1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহের খবর, গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে

১০ জুন ২০১১

সরকার বিরোধী বিদ্রোহ দমন করতে শুক্রবার আবার পুরোদমে মাঠে নেমেছে সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী৷ নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহের খবরের প্রেক্ষিতে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/11YGX
জিসর আল শুগুর শহর খাঁ খাঁ করছেছবি: dapd

সিরিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি

সিরিয়ার সরকার কড়া হাতে সবরকম বিক্ষোভ দমন করে চলেছে৷ তবে দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে তুরস্ক সীমান্তে জিসর আল শুগুর শহরে কয়েকদিন আগে বিদ্রোহীরা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ১২০ জন সদস্যদের হত্যা করেছে বলে সরকার দাবি করছে৷ তাদের দমন করতে শহরে সেনাবাহিনী প্রবেশ করেছে৷ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সূত্র অনুযায়ী সশস্ত্র বিরোধীদের আটক করতেই তাদের এই অভিযান৷ তবে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির সূত্র অনুযায়ী নিরাপত্তা বাহিনীর একাংশের মধ্যে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল৷ তখন তাদেরই দুই দলের সংঘর্ষ ঘটে৷ গোটা এলাকার প্রায় ৩,০০০ মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে৷ মনে রাখতে হবে, আরব বিশ্বের অন্যান্য অনেক প্রান্তের মতো শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর এমনিতেই সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে৷ সিরিয়ায়ও আজ তেমনটা ঘটেছে৷ দক্ষিণের দারা শহর ও বুসরা আল হারির গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ২ জন করে নিহত হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে৷ বুসরায় প্রায় ১,০০০ মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছিল৷ রাজধানী দামেস্ক, হামা, হোমস ইত্যাদি শহরেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ তবে সিরিয়ায় সংবাদ মাধ্যমের উপর কড়া নিয়ন্ত্রণের কারণে নির্ভরযোগ্য খবর পাওয়া অত্যন্ত কঠিন৷

NO FLASH Krise und Gewalt in Syrien
তুরস্ক সীমান্তে পরিস্থিতি থমথমেছবি: AP

তুরস্ক সহ আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতিক্রিয়া

সীমান্তে এমন পরিস্থিতির ফলে স্বাভাবিক কারণেই তুরস্কে দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ প্রতিদিন হাজার-হাজার শরণার্থীদের গ্রহণ করে তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা সহজ কাজ নয়৷ তুরস্কের এক সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী সরকার জরুরি ভিত্তিতে সীমান্তে ‘বাফার জোন' তৈরি করার কথা ভাবছে৷ বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান বলেন, তাঁর দেশ মানবিক কারণে সীমান্ত উন্মুক্ত রাখছে৷ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস বলেছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের শাসনের বৈধতা নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ উল্লেখ্য, জাতিসংঘে রাশিয়া ও চীনের বিরোধিতার কারণে সিরিয়ার সরকারের উপর কোনো সম্মিলিত চাপ সৃষ্টি করা যাচ্ছে না, যেমনটা লিবিয়ার ক্ষেত্রে করা সম্ভব হয়েছে৷

Krise und Gewalt in Syrien
বিক্ষোভ আর শান্তিপূর্ণ থাকছে নাছবি: AP

গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা

নিরাপত্তা বাহিনীর একাংশের মধ্যে আংশিক বা পুরোপুরি বিদ্রোহের খবর যদি সত্য হয়, তাহলে অনেকেই গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা করছে৷ তাছাড়া প্রেসিডেন্ট আসাদের সংখ্যালঘু আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংখ্যাগুরু সুন্নি মুসলিমদের সরাসরি বিদ্রোহের আশঙ্কাও প্রবল৷ মনে রাখতে হবে, ১৯৮০ সালে জিসর আল শুগুর শহরে এক সুন্নি বিদ্রোহ দেখা গিয়েছিল৷ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হাফেজ আল আসাদ কড়া হাতে তা দমন করেছিলেন৷ আজকের বিক্ষোভকারীদের একাংশ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের পথ ছেড়ে পাল্টা আঘাত করার চেষ্টা করছে৷ অতএব পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য