সাবাস! এই না হলে হাতির বাচ্চা!
১৪ জুন ২০১৭ভিডিওটি গত ২৫শে মে আপলোড করা৷ এ পর্যন্ত দেখেছেন লাখ দেড়েক দর্শক৷
মারিয়া আর আর্নল্ড ইয়ানসেন আসলে পোলোকভানে-তে ছিলেন তাঁদের এক বন্ধুর বাড়িতে৷ পরে এক দিনের জন্য ক্রুগার ন্যাশবাল পার্কে বেড়াতে যান৷ হাজার হোক ক্রুগার ন্যাশনাল পার্ক বলে কথা, যেখানে নাকি গ্যারান্টি দিয়ে আফ্রিকার জীবজগতের ‘বিগ ফাইভ' অর্থাৎ সিংহ, চিতাবাঘ, গণ্ডার, বুনোমোষ আর হাতির দেখা পাওয়া যায়৷
ইয়ানসেনদের কপাল ভালো৷ প্রথমেই দেখলেন ১০০টি বুনোমোষের একটি দঙ্গল, সাথে অনেক বাছুরও ছিল৷ এভাবেই গাড়িতে করে সারাটা দিন ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে ঘুরলেন৷ দিনের শেষে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়া পিচের রাস্তা ধরে অর্পেন গেটের দিকে ফিরছেন৷ ঠিক তখনই দেখেন উল্টো দিক থেকে আসছে একটি হাতি পরিবার৷ বিশেষ করে টন তিনেক ওজনের এক মা আর তার খোকা হাতি৷ অর্থাৎ আমাদের বীরপুরুষ৷
বাকি গল্পটা বলে দিলে ভিডিও-র মজা মাটি হয়ে যাবে৷ শুধু এটুকু বললেই হলো যে, বীরপুরুষের কারণেই কিনা কে জানে, হাতিরা রাস্তা ছাড়ার উপক্রম করতে গিয়েও শেষমেশ রাস্তায় রয়ে গেল৷ কেননা, একরত্তি বাচ্চা হাতি তখন হাঁকডাক দিয়ে, ল্যাজ আর শুঁড় নাড়িয়ে, হাতপাখার মতো কানগুলো দুলিয়ে, ঠিক বড়দের অনুকরণে গাড়ির দিকে তেড়ে তেড়ে আসছে আর এই দাঁত-বার-করে-হাসা টুরিস্টগুলোকে ভয় দেখাচ্ছে, ‘‘খবদ্দার যদি মা-কে কিছু করো!''
মা-কে দেখলে কিন্তু একবারও মনে হবে না যে সে বিষয়ে তার বিশেষ চিন্তা আছে৷ বরং খোকা যাতে হম্বিতম্বি করতে গিয়ে খানাখন্দে পড়ে না যায়, তাই নিয়েই মায়ের চিন্তা৷
হাতিরা দুলকি চালে এগোচ্ছে, বীরপুরুষ রেগেমেগে বলছে, ‘‘দাঁড়াও আমি বড় হই, আমার চার-পাঁচ টন ওজন হোক৷ তারপর দেখব তোমরা ভয় পাও কিনা৷'' ওদিকে সাফারি গাড়ি ব্যাক করছে৷ তারই মধ্যে খুব সম্ভবত আর্নল্ড ইয়ানসেন ঠাট্টা করে মারিয়াকে বলছেন, ‘‘দেখলে তো? হি ইজ এ বিগ ম্যান!''
এসি/এসিবি