শ্রমিকদের থেকে আর মাত্র কয়েক মিটার দূরে উদ্ধারকারীরা
২৪ নভেম্বর ২০২৩বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছিলেন, ওই দিনই শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে। বস্তুত, ওই দিনই শ্রমিকদের ১০ মিটারের মধ্যে পৌঁছে গেছিলেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু রাত পর্যন্ত উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়নি।
স্থানীয় প্রশাসন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, মূলত দুইটি কারণে বৃহস্পতিবার উদ্ধারকাজ শেষ করা যায়নি। ১০ মিটার দূরত্বে পৌঁছে ড্রিল করার সময় উদ্ধারকারীরা দেখেন, সুড়ঙ্গের গায়ে ধাতুর পাত বসানো আছে। ফলে সেখানে ড্রিল করা সম্ভব নয়। সঙ্গে সঙ্গে অন্য রাস্তা খোঁজা শুরু হয়। একইসঙ্গে সুড়ঙ্গের উপর থেকে ড্রিল করে রাস্তা খোঁজার কাজও শুরু হয়ে যায়। দুপুর পর্যন্ত নতুন রাস্তা খোঁজার কাজ চলে। তারপর নতুন করে কাজ শুরু হয়।
রাতে শ্রমিকদের আরো কাছে পৌঁছে যায় উদ্ধারকারীরা। কিন্তু যে প্ল্যাটফর্মের উপর ড্রিলের যন্ত্র রেখে কাজ চলছিল, তাতে ফাটল দেখা যায়। ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছিল কিছুদিন আগে। ফাটল থেকে ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছিল। ফলে কোনো রকম ঝুঁকি নেননি উদ্ধারকারীরা। বস্তুত, এরইমধ্যে ড্রিলের যন্ত্রটিও বিকল হয়ে যায়। মার্কিন সেই যন্ত্র ঠিক করার জন্য পাঠানো হয় বাইরে। রাতের মতো কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। শুক্রবার ভোর থেকে ফের নতুন করে কাজ শুরু হয়েছে।
তবে শুক্রবার প্রশাসন নতুন করে কোনো সময় বেঁধে দেয়নি। তারা জানিয়েছে, শ্রমিকদের খুব কাছে পৌঁছে গেছে উদ্ধারকারীরা। কিন্তু কতক্ষণে উদ্ধার করা সম্ভব হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। বস্তুত, শ্রমিকদের জন্য স্ট্রেচারও নিয়ে যাওয়া হয়েছে ভিতরে।
এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বলছে, ড্রিল করে একটি পাইপ বসানোর চেষ্টা চলছে। সেই পাইপের ভিতর দিয়েই শ্রমিকদের বাইরে আনার চেষ্টা করা হবে। এর আগেও শ্রমিকদের কাছ পর্যন্ত পাইপ বসানো হয়েছিল। ছয় ইঞ্চির সেই পাইপ দিয়ে শ্রমিকদের খাবার এবং ওষুধ পাঠানো হচ্ছে। তাদের সঙ্গে কথাও বলা হয়েছে।
এক উদ্ধারকারী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, শ্রমিকদের মধ্যে চারজন জানিয়েছেন, ভিতর থেকে শ্রমিকদের বার করার বিষয়ে তারা সমস্ত সাহায্য করবেন। সকলকে উদ্ধার করার পরেই তারা সুড়ঙ্গ থেকে বার হবেন। অর্থাৎ, শ্রমিকেরা মানসিক এবং শারীরিকভাবে এখনো সুস্থ আছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও ঘটনাস্থলে ৪১টি অ্যাম্বুল্যান্স তৈরি রাখা হয়েছে। কাছেই একটি হাসপাতালে বেডের ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেখানেই হবে। প্রয়োজন হলে তাদের যাতে হেলিকপ্টারে করে দূরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থাও করে রাখা হয়েছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)