1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংগীতশিল্পী হেনস্থার দায়ে অভিযুক্ত ফরাসি পুলিশ

৩০ নভেম্বর ২০২০

চারজন পুলিশকর্মী মিলে বেধড়ক পিটিয়েছেন ফরাসি কৃষ্ণাঙ্গ সংগীতশিল্পী মাইকেল জেকলারকে, এই অভিযোগে এর প্রতিবাদে উত্তাল ফ্রান্স৷

https://p.dw.com/p/3m05M
ফরাসী কৃষ্ণাঙ্গ সংগীতশিল্পী মাইকেল জেকলার
ফরাসী কৃষ্ণাঙ্গ সংগীতশিল্পী মাইকেল জেকলারছবি: Thibault Camus/AP Photo/picture alliance

সোমবার চারজন পুলিশকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে৷ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কৃষ্ণাঙ্গ সংগীতশিল্পী মাইকেল জেকলারকে পিটিয়েছেন তারা৷ জেকলারকে মারার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে লুপসাইডার নামের একটি নিউজ ওয়েবসাইটে৷

ফ্রান্সে বর্তমানে আলোচিত একটি বিল আইনে পরিণত হলে যে কোনো পুলিশি কার্যকলাপের ছবি বা ভিডিওধারণ আইনত নিষিদ্ধ হয়ে যাবে৷ এই আইন ফ্রান্সের জাতীয় অ্যাসেমব্লিতে পাস হলেও এখন সেনেটে পাস হবার অপেক্ষায়৷ শুক্রবারে এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এটিকে ‘লজ্জাজনক’ আখ্যা দিয়েছেন৷

এই ঘটনার পেছেন বর্ণবাদী মনোভাব থাকার সম্ভাবনাকেও ফেলে দিচ্ছেন না মাক্রোঁ, তাই সরকারকে অবিলম্বে বৈষম্যরোধী কিছু প্রস্তাব করতে আহ্বান জানান তিনি৷

যা ঘটেছিল জেকলারের সাথে

লুপসাইডারের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায় নিজের মিউজিক স্টুডিওতে ঢুকতে চেষ্টা করছেন মাইকেল জেকলার৷ সেই মুহূর্তেই দরজার পাশে তাঁকে চেপে ধরেন তিনজন পুলিশকর্মী৷ বেধড়ক মারধোর করার সময় কোনোমতে নিজেকে বাঁচান জেকলার৷ বন্ধ করে দেন স্টুডিওর দরজা৷ এরপর চতুর্থ পুলিশকর্মী স্টুডিওর জানালা দিয়ে একটি টিয়ার গ্যাসবোমা ছুঁড়ে দেন তাঁর স্টুডিওর ভেতর৷ পুরো ঘটনাটিই ধরা পড়েছে ভা়ইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে৷

এই ঘটনার বিচারকার্যে রত ম্যাজিস্ট্রেট সংবাদসংস্থা এএফপিকে জানান যে তাঁরা তিনজন পুলিশকর্মীকে ‘কর্তৃপক্ষের অংশ হয়েও জেনেশুনে সহিংসতায় লিপ্ত হওয়ার ও জালিয়াতির অপরাধে’ অভিযুক্ত করেছে৷ চতুর্থজন অভিযুক্ত ‘জেনেশুনে সহিংসতায় লিপ্ত হওয়ার অপরাধে’৷

এই চার পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে উঠছে বর্ণবাদী বৈষম্য ও মিথ্যা পুলিশিবিবৃতি দেবার অভিযোগও৷

অভিযুক্তদের আইনজীবী লরে-ফ্রাঙ্ক লিনার্ড সংবাদমাধ্যমকে জানান যে অভিযুক্তদের কাছে জেকলারকে মারা ছাড়া আর অন্য কোনো উপায় ছিল না৷ কিন্তু সরকারপক্ষের আইনজীবী রেমি হাইটজ ডয়চে ভেলের প্রতিনিধি লিসা লুইসকে জানান, ‘‘বারবার জিজ্ঞাসাবাদে চাপে পড়ে অভিযুক্তরা তাদের বয়ান বদলেছে৷ তারা স্বীকার করেছে যে সংগীতশিল্পীকে গ্রেপ্তার করার জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি শক্তিপ্রয়োগ করেছে৷’’

পুলিশের এই নির্মম আচরণ একদিকে ও অন্যদিকে বিতর্কিত বিল, দুই নিয়ে বর্তমানে উত্তাল ফ্রান্সের রাজপথ৷ প্রতিবাদ হচ্ছে রাজধানীসহ স্ট্রাসবুর্গ, মার্সাই, লিওন ও রেন শহরে৷ প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের প্রতিবাদে অংশগ্রহণের খবর জানা গেছে৷

এসএস/কেএম ( এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)