1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়া

৭ আগস্ট ২০১২

সিরিয়ায় খ্রিষ্টানদের উপর উগ্র ইসলামপন্থিদের আক্রমণের ঘটনা বেড়ে চলেছে৷ তারা সরকারের অনুগত বলে অনেকের সন্দেহ৷ অথচ অনেক খ্রিষ্টান আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে সংশ্লিষ্ট৷

https://p.dw.com/p/15kkQ
Archbishop Touma Iramia Gewargis, head of the Nineveh and Duhuk diocese in Iraq, speaks to Iraqi Chaldean-Assyrians who crowd the church to mark the 71st anniversay of the "Chaldean-Assyrian Martyr Day' at the Ibrahim Al-Khalil Church on the outskirts of Damascus, Sunday, 08 August 2004, a week after five churches in Iraq were bombed. The church bombings killed some 11 people and wounded more than 50 others. The ceremonies were held to mark a 1933 massacre against Chaldean-Assyrians demanding ethnic rights. More than 5,000 Christians were killed during the massacres the Chaldean-Assyrians commemorate annually 07 August. Foto: Youssef Badawi epa dpa
Christen in Syrienছবি: picture-alliance/dpa

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলেছে৷ বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন৷ অন্যরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন৷ সিরিয়ার খ্রিষ্টানরাও এর ব্যতিক্রম নয়৷ দেশের জনসংখ্যার দশ শতাংশ খ্রিষ্টান৷ এবং তাদের আশংকা, বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ সফল হলে, তাদেরও তার মাশুল গুণতে হবে৷

সিরিয়ার কুজাইর শহর থেকে পলাতক সিরীয় উদ্বাস্তুরা জার্মান ‘‘ডের স্পিগেল'' সাপ্তাহিকের এক সংবাদদাতাকে সম্প্রতি বলেছেন যে, উগ্র ইসলামপন্থিরা তাদের পরিবারের একাধিক সদস্যকে হত্যা করেছে৷ নিহতেরা বস্তুত আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নিজেদের নিয়োজিত করেছিলেন৷ কিন্তু সিরিয়ায় খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে রীতিমতো প্রচারণা চলেছে৷ তারা সরকারের চর বলে সন্দেহ করা হয়ে থাকে৷ শুক্রবারের নমাজের সময় মসজিদ প্রাঙ্গনেই বলা হয় যে, তাদের বিতাড়ন করাটা একটা পবিত্র কর্তব্য৷

গোড়ায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে খ্রিষ্টানদের সম্পর্ক ভালোই ছিল, কিন্তু বাইরে থেকে আসা ইসলামপন্থিরা বিদ্রোহীদের খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করেছে৷ এক খ্রিষ্টান যাজক ডয়চে ভেলের আরবি বিভাগকে বলেছেন: ‘‘খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযোগ করা হয়, তারা সরকারকে সাহায্য করছে৷ কিছু কিছু এলাকায় তাদের অনেক আগেই পালাতে বাধ্য করা হয়েছে৷ তাদের বলা হয়েছে, হয় তোমরা আমাদের দিকে, নয়তো তোমরা আমাদের বিপক্ষে৷''

ARCHIV - Eine maronitische Kirche (vorne) und eine islamische Moschee, aufgenommen in der syrischen Stadt Maalula (Archivfoto vom 26.10.2005). Das Dorf Maalula ist die einzige Stadt in Syrien mit einer christlichen Mehrheit in der Bevölkerung. Im Libanon, in Syrien und in Jordanien, wo arabische Katholiken, Protestanten und Orthodoxe leben, ist es relativ einfach, eine Bewilligung für den Bau einer Kirche zu erhalten. Mit Abstand am schwierigsten ist die Lage im islamischen Königreich Saudi-Arabien, wo es keine einheimischen Christen gibt und der Bau von Kirchen strikt verboten ist. Foto: Oliver Berg (zu dpa-Korr. "Kirchenerbauer haben es in der arabischen Welt nicht immer leicht" vom 03.06.2007) +++(c) dpa - Bildfunk+++
মসজিদ - গির্জার এমন সহাবস্থান সিরিয়াতে দেখা যায়ছবি: picture-alliance/dpa

