1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুর্কি বিমান নিষিদ্ধ

১৪ অক্টোবর ২০১২

সিরিয়াগামী যাত্রীবিমান থেকে তুরস্ক সন্দেহজনক মালামাল আটক করার প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়ার আকাশসীমায় তুর্কি বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে দামেস্ক৷ এদিকে, আবাসিক এলাকায় গুচ্ছ বোমা ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে৷

https://p.dw.com/p/16PsJ
Syrians search for their property amongst destroyed buildings following aerial bombing attacks by government forces on Syria's northern city of Aleppo on October 13, 2012. Syrian rebels shot down a fighter jet in Aleppo a monitoring group and a military defector said, as fierce fighting in the region continues. AFP PHOTO/TAUSEEF MUSTAFA (Photo credit should read TAUSEEF MUSTAFA/AFP/GettyImages)
ছবি: Getty Images

চলতি সপ্তাহে মস্কো থেকে দামেস্কগামী যাত্রীবাহী বিমানে থাকা সন্দেহজনক মালামাল আটক করে তুরস্ক৷ এই ঘটনার পর সিরিয়া, রাশিয়া, তুরস্ক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাকযুদ্ধে উপনীত হয়৷ বেশ কয়েকদিন ধরে বহুপাক্ষিক প্রতিক্রিয়া শোনা গেছে৷ তবে রবিবার সিরিয়া ঘোষণা করেছে যে, মধ্যরাত থেকেই সিরিয়ার আকাশসীমায় তুর্কি বিমান চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে৷ অবশ্য তুরস্ক আগে থেকেই এ ব্যাপারে সতর্কতা গ্রহণ করে৷ তাই গত বুধবারই তুর্কি কর্তৃপক্ষ নিজেদের বিমানগুলোকে সিরিয়ার আকাশসীমা এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেয়৷

তবে বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধরত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ প্রশাসন এবারই প্রথম তুরস্কের সাথে সংঘাতপূর্ণ সম্পর্কে জড়ায়নি৷ বরং বেশ কিছুদিন থেকেই সীমান্তবর্তী এলাকায় সিরিয়া ও তুরস্ক গোলা হামলা ও পাল্টা হামলা চালিয়েছে৷ ফলে এই দুই দেশের সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবেই অবনতির দিকে এগুচ্ছে৷ শনিবার জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলের সাথে বৈঠকের পরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু৷ তিনি বলেন, আঙ্কারা সীমান্ত এলাকায় আর কোন উস্কানি সহ্য করবে না৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘তুরস্কের জাতীয় প্রতিরক্ষা হুমকির মুখে বলে মনে হলে আমরা কোন দ্বিধা না করেই পাল্টা আঘাত হানবো৷'' এ পরিস্থিতিতে জার্মান মন্ত্রী ভেস্টারভেলে তুরস্কের পাশে থাকার ঘোষণা দিলেও তাদেরকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন৷

এদিকে, গত সপ্তাহে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী আবাসিক এলাকায় রাশিয়ায় তৈরি গুচ্ছ বোমা নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ তারা বলছে, এসব গুচ্ছ বোমা যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে ফেলা হয়েছে৷ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর মারাত আল-নুমান এলাকায় এসব বোমা ব্যবহার করা হয়েছে৷

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, মানববিধ্বংসী এসব গুচ্ছ বোমার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত৷ এছাড়া ২০০৮ সালে বিশ্বের শতাধিক দেশ এই বোমা ব্যবহার, মজুত রাখা, সরবরাহ কিংবা বিক্রি নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে৷ পরে ২০১০ সালে এটি আন্তর্জাতিক আইনে পরিণত হয়েছে৷ তবে সিরিয়া, রাশিয়া, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশ এখনও এতে স্বাক্ষর করেনি৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর অস্ত্র বিভাগের পরিচালক স্টিভ গুজ এক বিবৃতিতে সিরিয়ায় এই গুচ্ছ বোমা ব্যবহারে উদ্বেগ প্রকাশ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন৷

এএইচ / আরআই (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য