1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিলেটে বন্যা: গুজবেরও বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে গণমাধ্যমকে

২৪ জুন ২০২২

শুরুটা হয়েছিল এপ্রিলে৷ বৈশাখের তীব্র দাবদাহে দেশ যখন পুড়ছিল, সিলেটের নিম্নাঞ্চলে ধেয়ে আসে অসময়ের বন্যা৷ তারপর মে মাসের মাঝামাঝিতে এসে আবারও পরিস্থিতি অবনতি হতে থাকে৷ যা গত দেড় যুগে সিলেটের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা৷

https://p.dw.com/p/4DCcr
ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে তিন দিনে বৃষ্টিপাত হয়েছে দুই হাজার ৪৫৮ মিলিমিটার
ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে তিন দিনে বৃষ্টিপাত হয়েছে দুই হাজার ৪৫৮ মিলিমিটারছবি: Dasarath Deka/ZUMA Press/picture alliance

দিন দশেকের মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে৷ নামতে শুরু করে পানি৷ তার রেশ না কাটতেই ১০ জুন থেকে শুরু হয় বৃষ্টি৷ পাঁচ দিনের টানা বর্ষণে ১৫ জুন থেকে চলতি মৌসুমে তৃতীয় দফায় বন্যার মুখে পড়ে সিলেট অঞ্চলের মানুষ৷

ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে শুরু হয় সিলেটের ইতিহাসে ‘স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা'৷ ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েন লাখো মানুষ৷ তৃতীয় দফার প্রথম দিনে ভয়াবহতা বুঝতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়৷ কারণ ছিল, বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টিতে সিলেট বিভাগের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ যা দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে৷

কিন্তু ১৬ জুন থেকে বোঝা যায় বন্যার ভয়াবহ রূপ৷ গণমাধ্যমকর্মীরাও ছুটে যান উপদ্রুত এলাকায়৷ পানিবন্দি মানুষের দুর্দশার চিত্র যেমন তুলে ধরা হচ্ছে, তেমনি উঠে আসছে দুর্গত জনপদের দুর্দশার চিত্র৷ বার্তাকক্ষেও ছিল না অবসর৷ খবর আসে, হু হু করে বাড়ছে প্লাবিত এলাকার সংখ্যা৷

স্থানীয় প্রতিনিধির সঙ্গে কেন্দ্রীয় অফিস অর্থাৎ ঢাকা থেকেও পাঠানো হয় রিপোর্টারদের৷ প্রতিকূল আবহাওয়া, বৃষ্টিপাতের মধ্যেও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় সবশেষ খবর জানাতে ব্যস্ত ছিল সরাসরি সম্প্রচারে৷

তথ্যপ্রযুক্তির সময়ে দেশে অনলাইন পোর্টালের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি মূলধারার প্রায় প্রতিটি সংবাদমাধ্যমে যোগ হয়েছে অনলাইন সংস্করণ৷ ফলে বন্যা পরিস্থিতি ও বন্যার্তদের খবর গুরুত্বসহকারে ওঠে আসে দেশের গণমাধ্যমে৷ টেক্সট রিপোর্টিংয়ের সঙ্গে অনলাইনের সাংবাদিকেরাও সরাসরি সম্প্রচারে যোগ দিয়ে দর্শকদের জানান সবশেষ পরিস্থিতি৷

বার্তাকক্ষ থেকে মাঠের রিপোর্টারদের দেয়া হয় নানা নির্দেশনা, মাঠের বাস্তবতার সঙ্গে বার্তা সংশ্লিষ্টদের অভিজ্ঞতার মিশেলে দেয়া হয় ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকের প্রতিবেদন পরিকল্পনা৷

চলমান বন্যার মধ্যে প্রতিদিন ঢাকা থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস, বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য নিয়ে মানুষকে করা হচ্ছে সচেতন৷ সচিবালয়ের প্রতিবেদকেরাও রাখছেন ত্রাণ নিয়ে সরকারের ব্যবস্থাপনার খোঁজখবর৷

দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে৷ বন্যার পানিতে বন্ধ হয়ে যায় সিলেটের সঙ্গে দেশের রেল যোগাযোগ৷ বানের জল ঠেকাতে না পেরে বন্ধ রাখা হয় বিমানবন্দর৷ ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’ যাতে না হয়, সেজন্য বিচ্ছিন্ন করা হয় বিদ্যুৎসংযোগ৷ যদিও সময়ের ব্যবধানে পানি নামতে শুরু করেছে৷ সচল হচ্ছে সবকিছু৷

বানের জল ঠেলে মূলধারার গণমাধ্যম ঠিকই ছুটে গেছে৷ শত প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে তুলে ধরছে বন্যার্তদের হাহাকার৷ কোথায় ত্রাণ পৌঁছেছে, কোথায় পৌঁছেনি সেই খবরগুলোও কিন্তু জানিয়েছে গণমাধ্যম৷ সরকারও পেয়েছে তথ্য, নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা৷

