1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শেঙেন এলাকায় প্রবেশ করছে ক্রোয়েশিয়া

৮ ডিসেম্বর ২০২২

বৃহস্পতিবার ইইউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা শুধু ক্রোয়েশিয়াকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে শেঙেন চুক্তির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিলেন৷ তবে ঐকমত্যের অভাবে লগেরিয়া ও রোমানিয়া আপাতত এই কাঠামোর বাইরে থাকছে৷

https://p.dw.com/p/4Kdtk
হাঙ্গেরি এবং রোমানিয়ার সীমান্তে নিয়ন্ত্রণের কারণে যানজট। সীমান্তটি শেঙেনের বাইরের সীমানাগুলির মধ্যে একটি।
হাঙ্গেরি এবং রোমানিয়ার সীমান্তে নিয়ন্ত্রণের কারণে যানজট। সীমান্তটি শেঙেনের বাইরের সীমানাগুলির মধ্যে একটি।ছবি: Udo Herrmann/CHROMORANGE/picture alliance

চলতি সপ্তাহে ইউরোপের প্রাতিষ্ঠানিক সীমানার প্রশ্নে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে৷ বলকান অঞ্চলের পশ্চিমের দেশগুলির ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের প্রশ্নে সামান্য হলেও কিছু সাফল্য দেখা গেছে৷ সেই প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে সদিচ্ছা প্রকাশ করেছেন শীর্ষ নেতারা৷ এবার ইউরোপের মধ্যে মুক্ত সীমানার কাঠামো শেঙেন চুক্তির আওতায় আরও কিছু দেশকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন  ইইউ দেশগুলির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা৷ কথা ছিল, বৃহস্পতিবার তাঁদের অনুমোদন পেলে বুলগেরিয়া, রোমানিয়া ও ক্রোয়েশিয়াও শেঙেন কাঠামোয় যোগ দিতে পারবে৷ কিন্তু ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে  তাঁরা ক্রোয়েশিয়ার যোগদান অনুমোদন করলেও  বাকি দুই দেশের বিষয়ে ঐকমত্য অর্জন করতে পারলেন না৷ ফলে সম্ভবত ছয় মাস পর সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে৷

আয়ারল্যান্ড ও সাইপ্রাস ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব ‘আদি' সদস্যই ২৬ সদস্যের শেঙেন চুক্তির আওতায় পড়ে৷ এছাড়া নরওয়ে, আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও লিশটেনস্টাইন ইইউ সদস্য না হয়েও এই কাঠামোয় যোগদান করেছে৷ শেঙেন এলাকার বহির্সীমানায় কড়া নিয়ন্ত্রণ থাকলেও সদস্য দেশগুলির মধ্যে সীমানায় সাধারণত কোনো নিয়ন্ত্রণই থাকে না৷ এক কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে বহিরাগতদের ভিসা সংক্রান্ত তথ্য জমা হয়, যা সব সদস্য দেশের নাগালে থাকে৷ চুক্তি স্বাক্ষরকারী সব দেশের সম্মতি ছাড়া নতুন কোনো দেশকে এই কাঠামোর অন্তর্গত করা সম্ভব নয়৷

ইউরোপীয় কমিশন গত মাসেই শেঙেন এলাকায় বুলগেরিয়া, রোমানিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার যোগদানের পক্ষে সওয়াল করলেও সদস্য দেশগুলির মধ্যে প্রথম দুটি দেশের ক্ষমতা নিয়ে সংশয় থেকে গিয়েছিলো৷ অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার মঙ্গলবার ক্রোয়েশিয়ার যোগদানের প্রতি সমর্থন জানালেও বুলগেরিয়া ও রোমানিয়ার অভিবাসন প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ করেন৷ গত অক্টোবর মাসে নেদারল্যান্ডসের সংসদ এক প্রস্তাব অনুমোদন করে সেই দুই দেশে আইনের শাসন, দুর্নীতি ও সংগঠিত অপরাধচক্রের মাত্রা আরও খতিয়ে দেখার ডাক দিয়েছে৷ উল্লেখ্য, গত প্রায় এক দশক ধরে এই দুই দেশের যোগদান নিয়ে তর্কবিতর্ক চলছে৷ ইউরোপীয় কমিশন ২০১১ সালেই বুলগেরিয়া ও রোমানিয়াকে ‘শেঙেনের জন্য প্রস্তুত' হিসেবে ছাড়পত্র দিয়েছিল৷ ২০২২ সালে তিনটি দেশই প্রযুক্তিগত শর্ত পূরণ করেছে বলে কমিশন জানিয়েছে৷ অর্থাৎ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, তথ্য সংরক্ষণ ও ভিসা নীতির ক্ষেত্রে শেঙেনের মানদণ্ড মেনে চলছে এই তিন দেশ৷

গত প্রায় এক দশক ধরে বেআইনি অনুপ্রবেশ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণে শেঙেন এলাকার গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে৷ সদস্য দেশগুলি এমন হুমকির মোকাবিলা করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারলে মুক্ত ও অবাধ এই এলাকা বিপন্ন হতে পারে৷ তাই নতুন সদস্য গ্রহণ করার আগে সে বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে চায় অস্ট্রিয়া ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশ৷ অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর নেহামার বলেন, এই মুহূর্তে তাঁর দেশে প্রায় ৭৫,০০০ অনথিভুক্ত বিদেশি অনুপ্রবেশকারী বাস করছে৷ অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহির্সীমানা অতিক্রম করেই তারা অস্ট্রিয়ায় প্রবেশ করেছে৷ সবার আগে সেই সমস্যার সমাধান করার দাবি জানিয়েছেন তিনি৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)