1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় গণআন্দোলন

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২

সিরিয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা৷ তৃতীয় বৃহত্তম শহর হোমসে শনিবার ২২তম দিনের মতো হামলা চালিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনী৷

https://p.dw.com/p/14A7t
In this Wednesday, Feb. 22, 2012 citizen journalism image provided by the Local Coordination Committees in Syria and accessed on Thursday, Feb. 23, 2012, flames rise from a house from Syrian government shelling, at Baba Amr neighborhood in Homs province, Syria. A French photojournalist and a prominent American war correspondent working for a British newspaper were killed Wednesday as Syrian forces intensely shelled the opposition stronghold of Homs. (Foto:Local Coordination Committees in Syria/AP/dapd) THE ASSOCIATED PRESS IS UNABLE TO INDEPENDENTLY VERIFY THE AUTHENTICITY, CONTENT, LOCATION OR DATE OF THIS HANDOUT PHOTO
ছবি: AP

এছাড়া আলেপ্পো সহ অন্যান্য অঞ্চলেও সরকারি বাহিনীর নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে৷

এসব ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস'৷

সংস্থাটি বলছে, হোমস শহরের বাবা আমর এলাকায় সরকারি বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হয়েছে৷ এছাড়া হামলা হয়েছে খালদিয়াহ ও হামিদিয়ায়৷ এদিকে আলেপ্পোতে সেনাবাহিনী ত্যাগ করা বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ চলাকালে দুই নারী ও শিশু সহ ছয়জন মারা গেছে৷ এছাড়া আলেপ্পো শহরেরই আরেক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের দমন করতে পুলিশ গুলি চালায় বলে জানা গেছে৷

এদিকে হোমস শহর থেকে আহতদের সরিয়ে নিতে আবারও আলোচনা শুরু করেছে রেড ক্রস৷ এর আগে গতকাল শুক্রবার তারা হোমস থেকে সাতজন আহত ও বিশজন নারী ও শিশুকে ঊদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়৷ তবে হোমসে আটকা পড়া দুজন আহত বিদেশি সাংবাদিককে এখনো ঊদ্ধার করা যায়নি৷ এছাড়া নিহত দুই সাংবাদিকের মৃতদেহও আনা যায়নি৷ গত বুধবার হোমস শহরের বাবা আমর এলাকায় মর্টারের আঘাতে নিহত হন এক মার্কিন সাংবাদিক ও একজন ফরাসি ফটোসাংবাদিক৷ এছাড়া আহত হন এক ব্রিটিশ ফটোসাংবাদিক ও এক ফরাসি সাংবাদিক৷

In this Monday, Feb. 20, 2012 citizen journalism image provided by the Local Coordination Committees in Syria and accessed on Tuesday, Feb. 21, 2012, a damaged home is seen from Syrian government forces shelling, at Baba Amr neighborhood in Homs province, Syria. An opposition group says several people have been killed in heavy shelling of a district in central Syria a day after the army sent reinforcements ahead of a possible ground assault. (Foto:Local Coordination Committees in Syria/AP/dapd) THE ASSOCIATED PRESS IS UNABLE TO INDEPENDENTLY VERIFY THE AUTHENTICITY, CONTENT, LOCATION OR DATE OF THIS HANDOUT PHOTO
গোলায় বিধ্বস্ত বাড়িঘরছবি: AP

উল্লেখ্য, গত বছর মার্চ মাসে সিরিয়া বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭,৬০০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷

এদিকে এসব ঘটনার মধ্যেই আগামীকাল রবিবার একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷ এর মাধ্যমে তৈরি করা একটি নতুন সংবিধানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা হবে৷ প্রেসিডেন্ট আসাদের গঠন করা ২৯ সদস্যের একটি কমিটি নতুন এই সংবিধানটি তৈরি করেছেন৷ এতে সিরিয়ার রাজনীতিতে ‘বহুমত'এর ধারণার কথা বলা হয়েছে৷ এখনকার সংবিধানে প্রেসিডেন্ট আসাদের বাথ পার্টিকে ‘রাষ্ট্র ও সমাজের প্রধান' হিসেবে উল্লেখ করা আছে৷

তবে বিরোধীরা ইতিমধ্যে এই গণভোট বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে৷ তারা দেশবাসীকে নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে৷ বিদ্রোহীদের সংগঠন ‘লোকাল কোঅর্ডিনেশন কমিটি' এক বিবৃতিতে বলেছে, বর্তমান সরকার তার সমস্ত অপরাধ লুকোতেই এই গণভোটের আয়োজন করেছে৷ আর ৩১ বছরের সালমা বলছে, এভাবে গণভোটের আয়োজন না করে এমন নির্বাচন দেয়া উচিত ছিল যার মাধ্যেমে সংবিধান তৈরির জন্য আমরা আমাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারতাম৷ সালমা বলছেন, তিনি আগামীকাল ভোট দিতে যাবেন না৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য