1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘শয়তানের কারখানাগুলো’ এখনো খোলা কেন?

৩০ এপ্রিল ২০২০

করোনা সংকটে সব দেশের অর্থনীতিই এখন বিপর্যস্ত৷ কত লাখ কল-কারখানা যে বন্ধ রয়েছে, বলা মুশকিল৷ কিন্তু ‘শয়তানের’ অনেকগুলো কারখানা এখনো খোলা৷ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা শুনে এ বিষয়ে আরো নিশ্চিত হওয়া গেল৷

https://p.dw.com/p/3bb9R
২০১৮ সালের ৭ অক্টোবরের ছবিতে কিম জং উন ও মাইক পম্পেওছবি: picture alliance/AP Photo

করোনা সংক্রমণে দু লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে৷ সংক্রমণ ছড়িয়েছে কমপক্ষে ১৮৫টি দেশে৷ কোথাও কোনো উৎসব-আনন্দ নেই৷ উপাসনা, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানও হচ্ছে সংক্রমণের হুমকির কথা মাথায় রেখে, খুব সীমিত পরিসরে৷

পরিসংখ্যান খুঁজলে দেখা যাবে এই মুহূর্তে পৃথিবীর সব দেশেই অপরাধপ্রবণতা অনেক কমেছে৷ চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি করত যারা, তারাও এখন হয়তো নিজের এবং নিজের পরিবারের, নিজের দেশের সবার সুস্থতা কামনা করছে৷ দেশে দেশে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে সব সুস্থ মনের মানুষ জগতের কল্যাণ চাইবে, এটাই স্বাভাবিক৷

কিন্তু ছিঁচকে চোর চৌর্যবৃত্তি বন্ধ রাখলেও, কিছু ‘বড় চোর’ তা পারেনি৷ তাই ত্রাণ চুরির অনেক ঘটনা দেখেছি৷ রমজান মাসেও মুনাফালোভীদের দাপট আমরা দেখছি৷ ভারত এবং আরো কোথাও কোথাও এই মহাসঙ্কটেও কিছু ধর্মান্ধের সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানোর অপচেষ্টা ব্যথিত করছে আমাদের৷ আগের তুলনায় কম হলেও সন্ত্রাসী হামলায় এখনো ঝরছে মানুষের প্রাণ - আমরা তা জেনে অবাক হচ্ছি, কষ্ট পাচ্ছি, বিষন্ন মনে ভাবছি, ‘‘এমন দুর্যোগেও মানুষ এমন করে কী করে!’’

কথায় বলে, ‘‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা৷’’ কথাটা সব সময়, সব পরিবেশে, সব মানুষের বেলায় আসলে খাটে না৷

অন্যের ক্ষতি করা, অন্যকে হিংসা করা, প্রতিপক্ষের সর্বনাশ করা যদি কারো ‘কাজ’ হয়, মহা দুর্যোগও তাকে কর্মহীন, অলস করতে পারে না৷ পরের অনিষ্ট সাধনের কাজ সে করে যায় ঠিকই৷

Ashish Chakraborty
আশীষ চক্রবর্ত্তী, ডয়চে ভেলেছবি: DW/T. Mehedi

এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ মনে হয় ডনাল্ড ট্রাম্প এবং মাইক পম্পেও৷ করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমে করোনা ভাইরাসকে পাত্তা না দিয়ে কী ভুল যে করেছেন, তা বিলক্ষণ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন৷ কিন্তু নিজের ভুল স্বীকার করলে তো মুশকিল, নির্বাচনে ভরাডুবি হবে নির্ঘাত৷ তাই সারাক্ষণ তোপ দেখাচ্ছেন চীনের বিরুদ্ধে৷ নিষ্ফলা সেই তোপ৷ তাতে কোনো ক্ষতি হচ্ছে না চীনের, যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর হারও কমছে না একেবারেই৷

হালে উত্তর কোরিয়ার দিকে খুব মনোযোগ দিয়েছেন ট্রাম্প৷ এই দুর্যোগে উত্তর কোরিয়ার কী হবে, ওরা দুর্ভিক্ষ থেকে বাঁচবে কী করে, কিম জং উন সুস্থ আছেন কিনা- এসব ভেবে ভেবে ট্রাম্প একেবারে হয়রান! পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও গত কয়েকদিন ধরে কিম জং উনকে দেখা যাচ্ছে না কেন সেই চিন্তায় সবাইকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছেন৷ যুক্তরাষ্ট্রে এত মানুষ মরছে, তবু ট্রাম্প, পম্পেওর ‘হুঁশ’ ফিরছে না৷ শয়তানের কিছু কারখানা কি তাহলে কোনোদিনই বন্ধ হবে না?

২০১৭ সালের ছবিঘরটি দেখুন...