‘সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব হয়ে গেছে, গৃহযুদ্ধের দিকে দেশ’
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ডয়চে ভেলে: ২০২৪ তো আমাদের জীবনে একটি ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। এখন রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন দেখছেন?
ফরহাদ মজহার: রাজনীতিতে যে গুণগত পরিবর্তন হয়েছে সেটা আমরা চূড়ান্ত রূপে দেখতে পারবো কিনা সেটা নির্ভর করে জনগণের যে সার্বভৌম ক্ষমতা, সেটা আমরা ক্ষমতার দ্বারা রুপান্তর করতে পেরেছি কিনা। একটা গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। সেই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণ ক্ষমতায় যেতে পারেনি- যেটা হওয়া উচিত ছিল। যদি জনগণ ক্ষমতায় যেতে পারতো, তাহলে বাংলাদেশকে আমরা নতুনভাবে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে পারতাম। গণআন্দোলন থেকে গণশক্তি। গণশক্তি থেকে গাঠনিক ক্ষমতা। এই রূপান্তরটুকু আমরা করতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা। এজন্য আমি এটাকে সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব বলছি। আইনের কথা বলে জনগণের অভিপ্রায়কে নস্যাৎ করে দেয়া হয়েছে। পুরনো সংবিধানের অধীনে, ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীনে আমরা নিয়ে গিয়েছি পুরো গণঅভ্যুত্থানকে। উচিৎ ছিল এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসবেন, তারা বলবেন, ‘‘আমাদের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য হলো বাংলাদেশের জণগণকে একটি নতুন সংবিধান উপহার দেয়া। সেটা হয়নি। ফলে গণঅভ্যুত্থানটা একটা সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লবের মধ্য দিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। তবে লড়াইটা চলবে। এই লড়াইটা কীভাবে শেষ হয়, কে কীভাবে ভূমিকা রাখে সেটা দিয়েই আগামীর বাংলাদেশ, রাজনীতি ঠিক হবে। ফলে সামনে বেশ কিছু সময় আমাদের অস্থিরতার মধ্যে কাটবে। যে গণঅভ্যুত্থানটা সফল হলো না। সেটাকে সফল করাই এখন আমাদের বড় কাজ।
বিপদের দিকটা হলো সরকার ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলের কাছে নতজানু হয়ে গেছে, পরাজিত হয়ে গেছে। তারা ইতিমধ্যে কোনো সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কমিশনকে বসিয়ে দিয়েছে এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার কি তাহলে চার সাড়ে চার মাসে সংস্কার প্রক্রিয়া স্পষ্ট করতে পেরেছে?
অবশ্যই পেরেছে। সবগুলো নস্যাৎ করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। আমরা সম্পূর্ণ বিজয় করতে পারিনি। ড. ইউনূসকে পূর্ণ ক্ষমতা না দিয়ে আমরা একটা উপদেষ্টা সরকার বানিয়েছি। তাকে দোষ দিয়ে তো লাভ নাই। এটার জন্য সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক দলগুলো দায়ী। রাজনৈতিক দলগুলো গণঅভ্যুত্থানের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচনের কথা বলা মানেই আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ধরে লুপপাট করেছে, এবার আমরা লুটপাট করবো। নতুন গঠনতন্ত্র (সংবিধান) প্রণয়ন মানে আমরা তাকে রাজনৈতিক দল বলবো কিনা এটাও সিদ্ধান্ত নেয়া।
এই সরকার কি সেই ম্যান্ডেট পেয়েছে?
অবশ্যই পেয়েছে, রক্ত দিয়ে পেয়েছে। আপনি যে প্রশ্নটি করলেন সেটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এটার জন্য কি লোক শহিদ হয়নি? একটা প্রশ্নের জবাব দেন, আমরা কি দেশ স্বাধীন করার ম্যান্ডেট পেয়েছি? তাহলে আমরা একাত্তরে স্বাধীন হলাম কী করে? মুক্তিযুদ্ধ করেন নাই? লোক মরে নাই?
রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, এটা তো নির্বাচিত সরকার নয়- সম্মতির সরকার...
