1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমাধান ভাগাভাগির মূলমন্ত্রে গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম

১৭ জুন ২০২৪

ডয়চে ভেলের বার্ষিক আয়োজন গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামের আলোচনায় উঠে আসছে সাংবাদিকতায় ঝুঁকি, ভুয়া তথ্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর নানা দিক৷

https://p.dw.com/p/4h86i
ভবিষ্যত কেমন হবে, সেবিষয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করে গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম
সাংবাদিকতায় ঝুঁকি, ভুয়া তথ্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নানা দিক নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এবারের গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামেছবি: Ayse Tasci/DW

‘শেয়ারিং সলিউশনস' বা সমাধান ভাগাভাগি করে নেওয়াই এবারের গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামের মূলমন্ত্র৷ ১৭-১৮ জুন বন শহরে এই আয়োজনে সামিল হয়েছেন বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা দেড় হাজারেরও বেশি গণমাধ্যম কর্মী৷ সাংবাদিকতার বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমাধান ও তার গণতান্ত্রিকীকরণ এই সম্মেলনের লক্ষ্য৷

ডয়চে ভেলের ইভেন্টস ম্যানেজার বেনিয়ামিন পারগান সম্মেলনের গুরুত্ব প্রসঙ্গে বলেন যে ২০২৪ সালটি নির্বাচনের বছর হওয়ায় ভারত, ইইউ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকতাকে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷ যেমন গুজব, ভুয়া খবর ও এআই-এৱ ব্যবহার৷

পেটার লেমবুর্গ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন৷
ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক পেটার লেমবুর্গছবি: Philipp Böll/DW

সব দিক থেকে চাপে গণমাধ্যম

পারগানের মতে, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা এখন নানা রকমের চাপের মধ্যে৷ তিনি বলেন, ‘‘গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর জনগণের আস্থা কমাতে চায় রাষ্ট্র যন্ত্রের নানা অঙ্গ৷ একই সাথে চরমপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোও গণমাধ্যমকে শত্রু হিসাবে দেখে৷ তাই তাদের প্রতি আস্থা কমাতে সচেষ্ট৷''

পাশাপাশি, তিনি তুলে ধরেন প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক চাপ ও সাংবাদিকদের ঝুঁকির প্রসঙ্গও, যা  সম্মেলনের অতিথিরা আলোচনা করবেন৷

জার্মানিও এই সমস্যাগুলি থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয়, বলেন নর্থ রাইন ভেস্টফালিয়া রাজ্যের প্রধান হেনড্রিক ভ্যুস্ট৷ তিনি বলেন, ‘‘এখানেও, চরমপন্থি শক্তিরা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করছে৷ যারা গণতন্ত্রের বিরোধিতা করে, তারা সত্যকে মানতে চায় না৷ তারা গুজব, মিথ্যের ওপর নির্ভর করে ঘৃণা ও উসকানি দিয়ে আমাদের আবেগকে চালিত করে৷ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে যুক্তি দিয়ে আমাদের এসবের বিরুদ্ধে লড়তে হবে ৷''

ইতিবাচক উদাহরণও রয়েছে

জনগণের জন্যে সব সময় সহজ হয় না গুজব, ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর খবরের মধ্যে সত্যকে বোঝা৷ সেই কাজ সহজ করতে চেষ্টা করছেন রাপলার সংস্থার প্রধান নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মারিয়া রেসা৷ নাইজেরিয়ার সাংবাদিক মকি মাকুরা তার ‘আফ্রিকা নো ফিল্টার' সংস্থার সাহায্যে আফ্রিকার সাফল্যের উদাহরণ তুলে ধরেন৷

এমনই আরেক উদাহরণ সিএনএনের সাংবাদিক নাদা বাশির, যিনি ইউক্রেন ও গাজা উপত্যকা থেকে তার নজরকাড়া প্রতিবেদন দিয়ে সাড়া ফেলেছেন৷

 

যেমন প্রভাব রাখছে এআই

বর্তমান বিশ্বে সকল খাতেই কমবেশি আলোচিত হচ্ছে এআই, বাদ নেই সাংবাদিকতাও৷ বেনিয়ামিন পারগান এবিষয়ে বলেন, ‘‘এই বদলকে ঠেকানো যাবে না৷ গণমাধ্যম সংস্থাদের এই পরিবর্তনকে চালিত করতে সাহায্য করা উচিত৷ একই সময়ে, তাদের দায়িত্ব এআই-র ঝুঁকি নির্ণয় করা৷ আমরা চাই আমাদের এই আলোচনাগুলি গোটা বিশ্বের সহকর্মীদের মাঝে তুলে ধরতে৷ খোলাখুলিভাবে সমাধান নিয়ে ভাবতে, যাতে একসাথেই সুযোগ ও ঝুঁকি চিহ্নিত করা যায়৷''

কিন্তু এআই ব্যবহারের বাস্তবায়নকে ঘিরে বিভক্ত বিশ্ব৷ গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামের অনুষ্ঠান মালায় বলা হয়, ‘‘এআই গণমাধ্যম ব্যবস্থাকে পুরোপুরি উল্টে দিতে পারে৷ ব্যবসায়িক কাঠামোর ক্ষতি করার সাথে সাথে সমাজে গুজব ছড়িয়ে দিতে পারে৷ ''

ভবিষ্যত কেমন হবে, সেবিষয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করে গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম৷ সেখানে বলা হয়, এমন একটি বিশ্বের কথা ভাবুন, যেখানে গণমাধ্যম ও কথা বলার স্বাধীনতা রয়েছে৷ আসুন কাজে নামি, আর স্বপ্ন দেখা নয়৷''

ক্রিস্টফ হাজেলবাখ/এসএস