ভয়-ভীতি-আতঙ্ক

আসাদ প্রশাসনের আমলে খ্রিষ্টানরা সিরিয়ায় যে মর্যাদা এবং সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে, তা অন্যান্য আরব দেশের তুলনায় অনেক বেশি -- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খ্রিষ্টান যাজকটি সে'কথা অস্বীকার করেন না৷ ‘‘অপরদিকে অনেকেরই ভয় যে, ইসলামপন্থিরা ক্ষমতায় এলে খ্রিষ্টানদের শুধু একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বলে গণ্য করা হবে, যাদের অন্যান্য নাগরিকদের মতো সব অধিকার থাকবে না,'' বললেন তিনি৷ এছাড়া ইরাকের মতো খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের আশঙ্কা আছে৷

সিরীয় সমাজতত্ত্ববিদ ইশাক কানাউ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ইসলামপন্থিরা ক্ষমতায় এলে খ্রিষ্টানরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হবে, বলে খ্রিষ্টানদের আশংকা৷ মিশর এবং বিশেষ করে ইরাকে ঠিক এই ধরণেরই অভিজ্ঞতা হয়েছে খ্রিষ্টানদের৷ তবুও সিরিয়ায় খ্রিষ্টানদের অধিকাংশ ইত্যবসরে বিদ্রোহীদের দিকে, বলে কানাউ'এর ধারণা৷ তবে তাদের অতি সাবধান থাকতে হয়, যাতে তারা কোনো তরফ থেকেই আক্রমণের সম্মুখীন না হয়৷ খ্রিষ্টানরা সরকারপক্ষের নৃশংসতায় আতংকিত, তবে তাদের উগ্রপন্থি এবং চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলির ভীতিও কিছু কম নয়, বলেন কানাউ৷

গণতন্ত্রই শ্রেষ্ঠ সুরক্ষা

‘‘গণতন্ত্রের জন্য সিরীয় খ্রিষ্টান'' নামধারী সংগঠনের মুখপাত্র জর্জ স্টেভো ডয়চে ভেলে বলেন, মাত্র স্বল্প কিছু সিরীয় খ্রিষ্টান আজ সরকারের সমর্থক৷ অধিকাংশ সিরীয় খ্রিষ্টান আজ জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ কিন্তু নীরব ভাগের অংশ৷ এমনকি সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিলে তাদের প্রতিনিধিদের অনুপাত ১০ শতাংশ৷ আলেপ্পোর ‘‘বিপ্লবি পরিষদ''-এর মুখপাত্র মোহাম্মেদ লুলে ডয়চে ভেলেকে বলেন, বহু খ্রিষ্টানকে বিপ্লবে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে৷ সম্প্রতি দামেস্কে সরকারের স্নাইপাররা পুনরায় একজন খ্রিষ্টান আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে, বলে লুলে দাবি করেন৷

অপরদিকে এ'ও শোনা গেছে যে, আসাদ প্রশাসনই খ্রিষ্টানদের মধ্যে ইসলামপন্থিদের ভীতিকে প্ররোচনা দিচ্ছে৷ জর্জ স্টেভো'র মতে সিরিয়ার খ্রিষ্টানদের বুঝতে হবে যে, কোনো সরকার কিংবা কোনো বিশেষ ব্যক্তি তাদের সুরক্ষা দিতে পারবে না৷ শুধুমাত্র গণতন্ত্র ও নাগরিক সমাজ তাদের সুরক্ষা দিতে পারে৷ তবে সিরিয়া গণতন্ত্র ও নাগরিক সমাজের দিকে অগ্রসর হবে কিনা, সে গ্যারান্টি আজ সিরিয়ার খ্রিষ্টানদের দেওয়া সম্ভব নয়৷

প্রতিবেদন: ইউসেফ বুফিদজেলিনে / এসি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য