1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শুক্রাণু উদ্ভাবন!

১৩ জুলাই ২০০৯

ব্রিটেনে গবেষণারত একদল বিজ্ঞানী পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে স্টেম সেল থেকে শুক্রাণু উদ্ভাবনের দাবি করেছে৷ সম্প্রতি স্টেম সেল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নামের এ বিষয়ক এক সাময়িকীর একটি প্রতিবদনে এ খবর দেওয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/ImJ1
ছবি: picture-alliance / OKAPIA KG, Germany

তবে অনেক বিশেষজ্ঞ এ দাবির প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছে, তাদের উদ্ভাবিত নতুন কোষে শুক্রাণুর সব জৈবিক বৈশিষ্ট্য সন্দেহাতীতভাবে নেই৷

উত্তর ইংল্যান্ডের নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দাবি করেছে, তারা একটি পুরুষ ভ্রূণের স্টেম সেল থেকে পুরোপুরি পরিণত ও কার্যকর শুক্রাণু উদ্ভাবন করেছে৷ উদ্ভাবিত কোষটির নাম দেওয়া হয়েছে ইন ভিট্রো ডিরাইভড (আই ভিডি)৷

গবেষণার নেতৃত্বদানকারী প্রফেসর কারিম নায়েরিনা লিখেছেন, পরীক্ষাগারে তাঁরা নতুন কোষগুলোকে বিভক্ত হয়ে নড়াচড়া করতে দেখেছেন৷ যা জীবন্ত ও পরিণত কোষের বৈশিষ্ট্য৷ তিনি আরো লিখেছেন, তাঁদের এ পর্যবেক্ষণ বন্ধ্যা পুরুষদের বাবা হওয়ার পথে সাহায্য করতে নতুন উপায় উদ্ভাবনের সুযোগ করে দিয়েছে৷ নায়েরিনা জার্মানির গোয়েটিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ধরণের গবেষণায় হাত দিয়েছিলেন৷ জার্মানিতে স্টেম সেল গবেষণা অবৈধ৷ এটি অবৈধ ব্রিটেনেও৷ নায়েরিনা ব্রিটিশ সরকারকে এধরণের গবেষণা তদারকিতে নতুন আইন প্রণয়ন করার আহবান জানিয়েছেন৷

বিজ্ঞানীরা এর আগে শুক্রাণু তৈরির মাধ্যমে বন্ধ্যাত্ব ঘোচানোর চেষ্টা করেনি দাবি করে তিনি বলেন, তাঁদের পর্যবেক্ষণ পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ বুঝতেও সহায়তা করবে৷ তবে এর মাধ্যমে মানুষ তৈরির প্রক্রিয়া হচ্ছে বলে উদ্ভূত সমালোচনাকে হেসেই উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি৷

নায়েরিনা আরো মনে করছেন, শুক্রাণু গঠিত হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে পারলে জিনবাহী রোগ সারানোর উপায় বের করার পথ সন্ধানে সাহায্য করবে৷ তবে তাদের গবেষণা এখনো শেষ হয়নি জানিয়ে এই বিজ্ঞানী আশা প্রকাশ করেন, এক দশকের মধ্যে এই চিকিৎসা সহজলভ্য হয়ে উঠতে পারে৷

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, সাময়িকীটিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নায়েরিনার দলের সরবরাহ করা তথ্য-উপাত্ত পুরোপুরি পরিণত শুক্রাণু উদ্ভাবনের নিশ্চয়তা দিচ্ছে না৷ তাঁদের মতে, পুরো পরিণত শুক্রাণু তৈরিতে আরো অনেক দূর যেতে হবে৷

কেবল বিশেষজ্ঞ নয়, এই গবেষণার নৈতিক ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷

প্রতিবেদক: নাসিরুদ্দিন খোকন, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক