1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিকিমে প্রবল বৃষ্টি, বন্যা, ধসে মৃত ছয়

১৪ জুন ২০২৪

লাগাতার বৃষ্টির ফলে উত্তর সিকিমের লাচুং, লাচেন, চুংথাঙ্গ বিপর্যস্ত। চকিত বন্যা, প্রবল ধসে ছয়জনের মৃত্যু। দেড় হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন।

https://p.dw.com/p/4h15X
প্রবল বৃষ্টির পর তিস্তার জলস্তর বেড়ে গেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরের ছবি।
সিকিমে প্রবল বৃষ্টির পর ধস, বন্য়ায় ছয়জন মারা গেছেন। প্রচুর বাড়ি ভেঙেছে। ছবি: Indian Army/AP/picture alliance

লাচুং, লাচেন-সহ উত্তর সিকিমের জায়গাগুলি পর্যটকদের খুবই প্রিয়। সেখানেই গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে বহু জায়গায় ধস নেমেছে। বেইলি সেতু বন্যার জলের তোড়ে ভেঙে গেছে। গতবছর বন্যায় এই ব্রিজটি ভেঙে গেছিল। তারপর নতুন করে তা বানানো হয়। সেই ব্রিজও বন্যায় ভেঙে গেলো। বহু রাস্তা ধস নেমে বন্ধ হয়ে গেছে। বহু বাড়ি ভেঙে গেছে। এই জায়গাগুলি দেশের বাকি এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন, দেড় হাজারের বেশি পর্যটক বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন। তাদের সেই সব জায়গায় এখন থাকতে বলা হয়েছে। বিকল্প রাস্তা খুললে এবং গাড়ি চলাচল শুরু হলে তারা নামতে পারবেন।

মঙ্গনের জেলাশাসক জানিয়েছেন, অম্ভিথাং এবং পাকশেপ গ্রামে তিনজন করে মোট ছয়জন মারা গেছেন। প্রচুর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকশেপে একটি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।

ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ নিয়ে প্রশাসন সবচেয়ে বেশি চিন্তায় পড়েছে। কারণ, জায়গাগুলি বন্যা ও ধসের ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সেখানে যেতে অসুবিধা হচ্ছে।

সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিং তামাং অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর শপখগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সরকার ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ এবং মানুষের কাছে দ্রুত সাহায্য পৌঁছে দেয়ার জন্য চেষ্টা করছে।

আগামী দুই দিন সিকিমে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস আছে। বুধবার গ্যাংটকে ৬১, গেজিংয়ে ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাভাংলাতে হয়েছে ১১৯ মিলিমিটারের বেশি। মঙ্গন জেলাতে হয়েছে ২২০ মিলিমিটার।

উত্তরবঙ্গের অবস্থা

বর্ষার শুরুতেই সিকিমের এই বিপর্যয়ের আঁচ এসে লেগেছে উত্তরবঙ্গে। তিস্তার জলস্তর বেড়েছে। সরস্বতীপুর থেকে গজলডোবা, দোমোহানির সেতু পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতবছরই সিকিমে বৃষ্টির জেরে তিস্তা ভয়ংকর রূপ নিয়েছিল।

উত্তরবঙ্গেও বর্ষা এসে গেছে। জলপাইগুড়ি থেকে জল ছাড়ায় তিস্তার নিচের দিকের অংশে জল বেড়েছে। সিকিমে বৃষ্টির জেরে তিস্তা ভয়ংকর হয়ে ওঠায়, উত্তরবঙ্গে যখন প্রবল বৃষ্টি হবে, তখন তিস্তা কী রূপ নেবে তা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। 

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, আনন্দবাজার)