আমি তো বললাম, রাজনৈতিক দলগুলো বদমাশ। আপনারা কীভাবে এত বিভ্রান্ত! আপনারা তো এখনো বুঝতে পারছেন না যে, তারা(অন্তর্বর্তী সরকার) জনগণের রক্ত দিয়ে নির্বাচিত। বর্তমান সরকার রক্তের বিনিময়ে জনগণের অভিপ্রায়ে দায়িত্ব নিয়েছে। আর কী, আর কীভাবে নির্বাচিত হবে? ভোট কী? ভোট তো ফ্যাসিস্ট সংবিধানের। জনগণ তো সংবিধান ফেলে দিয়েছে। সংবিধান অনুসারে হয়েছে নাকি?
তাহলে রাজনৈতিক দলগুলো এই সরকারকে কত সময় দেবে?
এটা তো রাজনৈতিক দলগুলো ঠিক করবে। রাজনৈতিক দলগুলো তো গণঅভ্যুত্থান করে নাই, জনগণ করেছে। ছাত্ররা তো মাঠে আছে। তারা তো মাঠ ছাড়ে নাই। কাজেই আগামীতে এটা দেখবো তারা করতে পারে কী।
আইন-শৃঙ্খলা আর দ্রব্যমূল্য- এগুলো সাধারণ মানুষের কনসার্ন। এগুলো এই সময়ের মধ্যে ঠিক করা যেতো?
খুবই সম্ভব ছিল। কিন্তু আপনি তো কোনো ক্ষমতাই দেননি। এই উপদেষ্টা সরকারকে রাজনৈতিক দল তো কোনো ক্ষমতাই দেয় নাই। তাহলে কী করে তারা সিন্ডিকেট ভাঙবে? সিন্ডিকেট ভাঙতে তো পাওয়ার লাগবে। তাদের তো কোনো পাওয়ারই নাই। সে তো সংবিধান দ্বারা বদ্ধ। রাজনৈতিক দলগুলো তো সমস্ত জায়গাগুলো, পদগুলো দখল করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটগুলোর জায়গায় তাদের সিন্ডিকেট বসিয়েছে। আপনারা তো এখন কাকে নির্বাচিত বলে, কাবে বলে না- এই প্রশ্ন তুলে সমস্যা তৈরি করছেন।
তাহলে তো সংবিধানই নতুন করে লেখার কথা।
কথা নয়, সংবিধান নতুন করে লেখা হবে। লিখতে হবে।
সেই প্রক্রিয়াই তো এখানো দেখছি না।
এটা তো তারা করবে না, জণগণ করবে। জনগণ যদি দেখে, পূর্ণ বিজয়ে যায়নি, তাহলে অবশ্য জনগণ সংগঠিত হবে। ছাত্ররা সংগঠিত হচ্ছে। ফলে আগামী দিনে আরেকটা লড়াই হবে। আপনি এড়াতে পারবেন না।
ছাত্ররাও তো নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবে। তারাও তো রাজনৈতিক দলের দিকেই যাচ্ছে।
তাতে অসুবিধা কী? তারা তো নতুন গঠনতন্ত্রের (সংবিধান) দাবি তুলেছে। এটা একটা পলিটিক্স। পলিটিক্সটা দুইটি ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। জনগণ নতুন গঠনতন্ত্র চায়। নতুনভাবে বাংলাদেশ গড়তে চায়। আর রাজনৈতিক দলগুলো চায় না, তারা জনগণকে ক্ষমতায় আসতে দেবে না। তারা আগের লুটেরা, মাফিয়া গ্রুপের ক্ষমতা বজায় রাখবে। এটার মীমাংসা তো রাজনৈতিকভাবে হবে। আর তো কোনো পথ নাই।
সেটি কি এভাবেই হবে, না গণভোটের মাধ্যমে হবে?
-কেন গণভোট হবে? গণভোট করে কি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে? এটা হলো পলিটিক্যাল অর্গ্যানাইজেশন। জনগণ যদি ক্ষতায় থাকে, তারা জিতবে আর জনগণ যদি না পারে তো জিতবে না। তবে আগামী দিনে চোখের সামনে একটা গৃহযুদ্ধ দেখতে পাচ্ছি। এবং এটার জন্য সাংবাদিকরাও দায়ী। গণমাধ্যম দায়ী। কারণ, বাংলাদেশে যে মূল প্রশ্নগুলো, তা আমরা এড়িয়ে যাচ্ছি। আপনারা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রশ্ন আমাদের করছেন। জনগণ তো বলেই দিয়েছে তারা কী চায়। জনগণের কথা তো আপনারা বলছেন না।
রাজনৈতিক দলগুলো তো বলছে তারা এই আন্দোলনে এই গণঅভ্যুত্থানে ব্যাপক অংশগ্রহণ করেছে।
তারা অংশগ্রহণ করেনি। জনগণ অংশগ্রহণ করেছে। দল এবং জনগণ এক কথা না। জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কারা রাজনৈতিক দল, কারা রাজনৈতিক দল না। নতুন সংবিধান কি সেটা বলবে না?
