1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সারাদেশে জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু

১৫ জুন ২০২২

জনশুমারি ও গৃহগণনা কাজ শুরু হয়েছে সারাদেশে ৷ রাত ১২টাকে ‘শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট' ধরে তথ্য সংগ্রহকারীরা এ কাজ শুরু করেন৷ ফেনীতে মধ্যরাতে ছিন্নমূল মানুষের কাছে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন সংশ্লিষ্টরা৷

https://p.dw.com/p/4Cikp
প্রতীকী ছবিছবি: bdnews24.com

তথ্য সংগ্রহকারীরা সপ্তাহব্যাপী জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু করেন, শেষ হবে ২১ জুন৷ফেনী শহরের রেলওয়ে স্টেশন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর, রাজাঝির দিঘীর পাড়ের ছিন্নমূল মানুষের তথ্য সংগ্রহের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তথ্য সংগ্রহকারীদের সহায়তা করেন৷

রাত সাড়ে ১২টায় ফেনী রেলওয়ে স্টেশন সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মাহমুদুল করিম ও নাজমুল হাসান নামে দুই তথ্য সংগ্রহকারী জনশুমারির কাজ করছেন৷ স্টেশন এলাকায় থাকা ভাসমান মানুষের তথ্য তারা সঙ্গে থাকা নেটযুক্ত ট্যাবে সংগ্রহ করছেন৷

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তথ্য সংগ্রহকারী মাহমুদুল করিম বলেন, রেলওয়ে স্টেশন এলাকার ভাসমান মানুষকে ঘুম থেকে উঠিয়ে ৪৫টি প্রশ্নের তথ্য সম্বলিত ছক পূরণ করা হচ্ছে৷ নাম, জেলার নাম, বয়স, কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা, মোবাইল নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে৷

তথ্য সংগ্রহকারী নাজমুল হাসান বলেন, এ এলাকায় দুজন কাজ করছেন৷ জনশুমারি কাজ শুরুর আগে এই স্থানে কয়েক দফায় প্রাথমিক জরিপ করা হয়েছে৷ ওই জরিপের মাধ্যমে ধারণা করা হচ্ছে, স্টেশন এলাকায় অন্তত ৬০ জনকে জনশুমারির আওয়তায় আনা যাবে৷

জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, ‘‘জনশুমারির কাজে নিয়োজিত তথ্য সংগ্রহকারীদের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে৷ আমি নিজেই রাত ১২টায় ফেনী রেলওয়ে স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহকারীদের কাজ তদারকি করেছি৷’’

ফেনী মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন জানান, এ কাজে সহায়তার জন্য এরই মধ্যে তথ্য সংগ্রহকারীদের বিট পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম ও মোবাইল নাম্বারের তালিকা দেওয়া হয়েছে৷ যখনই প্রয়োজন তারা সহায়তা করবেন৷

পরিসংখ্যান বিভাগ ফেনীর উপ-পরিচালক গৌতম পাল বলেন, জেলার ছয় উপজেলায় ৩৩ জন জোনাল অফিসার, ৩৩ জন আইটি সুপারভাইজার, ৫৭৪ জন সুপারভাইজার, তিন হাজার ২৮৯ জন তথ্য সংগ্রহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷ তারা বুধবার থেকে সাত দিনের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ করবেন৷

জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেন, ‘‘সবার আন্তরিকতা নিয়ে জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ সফল করতে চাই৷ সঠিক তথ্য দিয়ে গণনাকারীদের সহায়তা করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ রাখছি৷’’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে প্রথম আদমশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালিত হয়৷ এরই ধারাবাহিকতায় ১০ বছর পর পর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ এবং পঞ্চম আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়৷ 

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)