1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিকিম-চীন সীমান্তে তুষারধস, মৃত অন্তত সাত

৪ এপ্রিল ২০২৩

মঙ্গলবার দুপুরে আচমকাই তুষারধস নামে নাথুলায়। বরফের তলায় তলিয়ে গিয়ে অন্তত সাতজন পর্যটকের মৃত্যু।

https://p.dw.com/p/4Pg7B
নাথুলা
ফাইল চিত্রছবি: Diptendu Dutta/AFP/Getty Images

সিকিম-চীন সীমান্তে নাথুলা সারা বছরই পর্যটকে ছেয়ে থাকে। চীন সীমান্তের এই পাহাড়ি পাসে মঙ্গলবার বেলা ১১টা ১০ নাগাদ আচমকাই তুষার ধস নামে। সেনাবাহিনীর তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, সে সময় ওই জায়গায় পাঁচ-ছয়টি পর্যটক-বোঝাই গাড়ি ছিল। ভিতরে অন্তত ৩০ জন পর্যটক ছিলেন। সকলেই বরফের তলায় তলিয়ে যায়।

তুষারধস থামার সঙ্গে সঙ্গে সেনার ত্রিশক্তি বাহিনীর জওয়ানরা উদ্ধারকাজে নেমে পড়ে। সঙ্গে হাত লাগায় বিআরও-র কর্মীরা। আবহাওয়া খারাপ থাকায় দ্রুত উদ্ধারকাজ সম্ভব হচ্ছে না। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত জানিয়েছেন, বিকেল চারটে পর্যন্ত ২৩জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জনকে গভীর উপত্যকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সকলকেই সেনাবাহিনীর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তুষারধসের জন্য রাস্তায় আটকে পড়ে অন্তত ৮০টি পর্যটকের গাড়ি। সব মিলিয়ে ৩৫০ জন পর্যটক রাস্তাতেই আটকে আছেন বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে। কিন্তু তারা আহত হননি। রাস্তা পরিষ্কার করে তাদের গ্যাংটকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

ভারত-সিকিম সীমান্তের নাথুলা একটি হাই অলটিটিউড পাস। পাসের একদিকে চীনের সেনা, অন্যদিকে ভারতের। মাঝে ফটক তৈরি করা হয়েছে। পর্যটকেরা একেবারে চীন সীমান্ত পর্যন্ত যেতে পারেন।

এসজি/জিএইচ (ভারতীয় সেনার বিবৃতি)