1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
দুর্নীতিবাংলাদেশ

সরকারি চাকরি মানেই আলাদিনের চেরাগ?

প্রভাষ আমিন
২৮ জুন ২০২৪

‘লেখাপড়া করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে’, ছেলেবেলায় এই ‘ভুল’ কথাটি শেখানো হয় আমাদের৷ বারবার শুনে এই ‘ভুল’ কথাটিই আমাদের মাথায় গেঁথে যায়৷ এখন তো আর ঘোড়া কেনার চল নেই৷ গাড়ি-বাড়ি, ভোগ বিলাসকেই আমরা ‘এইম ইন লাইফ’ বানিয়ে নেই৷

https://p.dw.com/p/4hcTr
মানুষের ইচ্ছাপূরণের প্রতীক হয়ে আছে আলাদিনের চেরাগ৷ নিজের যোগ্যতায় নয় অলৌকিক কিছুর সাহায্যে সহজেই জীবন বদলে ফেলতে চায় মানুষ৷ পৃথিবীর সব ভাষায় সবদেশে তাই এমন ইচ্ছাপূরণের প্রতীক হয়ে আছে আলাদিনের চেরাগ ও তার দৈত্য
সরকারি চাকরি কি আলাদিনের চেরাগ যে ঘষা দিলেই বেরিয়ে আসবে ইচ্ছা পূরণের দৈত্যছবি: imago

একসময় ‘এইম ইন লাইফ' হিসেবে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষকতার কথা লেখা হতো৷ এখন কী লেখা হয় জানি না৷ কিন্তু এখন বেশিরভাগই সরকারি চাকরি করতে চায়৷ বিয়ের বাজারে বিসিএস ক্যাডারের চাহিদা এখন সবার ওপরে৷ কেন সবার ওপরে? সরকারি চাকরির বেতন কি সবচেয়ে বেশি? সরকারি চাকুরেদের বেতন আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে বটে, তবে সবচেয়ে বেশি নয়৷ তারপর চাহিদায় সবার ওপরে, কারণ, সরকারি চাকরিতে ক্ষমতা আছে, আছে সেই ক্ষমতা অপব্যবহার করে অঢেল সম্পদ অর্জনের সুযোগ৷ মানে, সরকারি চাকরি করলে আপনি ‘গাড়ি-ঘোড়া' চড়তে পারবেন আরামসে৷ সরকারি চাকরি মানেই যেন আলাদিনের চেরাগ৷ ঘষা দিলেই টাকা চলে আসবে৷

তবে সব সরকারি চাকরি আবার একই রকম নয়৷ এই তো কদিন আগে আদনান ফেরদৌস নামে এক কামেল সরকারি চাকুরে তার চাকরি বদল করেছেন৷ বিসিএস তথ্য ক্যাডারের আদনান ফেরদৌস বাংলাদেশ বেতারের সহকারী বেতার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছিলেন৷ কিন্তু তিনি আরেক দফা চেষ্টায় নন-ক্যাডার সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন৷ আদনান ফেরদৌস ক্যাডার পদ ছেড়ে নন-ক্যাডার পদে যোগ দিয়েছেন৷ তার নতুন পদের সম্মান পুরোনো পদের চেয়ে অনেক কম, বেতন তো অবশ্যই কম৷ নতুন চেয়ারে বসে তার পুরোনো চেয়ারকে ‘স্যার’ ডাকতে হবে৷ তারপরও তিনি কেন সম্মান, বেতনের পরোয়া না করে নিম্ন পদটাকেই বেছে নিলেন? কারণ, নতুন পদে ‘উপড়ি' আয়ের সুযোগ অনেক বেশি৷ আদনান ফেরদৌসকে দিয়ে ‘ছিলাম বোকা হইলাম বুদ্ধিমান'এর নতুন ভার্সন বানানো সম্ভব৷ ‘উপড়ি' আয়ের আশায় ‘ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদের মতো বিশেষায়িত একাডেমিক ক্যারিয়ারের লোকজনও বিসিএস দিয়ে প্রশাসন, পুলিশ বা কাস্টমসে যোগ দিতে চান৷