তাহলে এরা(অন্তর্বর্তী সরকার) সংবিধানের অধীনে শপথ নিলো কীভাবে?
ভেরি গুড। আমি তো প্রথম থেকেই বলছি তারা ভুল করেছে। এটাকে কারেক্ট করেন আপনারা। সাংবাদিকরা সঠিক কথাটা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকার একদিকে সংবিধানের কথা বলছে। আবার...। এখানেই তো সংকট রয়ে গেছে। সেটা স্পষ্ট না করে...
না না, স্পষ্ট তো হয়েছে। আমরা তো বলেছি। আপনারা খেয়াল করেননি। সেজন্যই তো লড়াই চলছে। প্রোক্লেইম করা হয়নি যে, আমরা গণঅভ্যুত্থান করেছি, আমাদের কথায় দেশ চলবে যতক্ষণ না পর্যন্ত নতুন শাসনতন্ত্র হয়। যারা তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, তারা এখানে রাজনীতি এবং আইনের সম্পর্ক -এটা বোঝে না। এইজন্য এখানে সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব হয়ে গেছে। এরজন্য প্রধানত দায়ী গণমাধ্যম। ছাত্ররা পরিস্কারই এটা বলেছে যে, ছাত্রদের পক্ষে গণমাধ্যম কোনো ভূমিকা রাখেনি।
গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গণহত্যার বিচার তো হতেই হবে। সেই প্রক্রিয়াটি কি সঠিকভাবে হচ্ছে?
গণহত্যার বিচার যে কমিটি হয়েছে, যে আইনে হচ্ছে, সেটা তো ফ্যাসিস্ট সরকারের আইনে হচ্ছে। ওই আইনে জামায়াত নেতাদের ঝুলানো হয়েছে, যেটা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না। ওটাকে বলা হয়, জুডিশিয়াল মার্ডার। আপনি যদি সেই একই আইনে বিচার করেন, তাহলে আন্তর্জাতিক আইনের দিক থেকে এটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। জনগণকে যদি ক্ষমতা দিতেন, তাহলে জনগণ সংক্ষিপ্ত আদালতে বিচার করে রায় দিয়ে দিতো।
তাহলে সংবিধান নতুন করে না লিখে আপনার মতে কিছুই করা ঠিক হচ্ছে না। তারা অনেকগুলো সংস্কার কশিন করেছে। তাহলে তারা কিসের সংস্কার করছে?
ভালো প্রশ্ন। ঢাল নাই, তলোয়ার নাই, নিধিরাম সর্দার। তাহলে সংস্কার কীভাবে করবে তারা। আর আমি তো সংস্কারের কথা বলি নাই। আমি তো গঠন করার কথা বলেছি। আপনি ঘরই বানাননি, সংস্কার কী করবেন?
যারা দায়িত্ব নিয়েছেন, তাদের যদি ক্ষমতার লোভই না থাকে, তাহলে তারা দেখছেন যে কিছুই হচ্ছে না, তারপরও তারা কেন চালাচ্ছেন?
তারা তাহলে কী করবেন? আপনার পরামর্শ কী?
তারা জাতির কাছে বলবেন, বলুক তারা কীভাবে সঠিক জায়গায় যেতে পারবেন, এটা করা দরকার, নয়তো আমরা গেলাম।
হ্যাঁ, আপনার সাথে আমি একমত। রাইট জায়গায় যেতে হলে কী করতে হবে আপনারাও আমার সঙ্গে বলেন। অবিলম্বে তাদের পূর্ণ ক্ষমতা দেয়া হোক। সংবিধান বাতিল করা হোক। চুপ্পুকে সরিয়ে দেয়া হোক। ছাত্ররা তো এই দাবি করেছে। আপনারা তো সেগুলো প্রচার করছেন না। সে প্রক্রিয়া তো এরা পারবে না। সেটা তো আমি আপনি করবো।
সেজন্যই কি আপনি গৃহযুদ্ধের কথা বলছেন?
নিশ্চয়ই। সেদিকেই তো যাচ্ছে।
সেই গৃহযুদ্ধে পক্ষ হবে কারা?
জনগণ বনাম বিদেশী শক্তি এবং তাদের দালালরা।
এখন যে প্রক্রিয়া চলছে সেটা চলতে থাকলে আপনি কি আবার ফ্যাসিবাদের ক্ষমতায়নের আশঙ্কা দেখেন নাকি?
ফ্যাসিবাদ তো, আপনিও ফ্যাসিবাদী। গণমাধ্যম যেভাবে প্রশ্ন তোলে সেটা ফ্যাসিজমের আরেকটি প্রকাশ মাত্র৷
গণমাধ্যমের ব্যাপারে সরকার ইমিডিয়েটলি কি করতে পারে ফ্যাসিবাদী আচরণ বন্ধ করতে?
কিছুই করতে পারে না। এটা যেহেতু জনগণ। গণমাধ্যমকে জনগণ হতে হবে আগে। এটা সরকার কিছু করতে পারবে না। ছাত্রদের দাবি-দাওয়া তো গণমাধ্যমে প্রাধান্য পাচ্ছে না। রাজনৈতিক দল কী বলে, মির্জা সাহেব কী বলে, জামায়াত কী বলে এগুলো প্রাধান্য পাচ্ছে।
এই ধরনের গণমাধ্যম আবার কোনো কোনো স্টুডেন্ট বা সমন্বয়ক দখল করে কী লাভ করতে চান?
ওরা কোথায় দখল করছে, একটা বলেন না?
সময় টিভিতে শেয়ার চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে আবার জোর করে চাকরিচ্যুত করানো হয়েছে।
তারা তো ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বের মধ্যে আসছে না। আপনি কি মনে করেন না যে, যেসব গণমাধ্যম ফ্যাসিস্ট ভূমিকা পালন করেছিল, সেগুলোর চলে যাওয়া উচিদ?
সেটা কি সিঙ্গেলভাবে হবে, না একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হবে?
না, একমত, একমত। আমি সিঙ্গেলভাবে বলছি না। এটাই তো গৃহযুদ্ধের আলামত। এটা তো পলিটিক্যাল রিজলভের মধ্য দিয়ে হবে। সেটা হলে কী হতো, রিকনসিলিয়েশন অ্যান্ড রিকনস্ট্রাকশন। রাজনৈতিক দলগুলো তো কোনো নৈতিক আলোচনায় যাচ্ছে না। দেশটাকে আমরা কীভাবে গঠন করবো? অনেক জায়গায়ই তো এখনো ফ্যাসিবাদ আছে।
ড. ইউনূস নিজে কি ফ্যাসিবাদের বাইরে?
ওনাকে তো আমরা নির্বাচিত করেছি। ব্যক্তি তো ঠিক করবে না।
আমরা ঠিক করি আর যা-ই করি, উনি কি ফ্যাসিবাদের বাইরে যেতে পেরেছেন?
ইয়েস এবং নো দুইটাই। আমরা যারা গণঅভ্যুত্থান করেছি, আমরা যদি তাকে আমাদের গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি মনে করি, তাহলে ডেফিনিটলি তিনি ফ্যাসিবাদের বাইরে। আর যদি মনে করি, উনি সংবিধানের ভিতরে ঢুকে গেছেন, তাহলে সে ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হলে আমাদের কাজ শেষ হয়ে গেল। দোষটা তো তার নয়, দোষটা তো আমাদের।
আমরা যারা সাধারণ, অমরা যারা ‘স্থূল' চিন্তা করি, দ্রব্যমূল্যের কথা বলি, সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা বলি। সংখ্যালঘু নির্যাতন তো হয়েছে, সেটা সংখ্যায় কম বা বেশি হোক। আবার বান্দরবানে ত্রিপুরা আদিবাসী গ্রামে আগুন দেয়া হয়েছে। এগুলো তো সরকারকে দেখতে হবে...
আপনার সঙ্গে আমি একমত। একটা হলো রাষ্ট্র এবং আরেকটা সরকার। রাষ্ট্র যদি আমরা গঠন করতে না পারি, তাহলে তো সরকার গঠিত হয়নি। সরকারের তো ক্ষমতা নাই। একথা আপনি বলতে পারবেন যদি একটি রাষ্ট্র বানিয়ে সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতাবান করে আপনি বসান।