1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শুরু হল হানোফার শিল্পমেলা

সঞ্জীব বর্মন২০ এপ্রিল ২০০৯

জার্মানিতে প্রতি বছরের মত এবছরও হানোফার শহরে শুরু হয়ে গেল বিশ্বের বৃহত্তম শিল্পমেলা৷ অর্থনৈতিক মন্দার এই সময়েও প্রদর্শকদের সংখ্যা কিন্তু কমে নি৷ ৬১টি দেশ থেকে মোট ৬,১৫০টি সংস্থা এবারের মেলায় যোগ দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/Hatw
হানোফার মেলায় জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান সুং সুছবি: AP

জলবায়ু সংরক্ষণ ও জ্বালানীর সদ্ব্যবহারকেই এবছরের মেলার মূল বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে৷ সহযোগী দেশের মর্যাদা পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া৷ রবিবার সন্ধ্যায় হানোফার শিল্প মেলার উদ্বোধন করেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট হর্স্ট ক্যোলার৷ সোমবার থেকে মেলার দ্বার খুলে গেছে দর্শকদের জন্য৷

এই মেলাকে কেন্দ্র করেই শিল্প মহল আবার এক নতুন উদ্দীপনার আশা করছে৷ নতুন উদ্যমে উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে মন্দার কবল থেকে বেরিয়ে আসার স্বপ্ন দেখছে গোটা বিশ্বের অনেক ছোট-বড় প্রতিষ্ঠান৷

বলাই বাহুল্য, বিশ্বের এক নম্বর রপ্তানীকারী দেশ হিসেবে জার্মানি বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন৷ জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল অবশ্য শিল্প-বাণিজ্য মহলকে উৎসাহ দিতে গিয়ে বলেছেন, উদ্ভাবনী শক্তি ও সৃজনশীলতাই জার্মান শিল্প মহলের ক্ষমতার মূল ভিত্তি৷ তাঁর মতে, ঠিক এই কারণেই জার্মান শিল্পজগত বর্তমান সঙ্কট থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে বেরিয়ে আসবে৷ তিনি সোমবার মেলা প্রাঙ্গণে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে নতুন উদ্ভাবনের কিছু নমুনা দেখলেন৷ ‘হালমা’ নামের এক রোবট অত্যন্ত দ্রুত গতিতে অতি স্পর্শকাতর সৌর প্যানেল এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে রাখছে৷ বিশ্বের ক্ষিপ্ততম এই রোবটের মত আরও চমকপ্রদ উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় পেয়ে ম্যার্কেল নিজের বক্তব্যের সপক্ষে আরও যুক্তি খুঁজে পেয়েছেন৷ মনে রাখতে হবে, পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট উপাধি থাকায় অন্যান্য রাজনীতিকের তুলনায় ম্যার্কেল এই সব যন্ত্র ও সরঞ্জামের গুরুত্ব আরও ভালভাবে বুঝতে সক্ষম৷ মেলায় উপস্থিত যে সব সংস্থার স্টলে তিনি গেছেন, সেখানে তাঁর সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন ও অনেক জটিল বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানের পরিচয় পেয়ে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন৷ মেলায় সহযোগী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার স্টলে এসে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘আমাদের দুই দেশ এবিষয়ে নিশ্চিত, যে উদ্ভাবন, নতুন প্রযুক্তি, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির মাধ্যমেই ভবিষ্যতে আমাদের সমৃদ্ধির মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারবো৷’’

এখন প্রশ্ন হল, রাজনীতিক হিসেবে ম্যার্কেল শিল্প মহলে উৎসাহ জাগাতে চাইছেন বটে, কিন্তু শিল্প-বাণিজ্য মহল বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কতটা আশাবাদী? অনেক শিল্প সংগঠন ও ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকেও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে৷ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম শিল্পক্ষেত্রে সঙ্কট প্রায় শেষ হয়ে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট শিল্প মহল জানিয়েছে৷ ম্যার্কেলের আশাবাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে শিল্প মহলের অভিমত – অর্থনৈতিক সঙ্কটের চরম পর্যায় শেষ হয়ে গেছে৷ এবার সবকিছু সামলে নিয়ে আবার প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলার সময় এসে গেছে৷ এই কাজ রাতারাতি সম্ভব না হলেও চলতি বছরেই ক্রমশঃ মন্দাবস্থা কেটে যাবে – এমনটাই আশা করা হচ্ছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য