1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জি এইট

১৮ মে ২০১২

ওয়াশিংটনে জিএইট ও শিকাগো'য় ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বনেতারা বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন৷ ইউরো এলাকার সংকট ও আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ – এই দুটি বিষয়ই প্রাধান্য পাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/14xIy
ছবি: Reuters

এতকাল ইউরোপের সমস্যা ইউরোপ একাই সামলানোর চেষ্টা করছিল৷ কিন্তু সেই সংকটের ধাক্কা বিশ্ব অর্থনীতির উপরেও পড়ছে৷ ফলে চলতি সপ্তাহান্তে শিল্পোন্নত দেশগুলির শীর্ষ নেতারা তাঁদের বৈঠকে এই বিষয়টিকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন৷ বিশেষ করে গ্রিস'কে ইউরো এলাকা ত্যাগ করতে হলে তার পরিণাম কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ ওয়াশিংটনের উপকণ্ঠে ক্যাম্প ডেভিড'এ জিএইট সম্মেলনে ওবামা ছাড়াও উপস্থিত থাকছেন জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইটালি, জাপান, ক্যানাডা ও রাশিয়ার শীর্ষ নেতারা৷

অতএব প্রশ্ন হলো, ইউরো এলাকার সংকট সামলাতে কী করতে হবে? একদিকে সরকারি ব্যয় কমানো, বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঠামোগত সংস্কারের দাওয়াই৷ অন্যদিকে অবিলম্বে সরকারি ‘স্টিমুলাস প্যাকেজ'-এর মাধ্যমে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রস্তাব, যার ফলে আপাতত স্বস্তি পাওয়া যায়৷ জিএইট গোষ্ঠীতে ইউরো এলাকার তিনটি দেশের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে – ফ্রান্স, ইটালি ও জার্মানি৷ এর মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ সবে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছেন৷ তিনিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জেমস ক্যামেরন সহ বাকি অনেক নেতার মতো অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পক্ষে৷ এই প্রথম ওলঁদ ওবামা সহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন৷ ইটালির আপদকালীন অরাজনৈতিক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মারিও মন্টি দেশের আমূল সংস্কার করতে ব্যস্ত৷ অতএব কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন ম্যার্কেল৷ তিনি অবশ্য বলছেন, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার মোটেই বিরোধী নন তিনি৷ এ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হতেই পারে৷

Symbolbild Europa Wirtschaft Unterschiedliche Geschwindigkeiten
সংকটে ইউরোছবি: Fotolia

অর্থনীতির প্রশ্নে ওবামা ও ওলঁদ একমত হলেও আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে দুই নেতার মতপার্থক্য রয়েছে৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ২০১৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা না করে দ্রুত আফগানিস্তান থেকে ফরাসি সৈন্য প্রত্যাহার করতে চান৷ জিএইট সম্মেলনেই ওবামা ওলঁদ'এর মত পরিবর্তন করাতে চান৷ তারপর ন্যাটো সম্মেলনে এবিষয়ে আরও আলোচনা হবে৷ সামরিক জোটের একটি দেশ বিচ্ছিন্ন সিদ্ধান্ত নিলে গোটা পরিকল্পনা সমস্যার মুখে পড়বে, এটাই ওবামার যুক্তি৷

সামরিক জোট হিসেবে ন্যাটোর ভবিষ্যৎ চরিত্র নিয়েও জল্পনা-কল্পনা শোনা যাচ্ছে৷ বিশেষ করে ওবামা যেভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সামরিক কাঠামোয় স্থান দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন, তার ফলে ইউরোপ কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়েছে৷ ইউরোপ থেকে সৈন্য ও সরঞ্জাম সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়৷ ন্যাটোর নেতৃত্বের স্থানটা সহযোগীদের হাতেই ছেড়ে দিতে চায় ওয়াশিংটন, যেমনটা লিবিয়া অভিযানের সময় দেখা গেল৷ ন্যাটো'র মহাসচিব আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন এ প্রসঙ্গে বলেছেন, শুধু অর্থনীতির ক্ষেত্রেই বিশ্বায়ন ঘটছে না, পরিবর্তিত বিশ্বে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রেও বিশ্বায়নের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন (এপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য