1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থীদের জোর করে যুদ্ধাঞ্চলে

২৫ অক্টোবর ২০১৯

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিরিয়ার সীমান্তে নতুন করে শুরুর সময়ে অনেক সিরীয় শরণার্থীকে জোর করে যুদ্ধাঞ্চলে পাঠিয়েছে তুরস্ক৷তবে  তুরস্কের দাবি, সবাই স্বেচ্ছায় ফিরে যাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/3RwIp
Syrische Flüchtlinge an der türkisch-syrischen Grenze
ছবি: Imago/Zuma

গত জুলাই থেকে চলতি মাস, অর্থাৎ অক্টোবর পর্যন্ত কয়েকশ' শরণার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে অ্যামনেস্টি৷ তাদের মধ্যে এমন অন্তত ২০ জন সরাসরি বলেছেন, তুরস্কের পুলিশ তাদের জোর করে তুরস্ক ছাড়তে বাধ্য করেছে৷তুরস্কের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, সিরীয় শরণার্থীরা স্বেচ্ছায় নিজের দেশে ফিরেছেন৷অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের শরণার্থী ও অভিবাসীদের অধিকার বিষয়ের গবেষক আনা শিয়া বলেন, ‘‘ তুরস্ক যে বলছে সিরীয় শরণার্থীরা নিজের ইচ্ছায় ওই এলাকায় ফিরে যাচ্ছেন, এ বিষয়টা খুব বিপজ্জনক এবং অসৎ৷আমাদের গবেষণা বলছে, তাদের বরং কৌশলে অথবা জোর করে ফেরানো হচ্ছে৷''

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কয়েকশ' জনের সঙ্গে কথা বললেও তুরস্ক থেকে চলে যেতে বাধ্য হওয়া সিরীয় শরণার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি৷ তুরস্কের সরকারি হিসেব অনুযায়ী এ পর্যন্ত তিন লাখ ১৫ হাজার সিরীয় শরণার্থী নিজেদের দেশে ফিরে গেছে৷

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুরস্কের পুলিশ শরণার্থীদের নাম তালিকাভুক্ত করা বা তুরস্কে থেকে যাওয়ার অনুমতিপত্রের কথা বলে স্বেচ্ছায় নিজের দেশে ফেরার কাগজে স্বাক্ষর করায়৷ যারা আপত্তি জানান, তাদের মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে সিরিয়ায় পাঠিয়ে দেয়া হয়৷

হানা শিয়া এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, তুরস্ক আর রাশিয়া সিরীয় শরণার্থীদের ‘নিরাপদ এবং স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তনে' একমত হলেও নিরাপদ স্থান নির্ধারণের আগেই তাদের জোর করে পাঠিয়ে দেয়া খুব দুঃখজনক৷

ডানিয়েল হাইনরিশ, ক্রিস্টি প্লাডসন/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য