এই চাওয়াটা এখন সহজ এবং সবাই অনায়াসে তা মেনেও নিয়েছেন৷ দুর্নীতির এক ধরনের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে৷ ৫০ হাজার টাকা বেতনের সরকারি চাকুরে যখন বাসা ভাড়া দেন ৬০ হাজার টাকা, সন্তানকে দেশে ইংলিশ মিডিয়াম বা বিদেশে পড়াশোনা করতে পাঠান; আমরা কিন্তু কেউ প্রশ্ন তুলি না৷ বরং সেই কর্মকর্তাকে বেশ ‘কামেল' মনে করি৷ বিয়ের কথা-বার্তায় মেয়ের বাবা অনায়াসে ছেলের উপড়ি আয় কেমন সেটা জানতে চান৷ সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ যদি শেষ জীবন কাটানোর জন্য গ্রামে ২০ বিঘা জমির ওপরে একটা বাগান-বাড়ি করতেন, আমার ধারণা কেউ তেমন কিছু মনে করতো না৷ সম্পত্তির হিসাব হাজার বিঘা ছাড়িয়ে যাওয়াতেই এত আলোচনা৷ পাপের পেয়ালা পূর্ণ হলে তা উপচে পড়ে৷ প্রকৃতিরও একটা বিচার আছে৷ সীমা লঙ্ঘণকারীকে আল্লাহও পছন্দ করে না৷

সরকারি চাকুরে সবাই কিঘুস খান, দুর্নীতি করেন? এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়৷ ব্যক্তিগতভাবে অনেক সৎ কর্মকর্তাকে আমি চিনি, সুযোগ থাকা সত্বেও যারা দুর্নীতি করেন না৷ আবার অনেকে সুযোগের অভাবে সৎ৷ যেমন আদনান ফেরদৌস নিশ্চয়ই এতদিন সৎ ছিলেন৷ সহকারী বেতার প্রকৌশলীর তো দুর্নীতির সুযোগ নেই৷ এখন সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে তার নতুন ক্যারিয়ার শুরু হবে দুর্নীতিকে লক্ষ্য করেই৷

তবে আমাদের পুরো সিস্টেমটা এমনভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, ভালো মানুষদের এখানে টিকে থাকাই মুশকিল৷ স্বাস্থ্যের কেনাকাটা, থানা, ভূমি অফিস, পূর্ত বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে ঘুসের রেট করা আছে৷ এটা একটা চেইনের মতো৷ মাঝখানে একজন যদি ঘুস নিতে না চান, তাহলে সেই চেইনটা ভেঙে পড়ে৷ সেই সৎ কর্মকর্তার সহকর্মীরাই তাকে হয় ঘুস সিন্ডিকেটে ঢুকিয়ে ফেলেন, নয় জীবন অতিষ্ঠ করে ফেলেন৷

আচ্ছা পুলিশে কি বেনজীর একাই দুর্নীতিবাজবা এনবিআরে কি মতিউর রহমান একজনই? বেনজীর বা মতিউর যত ক্ষমতাশালীই হোন, তাদের পক্ষে একা দুর্নীতি করা সম্ভব নয়৷ দুর্নীতি করতে সঙ্গী লাগে৷ বেনজীর যখন ধারাবাহিকভাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, র‌্যাবের মহাপরিচালক এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক ছিলেন; তখন কথাবার্তায় মনে হয়েছে; তারচেয়ে সাধু পুরুষ আর কেউ নেই৷ দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্সের বক্তৃতা শুনতে শুনতে সবার কান ঝালাপালা হয়ে গিয়েছিল৷ ক্ষমতায় থাকার সময় মনে হয়েছে, দুর্নীতি করলেও এই বাংলাদেশে কেউ কখনো তার টিকিটিও ছুতেঁ পারবে না৷ কিন্তু বেনজীর ধরা খেয়ে গেছেন, উঁচুতলার রেষারেষির কারণে৷ এমন নয় দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান করে তার দুর্নীতি বের করেছে৷ গণমাধ্যমের একটি রিপোর্টেই খুলে গেছে বেনজীর দুর্নীতির প্যান্ডোরার বাক্স৷ মতিউর রহমানের কপাল তো আরো খারাপ৷ ছেলের কেনা ১২ লাখ টাকার ছাগল তার ১২ হাজার কোটি টাকার সাম্রাজ্য ধ্বসিয়ে দিয়েছে৷ এখানেও দুর্নীতি দমন কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই৷ প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং পরে গণমাধ্যম মতিউর রহমানের সম্পদের অঢেল খনি আবিস্কার করে৷ দুর্নীতি দমন কমিশন মরা সাপ পেটাতে খুব সফল৷ বেনজীর বা মতিউর দেশ ছাড়ার পর তারা দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে৷

