1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

১৭ আগস্ট ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন। আজকের এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

https://p.dw.com/p/4VHEr
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)ছবি: PID Bangladesh government

সরকারি চাকুরিজীবী ছাড়া ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সকল নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওয়তায় থাকবেন বলে জানানো হয়। ব্যাক্তি তার মোট কিস্তির সর্বনিম্ন ২.৩০ গুণ থেকে  ১২.৩১ গুণ পর্যন্ত টাকা পেনশন পাবেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আজকের দিনটি আমাদের জন্য অনন্য সাধারণ একটি দিন। কারণ বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আজ আমরা আমাদের যে উন্নয়ন পরিকল্পনা,সেখানে তৃণমূলের মানুষ, অবহেলিত মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছি।”

পেনশন স্কিম চালুর সংশ্লিষ্টদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ইতোমধ্যে পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর অর্থ সচিব থাকতেই বারবার আমি চাপ দিচ্ছিলাম যেন, এটা একটু তাড়াতাড়ি করা হয়। যেন অন্তত মানুষের জীবনটা অর্থবহ হয়।‘ 

মোট ছয়টি স্কিমের মধ্যে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে এই চারটি আজ থেকে চালু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে আরও দুটি পরবর্তীতে চালু করা হবে। 

প্রগতি স্কিম (বেসরকারি কর্মীদের জন্য) 

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন ব্যক্তি মাসিক ২ হাজার, ৩ হাজার, ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে প্রগতি স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন। চাঁদার ৫০ শতাংশ কর্মীরা এবং বাকি ৫০ শতাংশ তার প্রতিষ্ঠান পরিশোধ করতে পারবে। বেসরকারি কর্মীরা ১৮ বছর বয়সে এ স্কিমে যোগ দিয়ে ৪২ বছরে মাসিক দুই হাজার টাকা চাঁদা দিলে তিনি ৬০ বছর বয়স থেকে তিনি মাসিক ৬৮ হাজার ৯৩১ টাকা করে পেনশন পাবেন।

প্রবাস (প্রবাসীদের জন্য)

প্রবাস স্কিমে মাসিক চাঁদা ধরা হয়েছে ৫ হাজার, সাড়ে ৭ হাজার এবং ১০ হাজার টাকা। বিদেশ থেকে এ স্কিমে যোগদানের পর ৬০ বছর বয়সের আগেই কেউ দেশে ফিরলে তারা দেশীয় মুদ্রায় চাঁদা পরিশোধ করতে পারবেন অথবা স্কিম পরিবর্তন করতে পারবেন। পেনশন স্কিমের মেয়াদ শেষে দেশীয় মুদ্রায় পেনশন দেওয়া হবে। একজন প্রবাসী ১৮ বছর বয়সে এ স্কিমে যুক্ত হয়ে ৪২ বছর ধরে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিলে ৬০ বছর বয়স পর তিনি সরকারি তহবিলে মোট ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকার চাঁদা দেবেন। এর পর ৬০ বছর থেকে ন্যূনতম ৭৫ বছর পর্যন্ত মাসিক ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৫ টাকা করে পাবেন। ফলে তাঁর মোট পাওয়া পেনশনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ কোটি ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৯০০ টাকা, যা মোট চাঁদার প্রায় ১২ দশমিক ৩১ গুণ। 

সুরক্ষা (স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য)

স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য ‘সুরক্ষা' নামে স্কিম থাকছে। কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতিসহ সব ধরনের অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিরা এ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। এ স্কিমে মাসিক চাঁদার পরিমাণ ১ হাজার, ২ হাজার, ৩ হাজার ও ৫ হাজার টাকা। সুরক্ষা স্কিমে ৪২ বছর ধরে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়ে ৬০ বছর বয়স থেকে মাসে ৩৪ হাজার ৪৬৫ টাকা করে পেনশন পাওয়া যাবে। 

সমতা ( স্বকর্মে নিয়োজিত স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য)

সমতা স্কিমে চাঁদার পরিমাণ প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা। এর মধ্যে গ্রাহক প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দেবেন এবং বাকি ৫০০ টাকা সরকার পরিশোধ করবে। অতিদরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী ব্যক্তিদের বাছাই করা হবে এ স্কিমের জন্য। এ স্কিমের আওতায় ১৮ বছর বয়সে অন্তর্ভুক্ত হয়ে মাসে ৫০০ টাকা চাঁদা দিলে ৬০ বছর বয়স থেকে মাসিক ৩৪ হাজার ৪৬৫ টাকা পেনশন পাওয়া যাবে। 

তফসিল অনুযায়ী প্রতিটি স্কিমের বিপরীতে বর্ণিত পরিমাণ চাঁদা সাপেক্ষে উল্লেখিত হারে সম্ভাব্য মাসিক পেনশনের প্রাপ্যতা অর্জন করবে। 

এসএইচ (দ্যা ডেইলি স্টার, বাসস, সমকাল)