কিন্তু নেটিজেনদের ধারণা বাংলাদেশের গণমাধ্যম এখন সরকারের প্রচারযন্ত্র৷ অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে বিশেষ করে ফেসবুককে এখন ভাবতে শুরু করেছে বিকল্প গণমাধ্যম হিসেবে৷

দেশের ‘সক্ষমতার প্রতীক’ মর্যাদা পাওয়া পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আয়োজনকে বেশি প্রাধান্য দিতে গিয়ে বন্যা সম্পর্কিত সংবাদকে উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে দাবি ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে৷ এসব দাবির সঙ্গে অনেক নেটিজেনদের সমর্থন জোগাতে দেখা যায়৷ কিন্তু বাস্তবতা কি তাই?

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে তিন দিনে (১৫ থেকে ১৭ জুন) যে বৃষ্টিপাত হয়েছে তার পরিমাণ দুই হাজার ৪৫৮ মিলিমিটার৷ যা সিলেটের সুরমা নদী হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে৷ পুরো বাংলাদেশে এক বছরে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২ হাজার ৩০০ মিলিমিটার৷

ফলে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে চেরাপুঞ্জির তিন দিনের বৃষ্টি৷ পাহাড় গড়িয়ে ভারত থেকে ঢল আকারে নেমে আসা এই বিপুল পরিমাণ বৃষ্টির পানি এবারের বন্যার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি৷

ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, ১২২ বছরের মধ্যে দেশটির ওই অঞ্চলে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে তারা৷ ঢল এসে সীমান্তবর্তী মানুষকে বাস্তুহারা করে বানের পানি প্লাবিত করেছে সিলেটের ৮০ শতাংশ আর সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ এলাকা৷ পানি নামতে শুরু করলেও, বুধবার রাত পর্যন্ত এই ছিল তথ্য৷

কিন্তু ফেসবুকে ছড়ানো হলো, সিলেটে বন্যার নেপথ্যে ভারত৷ দাবি করা হয় তিস্তার বাঁধের লকগেট খুলে দেয়ায় এই পরিস্থিতি হলো৷ অথচ কোথায় উত্তরবঙ্গ আর কোথায় সিলেট, সেই হিসাবটা কষে না দেখে ওই খবরে আস্থা রাখেন অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী৷

কিশোরগঞ্জের হাওরে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কটিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আক্রমণের শিকার হয়৷ ব্যবহারকারীদের একাংশের দাবি, এ সড়কটির কারণেই বন্যার পানি নেমে যেতে পারছে না৷

এমনকি বৈশাখে সুনামগঞ্জে অকাল বন্যায়ও এই সড়কটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছিল৷ তবে সে সময় সড়কের ১০ কিলোমিটারের আশপাশেও পানি ছিল না৷

এবারও দেখা গেছে, কিশোরগঞ্জে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম হাওরে অল ওয়েদার সড়কের দুই পাশের পানির উচ্চতায় কোনো পার্থক্য নেই৷ সেখানকার পানিতে স্রোতও নেই৷ তবে অন্যান্য বছরের সঙ্গে তুলনা করলে, এই সময়ে পানি কিছুটা বেশি রয়েছে৷

এই বন্যায় দুর্গত মানুষের সহযোগিতায় যখন মূলধারার গণমাধ্যম যখন ছুটে বেড়াচ্ছে উপদ্রুত এলাকায়, তখন অনেকের দৃষ্টিতে ‘বিকল্প গণমাধ্যম ফেসবুক' জুড়ে গুজবের ছড়াছড়ি৷ এমন সব তথ্য সেখানে হাজির করা হচ্ছে, যার কোনো ভিত্তি নেই৷

চলমান এই বন্যার সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে গণমাধ্যমকে পড়তে হয়েছে অন্য ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে৷ গুজব খণ্ডন বা ফ্যাক্টচেকও চালিয়ে যেতে হচ্ছে গণমাধ্যমকর্মীদের৷

ফেসবুকে বন্যার্তদের সংকট তুলে ধরতে নানা মানুষ নানা ছবি পোস্ট করেছেন, শেয়ার করেছেন৷ একটি ছবিতে দেখা যায় পানিতে প্রায় ডুবে যাওয়া এক শিশু মাথায় গামলা নিয়ে কোনোমতে একটি কুকুরছানাকে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷

কুকরছানা মাথায় নিয়ে পানি ঠেলে চলা শিশুটির ছবিটি কোথায় তোলা- সেটির অনুসন্ধান করতে গিয়ে সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহুর আলোকচিত্র ব্লগ ‘ফ্লিকার'-এ তথ্য পাওয়া গেছে৷ ফ্লিকারে এই ছবিটি আপলোড করা হয় ২০০৯ সালের ২৮ নভেম্বর৷ এর বিবরণে লেখা হয়েছে ভিয়েতনামের বাক লিউ রাজ্যের পরিবেশগত পরিস্থিতি৷

এবার আসা যাক একটি ভিডিওচিত্রের গল্পে৷ দেখা যায়, বিস্তৃত জলরাশির মাঝে ভাসছে একটি নৌকা৷ নেই কোনো মাঝি৷ নৌকার আরোহী বলতে দুটো বানরছানা৷ দুটির একটিকে আক্রমণ করছে পানিতে ভেসে আসা দুটি কুকুর৷ কুকুরের আক্রমণ থেকে ছানাকে রক্ষার জন্য প্রাণান্ত লড়াই করছে সঙ্গী বানর৷

সিলেট আর সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার মাঝে এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে৷ যা দেখে আঁতকে উঠছেন সবাই৷

নেটিজেনদের অনেকে আক্ষেপ করে বলছেন, বন্যায় মানুষের জীবনের সঙ্গে সঙ্গে পশুপাখির জীবনেও নেমে এসেছে বিপর্যয়৷ কেউ কেউ এই ভিডিওটি না করে বরং বানর দুটিকে বাঁচানোর চেষ্টার ওপর জোর দিচ্ছেন৷

ভিডিওটির উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, পুরো দৃশ্যায়নটি অভিনয়ের অংশ৷ যে দুটি বানর এই অভিনয়ে অংশ নিয়েছে ওদের নাম ‘লোরা’ এবং ‘কাকা’৷ আর ‘অভিনয়শিল্পী’ হিসেবে ভিডিওতে অংশ নেয়া মোটাতাজা কুকুর দুটির নাম ‘লাকি’ ও ‘লুকাস’৷

ক্যাম্বোডিয়ান এক বানরপ্রেমী নারী ‘মাঙ্কি ড্রিম’ নামে একটি ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পোস্ট করেন ২০২১ সালের ৩ মে৷

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে বন্যায় ১৭ মে থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত মারা গেছে ৪২ জন৷ দুর্গত এলাকায় বন্যাসৃষ্ট দুর্ঘটনা এবং বিভিন্ন রোগে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর৷ এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে সিলেট বিভাগে৷

বন্যার ভয়াবহতা দেখতে ছুটে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ মঙ্গলবার সকালে হেলিকপ্টার যোগে লো ফ্লাইং মোডে নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বিভিন্ন এলাকা দেখে সিলেটে অবতরণ করেন তিনি৷ সেখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগের নেতা ও মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন৷

আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে দেশের মধ্যাঞ্চল থেকে শুরু করে দক্ষিণাঞ্চলও বন্যায় আক্রান্ত হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে সবাইকে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ বলেছেন, সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে, তাই দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই৷

তানজীর মেহেদী, সাংবাদিক
তানজীর মেহেদী, সাংবাদিকছবি: Privat

প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়েও ফেসবুকে গুজব ছড়িয়েছে৷ বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সফরের কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ তাই ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ ছিল৷ অনেকে দাবি তুললেন, সড়ক বন্ধ থাকায় খাবার নষ্ট হয়েছে লাখ লাখ মানুষ অভুক্ত থেকেছে৷

অথচ এর কোনো সত্যতা মেলেনি৷ প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করা হয়নি৷ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে তার আসা-যাওয়ার সময়ে নগরের কিছু এলাকায় যান চলাচল বন্ধ ছিল৷

সবক্ষেত্রেই যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভুল তথ্য পরিবেশন করছে তা নয়৷ অনেক প্রত্যন্ত এলাকার খবরের প্রাথমিক সোর্স হিসেবেও ভূমিকা আছে ফেসবুক৷ কিন্তু এবার বন্যায় ঢালাওভাবে যে অভিযোগের তীর মূলধারার গণ্যমাধ্যমের দিকে ছোঁড়া হয়েছে, সেটি একেবারেই ভ্রান্ত৷

বানভাসি মানুষের দুর্দশার খবর সংগ্রহের সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের লড়াই করতে হচ্ছে গুজবের বিরুদ্ধে৷ বাংলাদেশে বেশিরভাগ গুজবই এখন ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে৷ অনেক ব্যবহারকারীরা সেসব তথ্য যাচাই না করেই রাখছে বিশ্বাস৷ ফলে গুজব ভাইরাল হতে সময়ও লাগছে না৷ তাই গণমাধ্যমকর্মীদের পড়তে হচ্ছে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে৷ বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখার দায়িত্বটা যেমন কাঁধে আছে, তার সঙ্গে প্রতিহত করতে হচ্ছে গুজবকে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য