1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শীঘ্রই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি

২৬ ডিসেম্বর ২০১১

নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে সংবিধান অনুযায়ী আইন করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি৷ আর নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ করেছে জাতীয় পার্টি বা জেপি’র চেয়ারম্যান৷

https://p.dw.com/p/13ZKD
Police guard voting equipments at the Election Commission Secretariat. *** Mr. Mustafiz Mamun, photographer from Bangladesh, contributed these photos for Deutsche Welle. As he mentioned, ‘’this photo is taken by me (Mustafiz Mamun) & I permit Deutsche Welle to use it.’’ ***
ফাইল ছবিছবি: Mustafiz Mamun

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সোমবার সকালে বঙ্গভবনে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাদের সঙ্গে বসেন৷ সংগঠনের সভাপতি রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল এই সংলাপে অংশ নেয়৷ স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি তাঁদের জানান, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে সবার মতামত নিতেই এ সংলাপ৷

সংলাপ শেষে রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি আইন প্রণয়নের কথা বলা হলেও গত ৪০ বছরে তা করা হয়নি৷ তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতিকে সংবিধানের আলোকে আইন প্রণয়নে গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরেছি আমরা৷ এ আইনের বিষয়ে বিদায়ী নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে একটি খসড়া তৈরি করেছে৷ আর এই খসড়ায়, সিইসি ও ইসি নিয়োগে একটি সার্চ কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়েছে৷''

সংলাপের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির এমন উদ্যোগ ব্যর্থ হবে না বলেই মনে করেন ক্ষমতাসীন মহাজোটের এই শরিক নেতা৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি'র সংলাপে আসা উচিত৷ তারা না এলে সংবিধান বসে থাকবে না৷

ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টি - জেপি'র সঙ্গেও সংলাপ করেন৷ সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধ দল সংলাপে অংশ নেয়৷ সংলাপ শেষে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টি সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে৷ রাষ্ট্রপতি তাঁদের কাছে একটি নামের তালিকা চেয়েছেন৷ তাঁরা পরে সে তালিকা বঙ্গভবনে পাঠিয়ে দেবেন৷''

প্রসঙ্গত, এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে৷ আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি এর আগেই নতুন কমিশন নিয়োগ দেবেন৷ এ নিয়োগের জন্য গত ২২শে ডিসেম্বর থেকে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি৷

প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য