1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শেরবিনি হত্যায় নিন্দার ঝড় মিশরে

১২ জুলাই ২০০৯

জার্মানির ড্রেসডেন শহরের আদালতকক্ষের মধ্যে বর্ণবিদ্বেষীর ছুরিকাঘাতে নিহত যুবতী শেরবিনির শেষকৃত্য হয়ে গেল মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে৷ তীব্র ধিক্বার আর নিন্দার ঝড় উঠেছে ইসলাম দুনিয়ায়৷

https://p.dw.com/p/Im14
শেরবিনির প্রতীকি মরদেহ নিয়ে মিশরের পথে মহিলারাছবি: AP

তাঁর তিনমাসের শিশুপুত্র আর স্বামীর সামনেই ড্রেসডেনের আদালতকক্ষে আঠারোবার ছুরিকাঘাত করে মারওয়া এল শেরবিনিকে হত্যা করে এক রুশ বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক৷ শনিবার শেরবিনির মরদেহ মিশরে পৌঁছলে তীব্র আবেগদীপ্ত দৃশ্য দেখা যায় সেদেশে৷ রাজপথে নিহত শেরবিনির দেহ নিয়ে দীর্ঘ প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন ছিল৷ যে মিছিলে বারবার জার্মানি বিরোধী ধ্বনি শোনা গেছে৷ মুসলিম ধর্মে মহিলাদের জন্য পরিচিত ধর্মীয় পোষাক হিজাব পরার কারণেই শেরবিনি নিহত হয়েছেন, এমন একটা ধারণা ছড়িয়ে পড়ায় জার্মানির অভ্যন্তরে বসবাসকারী সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তার অভাব নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা গেছে কায়রোয়৷ জার্মানিতে ইসলাম বিরোধী আচরণেরও তীব্র সমালোচনা শোনা গেছে৷

অন্তঃস্বত্তা শেরবিনির ২৮ বছর বয়সী হত্যাকারীকে যথাস্বত্ত্বর বিচারের আওতায় আনার জন্য জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক৷ জি এইট সম্মেলনের সাইডলাইনে মুবারকের সঙ্গে বৈঠকে এই অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য গভীর দুঃখপ্রকাশ করেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷

অন্যদিকে জার্মান শহর ড্রেসডেনে, যেখানে এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, সেখানে নিহত শেরবিনির আত্মার শান্তি কামনায় এক বিশাল শোকসভায় শনিবার যোগ দিয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ৷

প্রতিবেদন-সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়,সম্পাদনা-সঞ্জীব বর্মণ