সিত্রাংয়ে ভেসেছে উপকূল
এক রাতের সিত্রাংয়ে ঘর ভেসেছে বহু মানুষের। মৃত নয়। বিদ্যুৎহীন বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
অমাবস্যার ঝড়
অন্য ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে সিত্রাংয়ের গতিবেগ অনেকটাই কম ছিল। স্থলভাগে এই সাইক্লোন প্রবেশ করেছে ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে। কিন্তু অমাবস্যার কটাল থাকায় উপকূলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভালোই।
তছনছ বাড়ি
দেখে মনে হচ্ছে কেউ যেন হাত দিয়ে ভাঁজ করে দিয়েছে এই কাঁচা বাড়িটি। সিত্রাংয়ের প্রভাবে এভাবেই নষ্ট হয়েছে উপকূলের বহু কাঁচা বাড়ি। এই ছবিটি চট্টগ্রাম উপকূলবর্তী অঞ্চলের।
ভাঙা টিউবওয়েল
ঝড়ের দাপটে টিউবওয়েলের হাতল খুলে গেছে। উড়ে গেছে বহু বাড়ির চাল।
ঘরের ভিতর জল
উপকূলবর্তী বহু বাড়িতেই জল ঢুকেছে। তেজকটালে জায়গায় জায়গায় জোয়ারের জল ছয়-সাত ফুট পর্যন্ত ফুলেছে। যার জেরে ভেসে গেছে সংলগ্ন জনপদ।
ক্ষয়ক্ষতির হিসেব
ক্ষয়ক্ষতির হিসেব এখনো সম্পূর্ণ মেলেনি। এখনো বহু অঞ্চলে বিদ্যুৎ নেই। গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ। তবে সকাল হতেই স্থানীয় মানুষ এলাকা দেখতে গেছেন।
রোদ উঠছে
সারা রাত ঝোড়ো হাওয়ার পর ভোরের দিকে চট্টগ্রাম উপকূলে রোদও উঠেছে। তবে জল জমে আছে প্রায় সর্বত্র।
ত্রাণশিবিরের অবস্থা
গোটা উপকূলবর্তী অঞ্চলে সাত হাজার ত্রাণশিবির খোলা হয়েছিল। সেখানে ছয়লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ঝড় চলে গেছে, কিন্তু ত্রাণশিবির থেকে সকলে বাড়ি ফিরতে পারবেন কবে, কেউ জানে না। অনেকরই বাড়ি তছনছ হয়ে গেছে।
আতঙ্কের রাত
সারা রাত আতঙ্কে কেটেছে সকলের। ঘুম আসেনি। ভোরে অনেকেই ফিরে গেছেন গ্রামে, ঘরবাড়ির অবস্থা দেখতে।