1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়া সংকট

১৪ ডিসেম্বর ২০১২

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদ্রোহীদের মিত্ররা খুব খুশি৷ রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক বিবৃতিতে সেরকম রসদই ছিল৷ কিন্তু রাশিয়া জানিয়েছে, সিরিয়ার প্রশ্নে তারা আগের অবস্থানে এখনো অনড়৷

https://p.dw.com/p/172I8
ছবি: Reuters

ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের সহায়তা করা তাঁদের নৈতিক দায়িত্ব৷

সিরিয়ার বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থানটা কী তা মোটামুটি সবারই জানা৷ শুধু রাশিয়া নয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে চীনও বলে আসছে দেশটির চলমান সমস্যার সমাধান করতে হবে রাজনৈতিকভাবে, সরকার ও বিরোধীদের আলোচনার মাধ্যমে৷ কিন্তু আসাদবিরোধী দেশগুলো জাতিসংঘের কঠোর ব্যবস্থার পাশাপাশি দেশটির ওপর সরাসরি শক্তি প্রয়োগের কথাও ভাবছিল৷ জাতিসংঘেও তোলা হয়েছে এ আলোচনা৷ কিন্তু রাশিয়া আর চীনের বিরোধিতার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি৷

কিন্তু প্রায় ২০ মাস ধরে চলে আসা যুদ্ধে এখন বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনীর বেশ কোণঠাসা অবস্থা৷ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আসছে শুধু বিদ্রোহীদের সাফল্যের খবর৷ এ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি সিরিয়ার সরকার বিরোধীদের জোট এসএনসি-কে স্বীকৃতি দিয়েছে আরব বিশ্ব ও পাশ্চাত্যের আসাদবিরোধী দেশগুলো৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আছে সেই তালিকায়৷ রাশিয়া আগের অবস্থান থেকে না সরলে তারপরও তো দুশ্চিন্তা থাকেই৷ বৃহস্পতিবার রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভের এক বিবৃতি সেই দুশ্চিন্তা থেকে তাঁদের সাময়িকভাবে হলেও মুক্তি দিয়েছিল৷ বোগদানভ বলেছিলেন, ‘‘যুদ্ধের এখন যা অবস্থা তাতে আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের বিজয়ের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না৷’’

তাঁর এ বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র ভীষণ খুশি৷ সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘অবশেষে বাস্তব পরিস্থিতি বুঝে জেগে উঠেছে রাশিয়া৷ এখন তারা দেয়ালের লিখন পড়তে পারছে৷’’ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রকে হতাশ করার মতো পাল্টা বিবৃতি এসেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে৷ সেখানে বলা হয়েছে, বোগদানভ যা বলেছেন তা রাশিয়ার বক্তব্য নয়৷ তার মানে, সিরিয়ার সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে – আগের এ বক্তব্য থেকে একচুলও সরেনি রাশিয়া৷

শুক্রবার ন্যাটোর সামরিক কমিটির চেয়ারম্যান ক্নুড বারটেলস বক্তব্যেও শোনা গেছে বোগদানভের সুর৷ বারটেলস জানিয়েছেন, তাঁরও মনে হয় আসাদের পতন এখন স্রেফ সময়ের ব্যাপার৷

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হেরমান ফ্যান রমপয় বলেছেন, প্রেসিডেন্ট আসাদের অনুগত বাহিনীর হামলায় সিরিয়ায় প্রতিদিন অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ মারা যাচ্ছে, এ অবস্থায় বিদ্রোহীদের যতভাবে সম্ভব সহায়তা করা এখন নৈতিক দায়িত্ব৷ ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইইউ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন৷

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

NATO Außenminister Treffen
ন্যাটো পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠক...ছবি: AFP/Getty Images
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য