1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশগ্রিস

সান্তোরিনির গ্রিক তরুণীর কথা

২২ নভেম্বর ২০২৪

ছুটির স্বর্গে বসবাসের অভিজ্ঞতা কেমন? আঠারো বছর বয়সি গ্রিক তরুণী আনা ডেলামানি আমাদেরকে সান্তোরিনির কথা জানিয়েছেন৷ দ্বীপটির বাসিন্দা তিনি৷

https://p.dw.com/p/4nKJn
সান্তোরিনি একটি বাড়ির ব্যালকোনিতে আনা ডেলামানি
পর্যটকদের ভিড়ে বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা কেমন জানিয়েছে আনা ডেলামানিছবি: DW

গ্রিসের সবচেয়ে সুপরিচিত দ্বীপ সান্তোরিনি৷ সেটির নীল গম্বুজ গির্জাগুলো ইন্সটাগ্রামে ভেসে বেড়ায়৷ এক স্বপ্নের গন্তব্য৷ আগ্নেয়গিরির দ্বীপটি বছরে ত্রিশ লাখের মতো পর্যটককে আকৃষ্ট করে৷ তবে দ্বীপটির বাসিন্দা মাত্র বিশ হাজার৷  

তাদের একজন আনা ডেলামানি৷ বয়স ১৮, গত গ্রীষ্মে স্কুল শেষ করেছেন৷ ভবিষ্যতে নার্স হতে চান৷ কিন্তু পর্যটকদের ভিড়ে বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা কেমন?

আনা ডেলামানি বলেন, ‘‘আমার ঘরটি পুরনো৷ মালিক আমার দাদা-দাদী, সংস্কার করে আমরা থাকছি৷ গ্রিসে রাস্তার বেড়াল দত্তক নেয়া যায়৷ আমি এক বেড়ালের প্রেমে পড়ে ঘরে এনেছি৷'' 

আনার বড় ভাই এথেন্সে পড়াশোনা করেন৷ তারও শিক্ষা চালিয়ে যেতে দ্বীপটি ছাড়তে হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি শীঘ্রই পড়াশোনার জন্য এথেন্স চলে যাবো৷ সান্তোরিনিতে আমাদের সেই কাঠামো নেই৷ এখানে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই৷ ফলে আমাকে নতুন এক লাইফস্টাইল রপ্ত করতে হবে যা সান্তোরিনি থেকে একেবারেই ভিন্ন৷''

তিনি এখানে যতটা সম্ভব ঘনঘন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেন৷ তার দ্বীপের সব কোনায় কোনায় পর্যটকদের প্রতি আকর্ষণের নমুনা মেলে৷ 

আনা ডেলামানি নির্মাণ কাজ চলছে এমন এক এলাকা দেখিয়ে বলেন, ‘‘এটা একসময় বিপণনকেন্দ্র ছিল, কিন্তু এখন এটিকে হোটেলে রুপান্তর করা হচ্ছে৷ আরো অনেক ভবনের একই পরিণতি হয়েছে৷ সামগ্রিকভাবে পর্যটনের ক্ষেত্রে সান্তোরিনির স্থানীয় বাসিন্দাদের গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না যা এক লজ্জার ব্যাপার৷’’

বাসিন্দাদের চোখে পর্যটন স্বর্গ সান্তোরিনি

ব্যস্ত দ্বীপটি শীতকালে প্রায় জনশূন্য হয়ে যায়৷ স্থানীয় তরুণদের জন্য এর অর্থ হচ্ছে, অধিকাংশ দোকানপাটই বন্ধ৷ ফলে তেমন কিছু করার থাকে না৷ তখন তাদের পর্যটন মৌসুমের অপেক্ষা করতে হয়৷   

আনা ডেলামানির এক প্রিয় স্থান ক্যালডেরা৷ তিনি বলেন, ‘‘ভিউয়ের জন্য এটি পর্যটকদের কাছে সেরা গন্তব্য৷ ওখানে আগ্নেয়গিরি রয়েছে এবং প্রায় পুরো দ্বীপটিই এখান থেকে দেখা যায়৷ আমরা স্থানীয়রা পাহাড়ের উপরের ক্যাফেগুলোতে যাই না কারণ দাম অনেক চড়া৷ আমরা পাহাড়ের পাদদেশে অপেক্ষাকৃত সস্তা ক্যাফেতে যাই৷ অথবা বেঞ্চে বসে কিয়স্ক থেকে কেনা কিছু পান করি৷''

আনা প্রায়ই তার বন্ধুদের সঙ্গে সমতা নিয়ে আলাপ করেন৷ লিঙ্গ সমতা সূচকে গ্রিসের অবস্থান ইইউভুক্ত ২৭ দেশের মধ্যে ২৪তম৷ চাকুরি, অর্থ এবং শিক্ষার মতো জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোতে সমতার বিষয়টি তুলে ধরা হয় এই সূচকে৷ গ্রিস এক্ষেত্রে উন্নতি করলেও অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে৷   

গ্রিসে তরুণদের বেকারত্বে হার ২২ দশমিক পাঁচ শতাংশ৷ এক্ষেত্রে বিশেষ করে নারীরা পিছিয়ে আছেন বেশি৷ আনা অবশ্য উদ্বিগ্ন নন৷ তিনি বলেন, ‘‘সান্তোরিনিতে সামগ্রিকভাবে অনেক পর্যটন রয়েছে, ফলে সংকট কখনোই বড় প্রভাব ফেলেনি৷ এথেন্স এবং অন্যান্য স্থানে যখন কঠিন সময় চলছিল আমরা তার প্রভাব কখনোই আসলে টের পাইনি৷''

সপ্তাহে কয়েকবার বাস্কেটবল অনুশীলন করেন আনা৷

অনুশীলনের পর বন্ধুদের নিয়ে সমুদ্রতটে আড্ডা দিতে যান তিনি৷ আনার মতো তার অধিকাংশ বন্ধুকেই ক্যারিয়ার গড়তে দ্বীপটি ছেড়ে যেতে হবে৷ বিষয়টি তাকে বিষন্ন করে৷  

প্রতিবেদন: থিওডোরা মাভ্রোপুলস/এআই

সবুজ নগরী হতে চায় গ্রিসের যে দ্বীপ