1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংবাদিক শামসুজ্জামানের দ্বিতীয় জামিন আবেদন

৩ এপ্রিল ২০২৩

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকার রমনা থানায় করা মামলায় আবার জামিন আবেদন করেছেন ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান৷

https://p.dw.com/p/4PcFZ
সাংবাদিক শামসুজ্জামান(ফাইল ছবি)ছবি: Mahfuz Nipu

আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই জামিন আবেদন করা হয়৷ শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার বিষয়টি জানিয়েছেন৷ বেলা দুইটার দিকে জামিন আবেদন নিয়ে শুনানি হতে পারে বলে তিনি জানান৷

গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সিএমএম আদালতে আনা হয় শামসুজ্জামানকে৷  পরে রমনা থানা-পুলিশ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে৷ সাংবাদিক শামসুজ্জামানের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী৷ ওই দিন উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন৷

শামসুজ্জামানকে ওই দিন  আদালত থেকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়৷ পরদিন শুক্রবার সেখান থেকে তাঁকে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়৷ এর পরদিন শনিবার আবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়৷

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে  শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও ও রমনা থানায় দুটি মামলা হয়েছে৷

গত বুধবার ভোর চারটার দিকে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের আমবাগান এলাকায় শামসুজ্জামানের বাসায় যান ১৪ থেকে ১৫ জন নিজেদের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্য পরিচয়ে শামসুজ্জামানের থাকার কক্ষ তল্লাশি করে তাঁর ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি মুঠোফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নিয়ে যান পরে শামসুজ্জামানকে নিয়ে যান তাঁরা৷

বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ২০ ঘণ্টার বেশি সময় পর গত শুক্রবার দিবাগত রাতে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে  রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়৷ প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে এই মামলার প্রধান আসামি করা হয়৷ তিনি গতকাল এই মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন৷ এই মামলার বাদী আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক) ৷ তিনি নিজেকে হাইকোর্টের আইনজীবী পরিচয় দিয়েছেন৷

২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘ফটোকার্ড' তৈরি করা হয়৷ সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম ছিল৷ ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর৷ পোস্ট দেওয়ার ১৭ মিনিটের মাথায় অসংগতি নজরে আসে এবং দ্রুত তা প্রত্যাহার করা হয়৷ পাশাপাশি প্রতিবেদন সংশোধন করে সংশোধনীর বিষয়টি উল্লেখসহ পরে আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়৷ প্রতিবেদনের কোথাও বলা হয়নি যে উক্তিটি ওই শিশুর; বরং স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, উক্তিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের৷

এ ঘটনার জেরে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ১৫ মিনিটে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামের এক ব্যক্তি তিনি বলেন, থানায় নথিভুক্ত হওয়া এজাহার অনুযায়ী মামলাটি হয়েছে বাদীর পরিচয় লেখা হয়েছে, তিনি ঢাকার কল্যাণপুরের বাসিন্দা তাঁর ফেসবুক পেজের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক তিনি আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন

এনএস/কেএম (প্রথম আলো)