা৷
তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশের আর ভারতের প্রতিশ্রুতির দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না৷ বিষয়টি নিয়ে আমাদের আন্তর্জাতিক ফোরামে যেতে হবে৷
প্রতিবেদন : হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা : হোসাইন আব্দুল হাই