চোরের মায়ের বড় গলা বলে একটা কথা আছে৷ বেনজীর বা মতিউরের গলাও কম বড় নয়৷ দুর্নীতির খবর প্রকাশেরও পরও এরা বড় গলায় কথা বলেন৷ বেনজীর যেমন স্মার্টলি সব অভিযোগ অস্বীকার করে ফেসবুকে লম্বা ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন৷ নিজেকে ধোয়া তুলসি পাতা দাবি করা বেনজীর দাবি করেন, স্ত্রীর মৎস্য চাষ থেকেই তাদের সব আয়৷ এটা খুব মজার৷ বাংলাদেশের অধিকাংশ বিত্তশালীর ট্যাক্স ফাইলে মৎস্য চাষ কমন থাকে৷ মাছ চাষে কর ফাকিঁর সুযোগটা তারা নেন৷ তবে মৎস্য চাষের আয়ের অঙ্ক দেখে মনে হয়, পুকুরে চাষ করা মাছ স্বর্ণ দিয়ে বানানো৷ মতিউর অবশ্য বেনজীরের চেয়েও বড় স্মার্ট৷ ফেসবুক নয়, তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ম্যানেজ করেন মূলধারার একটি গণমাধ্যমকে৷ মতিউরের দাবি তার সম্পদ এসেছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ থেকে৷ লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারী যেখানে বারবার নিঃস্ব হয়, সেই শেয়ারবাজার থেকে মতিউর কোটি কোটি টাকা আয় করেন৷ আয় করার যে প্রক্রিয়াটা তিনি স্বীকার করেছেন, সেটা ধরেই তার বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কারসাজির মামলা হতে পারে৷ ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি প্লেসমেন্ট শেয়ার নিতেন৷ তাছাড়া এনবিআরের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার সুবাদে তিনি অনেক কোম্পানির ভেতরের খবর জানতেন৷ তাদের ডেকে এনে কম দামে শেয়ার কিনে কারসাজি করে দাম বাড়িয়ে বেশি দামে বিক্রি করতেন৷ বেনজীর বা মতিউরের আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া দেখে কেউ আবার মৎস্য চাষ বা শেয়ার ব্যবসা করে বড়লোক হওয়ার চেষ্টা করবেন না যেন৷

এই যে সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন, এটা কি তাদের অভাবের কারণে? সরকারি চাকুরেদের বেতন অনেক বেশি নয়৷ তবে দফায় দফায় তাদের বেতন বাড়ানো হয়েছে৷ তাতে দুর্নীতি কমেনি, বরং বেতনের সাথে পাল্লা দিয়ে দুর্নীতি বেড়েছে৷ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ সংসদে প্রশ্ন করেছেন, ‘‘সরকারি কর্মচারীদের দফায় দফায় বেতন বাড়ানোর পরও দুর্নীতি কেন হবে?'' হবে, কারণ দুর্নীতিটা তারা অভাবের কারণে করেন না, এটা তাদের স্বভাব, তাদের রক্তে মিশে গেছে৷ রিকশাওয়ালা রাস্তায় টাকা পেলে সেটা ফেরত দেয়৷ আর দুর্নীতিবাজরা রাস্তা বানাতে গিয়ে টাকা মেরে দেয়৷ অভাবের কারণে দুর্নীতি করতে হলে রিকশাওয়ালা কখনোই কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফেরত দিতো না৷ তারচেয়ে বড় কথা হলো, মাসিক আয় দুই লাখ টাকা হলেই ঢাকায় বেশ আয়েশি জীবনযাপন করা সম্ভব৷ আর এককালীন দুই কোটি টাকা থাকলে মাসে দুই লাখ আয় করা অসম্ভব নয়৷ একজন সৎ সরকারি কর্মকর্তাও সারাজীবন হিসাব করে চললে, সঞ্চয়ী হলে, পেনশনে মিলিয়ে অবসরের পর ২/৩ কোটি টাকার সঞ্চয় অসম্ভব নয়৷ কিন্তু বেনজীর-মতিউররা লাখে বা কোটিতে সন্তুষ্ট নয়, তাদের লাগে হাজার বিঘা জমি, হাজার কোটি টাকা৷ বেনজীর-মতিউররা যদি বাকি জীবন আর কিছু না-ও করেন, তা-ও তো সম্পদের ভগ্নাংশ শেষ করতে পারবেন না৷ তাই দুর্নীতির সাথে বেতন কম-বেশি বা অভাবের কোনো সম্পর্ক নেই৷

পুলিশে যেমন বেনজীন একা নন, এনবিআরেও মতিউর রহমান নিঃসঙ্গ নন নিশ্চয়ই৷ যার যার মাপে পুলিশে আরো কয়েক হাজার বেনজীর আছে, এনবিআরে মতিউর রহমানরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ৷ তাহলে তাদের সম্পদের খবর এতদিন কেউ পায়নি কেন৷ এখানেই গণমাধ্যমের দায়৷ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অনেক সাফল্যের গল্প যেমন আছে, ব্যর্থতাও তালিকাও বেশ লম্বা৷ ১৯৯৬ সালে ২১ বছর ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের উদ্যোগ নেয়৷ বিচারিক প্রক্রিয়ায় চমকে ওঠার মতো সব তথ্য সামনে আসে৷ অথচ ২১ বছরে কোনো গণমাধ্যম বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনা নিয়ে কোনো অনুসন্ধান করেনি৷ ১/১১ সরকারের সময়ও নানান দুর্নীতির কাহিনী সামনে আসে৷ আগে যা গণমাধ্যমের চোখে পড়েনি৷ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অবস্থাও দুর্নীতি দমন কমিশনের মত৷ মরা  সাপ পেলে তারা খুব আয়েশ করে পেটাতে পারে৷ ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সেই মরা সাপের থিওরি স্বীকার করেছেন৷ এক অনুষ্ঠানের তিনি বলেছেন, বেনজীরের দুর্নীতির খবর তারা জানতেন কিন্তু ভয়ে প্রকাশ করতে পারেননি৷ ‘উইদাউট ফিয়ার অ্যান্ড ফেভার'এর স্লোগান দেয়া পত্রিকা যদি ভয়ে আইজিপির দুর্নীতির খবর প্রকাশ করতে না পারে, তাহলে আর সাংবাদিকতা করে লাভ কী? বেনজীরের কাহিনী প্রথম গণমাধ্যমেই এসেছে বটে, তবে সেটা যতটা না অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কারণে, তারচেয়ে বেশি সেই গণমাধ্যমের মালিকের স্বার্থের কারণে৷ পুলিশে নিশ্চয়ই এমন আরো অনেক বেনজীর আছে এখনও৷ গণমাধ্যম নিশ্চয়ই অপেক্ষা করছেন, কবে তিনি বা তারা অবসরে যাবেন, কবে তাকে বাগে পাওয়া যাবে৷ মানে সাপটা কবে মরবে, তারপর আমি ইচ্ছামত পেটাবো৷

এই সর্বগ্রাসী দুর্নীতি কি বন্ধ করার কোনো উপায় নেই? একেবারে বন্ধ হয়তো করা যাবে না, তবে কমিয়ে আনা খুবই সম্ভব৷ নির্দিষ্ট সময় পরপর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সম্পদের হিসাব দেয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে৷ দুদককে আরো শক্তিশালী করতে হবে৷ কার আয়ের সাথে ব্যয় মিলছে না, দুদক যদি তাকে তখনই ধরে, বাকিরা অবশ্যই সতর্ক হবেন৷ সবাই যদি জানেন, এ দেশে দুর্নীতি করলে কিছু হয় না৷ দেশে দুর্নীতি করে উপার্জিত অর্থ পাচার করে কানাডায় বাড়ি কেনা যায়৷ জানাজানি হয়ে গেলে নিশ্চিন্তে দেশত্যাগ করে বেগমপাড়ায় আয়েশ করা যায়; তাহলে দুর্নীতি কখনোই বন্ধ হবে না, আরো উৎসাহিত হবেন৷ দূর্নীতি করলে পার পাওয়া যায় না, দুর্নীতির টাকা ভোগ করা যায় না, দুর্নীতির টাকা যাবে সরকারি কোষাগারে আর দুর্নীতিবাজ যাবে কারাগারে; তাহলেই শুধু দুর্নীতি কমিয়ে আনা সম্ভব৷ সেটা সরকারি পর্যায়ে হোক আর বেসরকারি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান