সালোন সীমান্তে ২ হাজার বাংলাদেশি
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১সেখানে তারা নি:স্ব অবস্থায় অবস্থান করছেন৷ খাবার মিলছেনা, নেই কোন তাবু৷ খোলা আকাশের নীচে তাদের থাকতে হচ্ছে৷ সারাদিনে মেলে একটি বা দু'টি রুটি৷
মাদারীপুরের নাঈম হোসেন কাজ করতেন লিবিয়ার ধালনা শহরে কোরীয় উন নির্মাণ কোম্পানিতে৷ কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি খারাপ দেখে কোম্পানি গুটিয়ে চলে গেছে৷ কিন্ত ওই কোম্পানির সাড়ে ৪ শ' বাংলাদেশি শ্রমিককে তারা ফেলে রেখে যায়৷ ছয় দিন আগে তাঁরা জীবন বাঁচাতে কোনভাবে লিবিয়া সীমান্ত পার হয়ে মিশরের সালোন সীমান্তে পৌঁছোন৷ এখন সেখানে আরো অনেক বাংলাদেশী অবস্থান নিয়েছে৷ কিন্তু সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার কেউ নেই৷
নাইম জানান, তাদের কোম্পানিতে হামলার সময় বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন৷ তাদের একজন সেখানকার হাসপাতালে রয়েছেন৷
সালোন সীমান্তে অবস্থানরত আরেক বাংলাদেশি টাঙ্গাইলের মো. সেলিম জানান, তাদের দিনে একটি বা দুটির বেশি রুটি জোটেনা৷ পানি নেই৷ থাকতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে৷ তিনি তাদের উদ্ধার করে কায়রো নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন৷
তারা দু'জন জানান, ওই সীমান্তে তাদের সহায়তার জন্য কোন বিদেশি সংস্থাও এগিয়ে আসছেনা৷ শুধুই সীমান্ত রক্ষীরা আছেন৷ পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট না থাকায় তারা মিশরের ভেতরেও ঢুকতে পারছেন না৷ জিরো পয়েন্টেই থাকতে হচ্ছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে, ঢাকা
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম