1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় বিমানঘাঁটিতে হানা

৩ নভেম্বর ২০১২

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি সরকারি বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহীরা৷ এই ঘাঁটি থেকে বিদ্রোহীদের বিভিন্ন আস্তানায় হামলা পরিচালনা করতো সরকারি বাহিনী৷

https://p.dw.com/p/16cIx
Source News Feed: EMEA Picture Service ,Germany Picture Service Free Syrian Army fighters with opposition flags ride a truck, which they say was captured from the Syrian army loyal to President Bashar al-Assad, in Saraqeb near Idlib October 15, 2012. Picture taken October 15, 2012. REUTERS/Shaam News Network/Handout (SYRIA - Tags: POLITICS CIVIL UNREST MILITARY CONFLICT) FOR EDITORIAL USE ONLY. NOT FOR SALE FOR MARKETING OR ADVERTISING CAMPAIGNS. THIS IMAGE HAS BEEN SUPPLIED BY A THIRD PARTY. IT IS DISTRIBUTED, EXACTLY AS RECEIVED BY REUTERS, AS A SERVICE TO CLIENTS
ছবি: Reuters

তাফতানাজ বিমান ঘাঁটিতে এমন এক সময় বিদ্রোহীরা হামলা চালালো, যখন তাদেরকে দমনে সরকারি বাহিনী বিমান হামলার পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিল৷ ইন্টারনেটে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় বলা হয়েছে, উগ্র মৌলবাদী আল-নুসরা ফ্রন্টসহ আটটি ব্যাটেলিয়ন এই হামলায় অংশ নিয়েছে৷ ভিডিওতে একটি পিক আপ ট্রাকে বসানো মিসাইল লঞ্চারও দেখানো হয়, যেটি ব্যবহার করে সরকারি সেনাদের বিভিন্ন অবস্থানে হামলা চালানো হচ্ছে৷

লন্ডনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ইডলিব প্রদেশে অবস্থিত বিমান ঘাঁটিটির আশেপাশে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ বিদ্রোহীরা এই অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের অবস্থান উল্লেখযোগ্যহারে বাড়িয়েছে৷

বিমান ঘাঁটিতে হামলার আগে অবশ্য বিদ্রোহী সেনারা সরকারি বাহিনীর একটি বিমান প্রতিরক্ষা পোস্ট দখল করে নেয়৷ এরপর সেখান থেকে প্রয়োজনীয় অস্ত্র সংগ্রহ করে ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হয়৷

এদিকে, ইউটিউবে প্রকাশিত এক ভিডিও'র কারণে বিদ্রোহী সেনারা সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ এতে দেখা যাচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার সারাকেব শহরের কাছে একটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালানোর পর দশজন সরকারি সেনাকে আটক করে বিদ্রোহীরা৷ এরপর তাদেরকে পিটিয়ে লাইনে দাঁড়া করানো হয় এবং গুলি করে হত্যা করা হয়৷

এই ভিডিও'টির সত্যতা এখনো যাচাই করা সম্ভব হয়নি৷ তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, ভিডিওটি কার্যত যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ দিচ্ছে এবং এধরনের নৃশংসতার সঙ্গে জড়িতদেরকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে৷ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নুল্যান্ড এই বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এধরনের আচরণের কোন যৌক্তিকতা কখনোই ছিল না৷ নৃশংসতার সঙ্গে জড়িতদেরকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে৷'

উল্লেখ্য, সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ায় গত মার্চ মাস ধরে চলা সরকার বিরোধী আন্দোলনে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩৬,০০০৷ শুক্রবারও সেদেশে সংঘর্ষে প্রাণ হারায় ১৮১ ব্যক্তি৷ সিরিয়া সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সমাজ একাধিক উদ্যোগ নিলেও সহিংসতা থামেনি৷

এআই / এএইচ (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য