1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থীদের 'হিউম্যান শিল্ড' করছে বেলারুশ

১৩ জুলাই ২০২১

বেলারুশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। শরণার্থীদের 'হিউম্যান শিল্ড' হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

https://p.dw.com/p/3wOvK
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া লাগাচ্ছে লিথুয়ানিয়া। ছবি: Janis Laizans/REUTERS

লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যান্ডসবার্গিস এখন ব্রাসেলসে ইইউ-র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে এসেছেন। তিনি ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন ''ইইউ যাতে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে, তার জন্য শরণার্থীদের হিউম্যান শিল্ড হিসাবে ব্যবহার করছে বেলারুশ। শরণার্থীদের তারা লিথুয়ানিয়ায় ঢুকিয়ে দিচ্ছে।''  তার দাবি, ''এই অস্ত্র ব্যবহার করে তারা ইইউ-কে নীতি পরিবর্তন করতে বাধ্য করতে চায়।''

লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ''আমাদের কাছে এই ব্যাপারে তথ্যপ্রমাণ আছে। বেলারুশের সীমান্তরক্ষীরা উদ্বাস্তুদের নিয়ে এসে লিথুয়ানিয়া সীমান্তে ঢোকাচ্ছে।''

তিনি এই দাবি করছেন এমন একটা সময়ে, যখন লিথুয়ানিয়া শরণার্থীদের রুখতে জরুরি ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে। তারা ৫৫০ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া লাগাবার কাজও শুরু করে দিয়েছে। রাজধানীতে নতুন আসা ৫০০ জন শরণার্থীকে রাখার জন্য একটা শিবিরও খোলা হয়েছে। এই শরণার্থীরা আসছেন মূলত ইরাক থেকে।

লিথুয়ানিয়ার দাবি

লিথুয়ানিয়া দাবি করছে, তাদের সীমান্তে ইরাকিরাই মূলত এসেছেন। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো এই সংকট তৈরি করছেন।

 এই বছরে এখনো পর্যন্ত এক হাজার ৬০০-র বেশি শরণার্থী বেলারুশ থেকে লিথুয়ানিয়ায় প্রবেশ করেছে। যেটা ২০২০-র তুলনায় ২০ গুণ বেশি। গত দুই সপ্তাহেই এক হাজার মানুষ এসেছেন বলে লিথুয়ানিয়ার বর্ডার গার্ড সার্ভিস দাবি করেছে।  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাানিয়েছেন, ''আমরা বিশ্বকে জানাতে চাই যে, বেলারুশ মিথ্যা কথা বলছে। ওরা শরণার্থীদের ইউরোপে ঢোকার সহজ পন্থার কথা বলছে এবং সেখানে নতুন স্বাধীন জীবনের লোভ দেখাচ্ছে। এটা চলতে দেয়া যেতে পারে না।'' তিনি জানিয়েছেন,'' বেলারুশ-রুট যদি বন্ধ না করা যায়, তা হলে জার্মানির মতো অন্য অনেক দেশই শরণার্থী ও অভিবাসীতে ভরে যাবে।''

লিথুয়ানিয়ার অনুরোধ

ল্যান্ডসবার্গিস, বলেছেন, ''বেলারুশ চায়, ইইউ তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিক।'' গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বেনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগের পর ইইউ বেলারুশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বেলারুশের মানুষও এর বিরুদ্ধে সমানে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ''ইইউ যেন চাপ বজায় রাখে। কারণ, এই চাপ কাজে দিচ্ছে।'' তিনি ইইউ-র বৈঠকে আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারির কথা বলেছেন। তিনি ব্রাসেলস থেকে বাগদাদ যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ইরাকের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবেন, তাদের দেশ থেকে যেন শরণার্থীরা আসতে না পারে। আর যারা গিয়েছে, তাদের যেন ফেরত নেয়া হয়।

জন শেল্টন/জিএইচ