সাবেক পূর্ব জার্মানির সঙ্গে নতুন প্রজন্মের সম্পর্ক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০পেট্রা লিনসেন একটি স্কুলে ইতিহাস পড়ান৷ নতুন প্রজন্মের কাছে জার্মানির ইতিহাস কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ভেঙ্গে পড়া বার্লিন প্রাচীর সম্পর্কে কে কতটা জানে? এসব প্রশ্নের উত্তরে অর্ধেকেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী ইতিবাচক সায় দেয়৷ কিছু না কিছু সবাই জানে৷
শিক্ষিকা প্রশ্ন করেছিলেন, বার্লিন প্রাচীরের গায়ে ছিল নানা রঙের অসংখ্য গ্রাফিটি আর স্লোগান, বিষয়টি ভাবতে কেমন লাগছে ? কেমন ছিল দেখতে সাবেক পূর্ব জার্মানির দেয়ালটি ? এক ছাত্র মুখ বাঁকা করে বলল, ‘‘কখনোই এমন কিছু ছিল না৷ কারণ দেয়ালের কাছে কেউই যেতে পারতো না৷'' আরেকজন ছাত্রী বলল, ‘‘সারাক্ষণই প্রাচীরের কাছে কড়া পাহারা বসানো থাকতো৷ তীক্ষ্ণ নজর রাখা হতো দেয়ালের দু'পাশেই৷''
পূর্ব-পশ্চিমের অদৃশ্য দেয়াল
আজকের যুগের ১৭-১৮ বছরের ছেলেমেয়েদের কাছে বিভক্ত জার্মানি, ভেঙে পড়া প্রাচীর এবং দুই জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের চাক্ষুষ কোন স্মৃতি নেই৷ সব কিছুই তারা দেখে ছবিতে, টেলিভিশনে বা পত্রিকার পাতায়৷ তবে একটি কথা সত্য৷ এদের চিন্তা-ভাবনায় কোন দেয়াল নেই৷ এপারে কী আছে, আর ওপারে কী নেই – এ ধরণের ভাবনা থেকে মুক্ত এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা৷
তরুণ প্রজন্মের চিন্তা-চেতনা, তাদের চলাফেরা নিয়ে গবেষণা করছেন টোমাস গেনসিকে৷ মিউনিখের একটি ইন্সটিটিউটে তিনি কাজ করছেন৷ তিনি বললেন, ‘‘২০ বছর পর জার্মানির ছেলে-মেয়েরা এক হয়ে মিশতে পারছে৷ ‘আমি পূর্বের আর ও পশ্চিমের' – এই বোধগুলো নেই৷ তবে একথা সত্যি, আর্থিকভাবে পূর্বের চেয়ে পশ্চিমের ছেলেময়েদের অবস্থা অনেক ভাল৷ পূর্বের ছেলে-মেয়েরা চাকরি, ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ খুঁজতে আসে পশ্চিমে৷ আর এ কারণেই বোধ করি পূর্বাঞ্চলে বেকারত্বের হার এখনো অনেক বেশি৷''
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন