দেখা হলোনা ওবামা-রোহানির
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩মঙ্গলবারের অধিবেশনের দিকে আশা নিয়েই তাকিয়ে ছিলেন সবাই৷ গত মাসে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরি সম্পর্কে পরিবর্তন আনার সদিচ্ছা অনেকভাবেই করেছেন রোহানি৷ মূল কথা ছিল, তাঁর দেশের মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে নতুন দিনের সূচনা দেখতে চায়৷ নিজের ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ওবামা একরকম চ্যালেঞ্জই ছুড়ে দিয়েছিলেন ইরানি প্রেসিডেন্টের দিকে৷ রোহানির সদিচ্ছার প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখতে চেয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু পরে জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো ভাষণ দিতে গিয়ে রোহানি তেমন কিছুই বলেননি৷ আণবিক অস্ত্রের বিষয়টি নিয়ে নির্ধারিত আলোচনায় অংশ নেয়ার আগ্রহেই সীমাবদ্ধ থেকেছে তাঁর বক্তব্য৷
তবে বড় দুটি বিষয়ে ইরানের আগের অবস্থানে অটল থাকার বাস্তবতাই ফুটে উঠেছে রোহানির কথায়৷ তাঁর দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টির সমালোচনা করেছেন তীব্র ভাষায়৷ পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধেও কথার তোপ দাগিয়েছেন৷ পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আণবিক বোমা তৈরি পরিকল্পনার ব্যাপারে ‘মিষ্টি কথা' বলে রোহানি আসলে বোমা তৈরির জন্য সময় নিচ্ছেন৷
সব কিছুর পরও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কোন্নয়নে জাতিসংঘের এ অধিবেশন প্রত্যাশার বিন্দুর সামান্য কাছেও যেতে পারতো৷ কিন্তু ওবামা আর রোহানির সংক্ষিপ্ত বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা বিফলে যাওয়ায় সেই সম্ভাবনা আরো ক্ষীণ হয়েছে৷ দুই প্রেসিডেন্টের হাত মেলানোর আনুষ্ঠানিকতাটুকুও সম্ভব হয়নি এ অধিবেশনে৷ তারপরও অবশ্য আশা জাগিয়ে রেখেছে ওবামার একটি কথা৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘পথের বাধাগুলো হয়তো অনেক বড়, তবে (সম্পর্কোন্নয়নে) কুটনীতির পথটি অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখা উচিত বলে মনে করি আমি৷''
এসিবি/এসবি (রয়টার্স)