শহীদুলের মুক্তি চাইলেন প্রধানমন্ত্রীর বোনঝি টিউলিপ
২৮ আগস্ট ২০১৮মঙ্গলবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘দ্য টাইমস'-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক সদস্য, যিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনঝি, তিনি গ্রেপ্তার হওয়া ফটোসাংবাদিক এবং শিল্পী শহীদুল আলমের মুক্তি চেয়েছেন৷ শহীদুল আলম নিয়মিত যুক্তরাজ্যে তাঁর ছবির প্রদর্শন করতেন বলেও জানানো হয়েছে সেখানে৷
হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ বলেছেন, ‘‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কর্তৃক শহীদুল আলমের গ্রেপ্তার পীড়াদায়ক এবং এর অবসান হওয়া উচিত৷ দেশের মানুষের বিচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করা উচিত৷ আমি আশা করি, বন্ধুরাষ্ট্র বিবেচনায় ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তর এ ব্যাপারে বাংলাদেশের কাছে দৃঢ় বার্তা পাঠাবে৷''
শহীদুল আলমকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে এরই মধ্যে সারা পৃথিবী থেকে নোবেল বিজয়ী, চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, লেখক, শিল্পী ও ব্যবসায়ীরা সরব হয়েছেন৷ এবার টিউলিপ সিদ্দিকও তাদের সঙ্গে গলা মেলালেন৷
দ্য টাইমসের খবরে আরও বলা হয়, গত সপ্তাহে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন অবিলম্বে শহীদুলের মুক্তি দাবি করেছেন৷ এছাড়া স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন, শ্যারন স্টোন, রিচার্ড কার্টিস, আর্চ বিশপ ডেসমন্ড টুটুসহ আরো অনেকেই মুক্তি চেয়েছেন এই প্রখ্যাত আলোকচিত্রীর৷
শহীদুলে বিরুদ্ধে অভিযোগ
শহীদুলের বিরুদ্ধে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা ও সামাজিক গণমাধ্যমে ‘অসত্য ও উসকানিমূলক' তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে৷ বিতর্কিত তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ৷ নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট তাঁকে ধানমণ্ডির বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়৷ এরপর পুলিশ তাঁর দশ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন৷ পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগও আনেন ৬৩ বছর বয়সি এই প্রথিতযশা ফটোগ্রাফার৷ এরপর ১২ আগস্ট আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷
এপিবি/এসিবি (দ্য টাইমস)