1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সাংবাদিকের মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াবার পরিস্থিতি নাই’

৩১ মে ২০২৪

সাপ্তাহিক ইউটিউব টকশো ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ এর এবারের পর্বে এমন মন্তব্য করেন ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম৷

https://p.dw.com/p/4gW62
‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশোতে অতিথি হিসেবে আছেন ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার৷
‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশোয়ের একটি দৃশ্যছবি: DW

এবারের পর্বে সঞ্চালক প্রশ্ন তোলেন যে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় কি দুর্নীতির বিচার করা সম্ভব? এবং সংবাদমাধ্যম কি এই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করার মতো বাস্তবতায় রয়েছে? অতিথির আসনে উপস্থিত ছিলেন ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার৷ 

আজিজ, বেনজীরের ঘটনার প্রসঙ্গে সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীন আরো জানতে চান যে সংবাদমাধ্যম কি তবে এমন ক্ষমতাবানদের চাপেই তাদের ‘অস্ত্রে পরিণত' হচ্ছে? জবাবে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘‘সরকারের থেকে যারা লাইসেন্স পায়, তাদের প্রথম পৃষ্ঠার অর্ধেকই সরকারের বিরুদ্ধে৷ সরকার কোনো কথা, টকশো বন্ধ করে না৷ কিন্তু এই বিত্তশালী লোকেদের চাপে আমরা কখনো তাদের পক্ষে রিপোর্ট করি, কখনো তাদের বিপক্ষে করি৷ এবিষয়ে বিস্তারিত যাবার মতো সৎ সাহস আমার নাই৷ সৎ বা অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিকতা করার মতো বেনজীরের তথ্য আসে নাই, এটুকু আমি নিশ্চিত বলতে পারি৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা সাংবাদিকরা কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বাস করিনা৷ আমাদের গোটা সমাজে নৈতিকতার অধঃপতন যে পর্যায়ে গেছে, সেখানে একজন সাংবাদিকের মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াবার পরিস্থিতি নাই৷ সেটা করতে হলে আমাদের সামগ্রিক শুদ্ধি অভিযান (প্রয়োজন)৷''

এই প্রসঙ্গে ডা. আব্দুন নূর তুষার বলেন, ‘‘আমরা কীভাবে বুঝব যে নৈতিকতার বিষয়টিকে কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে? সাধারণ মানুষ নাগরিক হিসাবে মনে করে যে একজনের সম্পদের যদি তদন্ত হয়, তাহলে আরেকজনের সম্পদের তদন্ত কেন হবে না?''

এছাড়াও অনুষ্ঠানে আলোচিত হয় সরকারের নেতৃত্বের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে জবাবদিহির মূল্যায়নের প্রসঙ্গটিও৷

এসএস/এআই