সার্বিয়া-কসোভো সীমান্তে উত্তেজনা
গাড়ির নম্বর-প্লেট নিয়ে সার্বিয়া-কসোভো সীমান্তে উত্তেজনা। সীমান্তে ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে সার্বিয়া।
পুরনো লড়াই
১৯৯৯ সালে কসোভোর আলবেনিয়ান জনগোষ্ঠীর উপর আক্রমণ চালিয়েছিল সার্বিয়ার প্রশাসন। এরপর ২০০৮ সালে সার্বিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করে কসোভো। যদিও সার্বিয়া তা মেনে নেয়নি।
গাড়ির নম্বর-প্লেট
সার্বিয়া-কসোভো সীমান্তে উত্তেজনা লেগেই থাকে। কসোভো থেকে কোনো গাড়ি সার্বিয়ায় ঢুকলে সার্বিয়া কসোভোর নম্বর-প্লেটকে মান্যতা দেয় না। সীমান্তে নতুন নম্বর প্লেট লাগাতে হয় কসোভোর গাড়িতে। যা নিয়ে একাধিকবার আপত্তি তুলেছে কসোভো।
কসোভোর উত্তর
সম্প্রতি কসোভো নিয়ম চালু করেছে যে, সার্বিয়ার গাড়ি কসোভোয় ঢুকলে পাঁচ ইউরো খরচ করে নতুন নম্বর-প্লেট কিনতে হবে। এতেই কসোভোর সীমান্তে বসবাসকারী সার্বিয়ার জনগোষ্ঠীর মানুষ আপত্তি তুলেছে। তারা রাস্তা অবরোধও করেছে।
কসোভোর বাহিনী
সার্বিয়ার জনগোষ্ঠীর মানুষের আন্দোলন থামাতে সীমান্ত অঞ্চলে সেনা পাঠিয়ে দেয় কসোভো। আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় তারা।
সার্বিয়ার জবাব
এরই জবাবে সীমান্তে ট্যাঙ্ক এবং যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে দেয় সার্বিয়া। সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, সার্বিয়া শান্তি চায় কিন্তু কসোভো সার্বিয়াকে অপমান করলে তার জবাব দেওয়া হবে।
ন্যাটোর হস্তক্ষেপ
কসোভোয় চার হাজার ন্যাটোর সেনা থাকে। ১৯৯৯ সাল থেকে ন্যাটোর সেনা সেখানে অবস্থান করছে। লড়াই বন্ধ করতেই তারা সেখানে আছে। সার্বিয়া সীমান্তে সেনা মোতায়েন করার পরে ন্যাটো হস্তক্ষেপ করেছে। দুই দেশকেই শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।
অ্যামেরিকা এবং ক্যানাডা
সার্বিয়ায় মার্কিন এবং ক্যানাডার দূতাবাস থেকে সামরিক কূটনীতিকরা কসোভো সীমান্ত ঘুরে এসেছেন। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতেই তারা সেখানে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।
রাশিয়ার অবস্থান
সার্বিয়ার মতো রাশিয়াও কসোভোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে মানে না। সাম্প্রতিক উত্তেজনার পরে সার্বিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রাশিয়া।
আলবেনিয়ার অবস্থান
আলবেনিয়া কসোভোকে সমর্থন করছে। সার্বিয়া যেভাবে সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে, তার সমালোচনা করেছেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী।